Almond ও Powel চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে বিভক্ত করেছেন-
A
৩ ভাগে
B
৪ ভাগে
C
৫ ভাগে
D
৬ ভাগে
উত্তরের বিবরণ
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলতে কী বোঝায়, তা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়।
-
কেউ একে স্বার্থকামী গোষ্ঠী বলেছেন,
-
কেউ আবার রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা মনোভাবকেন্দ্রিক গোষ্ঠী বলেও উল্লেখ করেছেন।
🔹 অধ্যাপক ফাইনার চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে লবি (Lobby) হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
🔹 অধ্যাপক এলান পটার একে সুসংবদ্ধ গোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যেমন: শিক্ষক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক সংঘ ইত্যাদি।
অধ্যাপক এলান আর. বল এর মতে, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী গড়ে ওঠে সমমনোভাবাপন্ন সদস্যদের মিলিত প্রচেষ্টায়। তিনি এ ধরনের গোষ্ঠীকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন—
-
স্বার্থকারী গোষ্ঠী (Interest Group)
-
সমদৃষ্টিসম্পন্ন গোষ্ঠী (Attitude Group)
অধ্যাপক মাইরন উহনার বলেছেন—
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যা সরকারী কাঠামোর বাইরে থেকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। এর উদ্দেশ্য হলো সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচন, নিয়োগ কিংবা সরকারি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলা।
অধ্যাপক অ্যালমন্ড ও পাওয়েল চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে এক ধরণের স্বার্থকামী গোষ্ঠী হিসেবে দেখেছেন। তাঁদের মতে, সমাজে বিদ্যমান এসব গোষ্ঠীকে চার ভাগে ভাগ করা যায়—
-
স্বতঃস্ফূর্ত স্বার্থকামী গোষ্ঠী,
-
সংগঠনভিত্তিক স্বার্থকামী গোষ্ঠী,
-
অসংগঠিত স্বার্থকামী গোষ্ঠী,
-
প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থকামী গোষ্ঠী।
উৎস: রাষ্ট্রবিজ্ঞান-৩, স্নাতক শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রেসিডেন্ট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন?
Created: 3 months ago
A
হ্যারি এস ট্রুম্যান
B
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট
C
জেমস মনরো
D
তথ্যটি সঠিক নয়
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ছিলেন এক অনন্য নেতা, যিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মোট ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইতিহাসের একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি চারবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। রুজভেল্টের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিশাল সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল—গ্রেট ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ—যে সময়ে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেন।
তার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল ‘নিউ ডিল’ নীতি, যা ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি আমেরিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও, ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করে।
রুজভেল্ট ছিলেন ‘সৎ প্রতিবেশি নীতি’র প্রবক্তা, যা ১৯৩০-৪০ এর দশকে লাতিন আমেরিকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পূর্বের হস্তক্ষেপমূলক নীতির পরিবর্তে গ্রহণ করা হয়। তার এই নীতি অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্ব দেয়।
১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রুজভেল্ট প্রথমবারের মতো ‘জাতিসংঘ (United Nations)’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ব সংস্থার ধারণা উপস্থাপন করেন।
উৎস: Britannica
0
Updated: 3 months ago
জাতিসংঘ কোন সালে মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৪৮
B
১৯৫৬
C
১৯৪৫
D
২০০০
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ও সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা
-
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়।
-
কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে, যার কাজ ছিল মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া তৈরি করা।
-
এই খসড়া ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয়।
-
ঘোষণায় মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
পরবর্তীতে, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মূল বক্তব্য
-
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং অধিকারের দিক থেকে সমান।
-
বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, জাতীয়তা, ধনী-গরিব, রাজনৈতিক মতামত বা সামাজিক অবস্থান— কোনো কিছুর ভিত্তিতে মানবাধিকার ভোগে বৈষম্য করা যাবে না।
-
সবার জন্য সমানভাবে অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।
0
Updated: 1 month ago
জিরোসাম গেম (Zero-Sum Game) আন্তর্জাতিক সম্পর্কে কোন তত্ত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
বাস্তববাদ
B
মার্ক্সবাদ
C
গঠনবাদ
D
উদারতাবাদ
জিরো-সাম গেম (Zero-Sum Game) এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব
জিরো-সাম গেম কী?
জিরো-সাম গেম হলো গেম থিওরির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এতে বলা হয় যে, কোনো দুটি বা ততোধিক পক্ষ যখন একটি নির্দিষ্ট সম্পদ পেতে চেষ্টা করে, তখন এক পক্ষ যা জিতবে, ঠিক সেই পরিমাণ অন্য পক্ষ হারাবে। অর্থাৎ, সব পক্ষের নিট (net) লাভ-ক্ষতি মিলিয়ে ফলাফল শূন্য হবে।
জিরো-সাম গেমের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চাহিদার তুলনায় সম্পদের যোগান সর্বদা সীমিত থাকে।
-
সম্পদের মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে; নতুন কিছু তৈরি হয় না বা নষ্ট হয় না।
-
সব পক্ষের নেট পরিবর্তন মিলিয়ে শূন্য হয়।
বাস্তববাদ (Realism) ও জিরো-সাম গেম
বাস্তববাদের মূল ধারণা
-
মানুষ স্বভাবতই স্বার্থপর এবং বিশৃঙ্খল।
-
যেহেতু মানুষ বিশৃঙ্খল, তাই রাষ্ট্রও প্রায়শই দ্বন্দ্বে জড়িত থাকে।
-
রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা।
-
বাস্তববাদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হলো এক ধরনের জিরো-সাম গেম, যেখানে এক পক্ষ জিতবে এবং অন্য পক্ষ হারবে।
উদাহরণ:
-
বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার আগ্রাসী নীতি বাস্তববাদের উদাহরণ।
উদারতাবাদ (Liberalism)
উদারতাবাদের মূল ধারণা:
-
মানুষের প্রগতি ও মুক্তি নিশ্চিত করা।
-
ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য ও সম্ভাবনাকে বিকাশের সুযোগ দেওয়া।
-
শুধুমাত্র রাজনৈতিক জীবন নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ এবং স্বাধীনতার জন্য কাজ করা।
উৎস: Investopedia, Zero-Sum Game Definition & Examples,
0
Updated: 1 month ago