বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কোন নদী দ্বারা বিভক্ত?
A
নাফ
B
কর্ণফুলী
C
নবগঙ্গা
D
ভাগীরথী
উত্তরের বিবরণ
• নাফ নদী (Naf River):
নাফ নদীর উৎস মিয়ানমারে। এটি বাংলাদেশের টেকনাফ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী সীমান্ত নির্দেশ করে এবং পরে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়। নদীটির মোহনা বেশ প্রশস্ত, আর এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬ কিলোমিটার।
• কর্ণফুলী নদী (Karnaphuli River):
এই নদী আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
• নবগঙ্গা নদী (Nabaganga River):
চুয়াডাঙ্গা শহরের কাছাকাছি মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নবগঙ্গার উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, মাথাভাঙ্গা থেকে বেরিয়ে এটি ‘গঙ্গার নবরূপ’ হিসেবে পরিচিতি পায়, সেখান থেকেই নবগঙ্গা নামের উৎপত্তি।
• ভাগীরথী নদী (Bhagirathi River):
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবাহিত এই নদী গঙ্গার প্রধান দুটি উৎসধারার একটি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (নবম-দশম শ্রেণি), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 8 hours ago
জামাল নজরুল ইসলাম কে?
Created: 2 months ago
A
ফুটবল খেলোয়াড়
B
অর্থনীতিবিদ
C
কবি
D
বৈজ্ঞানিক
প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র ছিল আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বিশ্বতত্ত্ব এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত তত্ত্ব।
তিনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং ব্ল্যাক হোল, কসমোলজি সহ জটিল পদার্থবিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন।
ড. জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর লেখা ইংরেজি বই “The Ultimate Fate of the Universe” কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। বাংলা ভাষায় তাঁর সবচেয়ে পরিচিত বই হলো ‘কৃষ্ণগহ্বর’ (বাংলা একাডেমি প্রকাশিত), যা ব্ল্যাক হোল সম্পর্কিত।
তিনি সৌরজগতের গ্রহগুলোর অবস্থান এবং পৃথিবীর ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও গবেষণা করেছেন। তাঁর অবদান আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ড. জামাল নজরুল ইসলাম ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। তিনি ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬.
0
Updated: 2 months ago
মাওলানা ভাসানী সেতু কোন নদীর উপর অবস্থিত?
Created: 3 weeks ago
A
তিস্তা
B
ধরলা
C
আত্রাই
D
করতোয়া
মাওলানা ভাসানী সেতু: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত এই সেতু বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কাঠামোর অংশ।
-
দৈর্ঘ্য: ১৪৯০ মিটার
-
প্রস্থ: ৯.৬০ মিটার
-
পিলার সংখ্যা: ৩০টি
-
স্প্যান সংখ্যা: ৩১টি
-
লেন সংখ্যা: ২টি
-
ধরন: প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতু
-
অর্থায়ন: বাংলাদেশ সরকার (GoB), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (SFD), এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (OFID)
-
মোট ব্যয়: ৯২৫ কোটি টাকা
-
উপকারিতা: সেতুটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি করবে
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি যমুনার উপনদী?
Created: 1 month ago
A
তিস্তা
B
ধলেশ্বরী
C
ধোলাই
D
বংশী
যমুনা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে গঠিত হয়েছে এবং বিভিন্ন নদী ও উপনদীর সঙ্গে যুক্ত। এটি ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হিসেবে ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের পর ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে উৎপন্ন হয়েছিল।
যমুনা নদী দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয় এবং এই মিলিত স্রোত পরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পদ্মা নদী নামে প্রবাহিত হয়। যমুনার প্রধান শাখানদী হলো ধলেশ্বরী, যার শাখানদী বুড়িগঙ্গা।
যমুনার মূল বৈশিষ্ট্য ও শাখানদী:
-
যমুনা দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে পদ্মার সাথে মিলিত হয়।
-
প্রধান শাখানদী: ধলেশ্বরী
-
ধলেশ্বরীর শাখানদী: বুড়িগঙ্গা
-
ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী: শীতলক্ষ্যা ও বংশী
যমুনার উপনদী:
-
ধরলা
-
তিস্তা
-
করতোয়া
-
আত্রাই
0
Updated: 1 month ago