A
স্নেহ
B
পানি
C
ভিটামিন
D
খনিজ লবণ
উত্তরের বিবরণ
খাদ্য উপাদান:
-
খাদ্য অনেকগুলো রাসায়নিক বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত, এবং এই রাসায়নিক বস্তুগুলোকে খাদ্য উপাদান বলা হয়।
-
এই উপাদানগুলোর মধ্যে পুষ্টি থাকে, তাই খাদ্য উপাদানকে পুষ্টি উপাদানও বলা হয়।
-
উপাদান অনুযায়ী খাদ্যবস্তুকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
১। আমিষ: দেহের বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয়পূরণ করে।
২। শর্করা: দেহে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
৩। স্নেহ: বা চর্বিজাতীয় খাদ্য দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে। -
এছাড়া আরও তিন ধরনের উপাদান দেহের জন্য প্রয়োজন:
৪। ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ: দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনা যোগায়।
৫। খনিজ লবণ: দেহের বিভিন্ন জৈবিক কাজে অংশ নেয়।
৬। পানি: দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে, কোষের কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ ও তার অঙ্গাণুগুলোকে ধারণ করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 day ago
রাতকানা রোগ সাধারণত কোন ভিটামিনের অভাবে হয়ে থাকে?
Created: 1 day ago
A
ভিটামিন এ
B
ভিটামিন বি
C
ভিটামিন সি
D
ভিটামিন কে
রাতকানা (Night Blindness):
-
কারণ: ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি।
-
ভিটামিন ‘এ’ অভাবে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জেরোফথ্যালমিয়া (Xerophthalmia) রোগের বিভিন্ন মাত্রা দেখা দেয়।
-
এই রোগ সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
-
-
লক্ষণ:
-
চোখের সংবেদী ‘রড’ কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে স্বল্প আলোতে দেখতে সমস্যা হয়।
-
চোখে সবকিছু ঝাপসা দেখা যায়।
-
রোগ বেড়ে গেলে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়।
-
-
জেরোফথ্যালমিয়ার মাত্রা:
-
সাত থেকে আটটি মাত্রা রয়েছে।
-
সর্বনিম্ন মাত্রা হলো রাতকানা।
-
প্রথম কয়েকটি মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ ও কিছু ওষুধ প্রয়োগে রোগ ভালো হয়।
-
চূড়ান্ত পর্যায়ে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার ছাড়া আর তেমন কার্যকর সমাধান থাকে না।
-
-
প্রতিরোধ:
-
ভিটামিন ‘এ’-সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
-
যেমন: মাছের যকৃতের তেল, কলিজা, সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফল (পাকা আম, কলা), সবজি (মিষ্টি কুমড়া, গাজর) এবং মলা-ঢেলা মাছ।
-
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 day ago
মায়ের দুধে কোন ধরনের ইমিউনোগ্লোবিউলিন পাওয়া যায়?
Created: 1 week ago
A
IgG
B
IgA
C
IgE
D
IgM
অ্যান্টিবডি (Antibody):
দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র (immune system) থেকে উৎপন্ন এক ধরনের দ্রবণীয় গ্লাইকোপ্রোটিন, যা রোগ-ব্যাধি সৃষ্টিকারী নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া) ধ্বংস করে।
প্রত্যেকটি অ্যান্টিবডি হলো ইমিউনোগ্লোবিউলিন (Ig) নামে বিশেষ ধরনের প্রোটিন অণু।
লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি উৎপাদন:
শ্বেত রক্তকণিকার একটি প্রধান অংশ হলো লিম্ফোসাইট, যা দুটি ধরনের:
১. T-কোষ
২. B-কোষ
B-লিম্ফোসাইটের একটি উপধরন হলো প্লাজমা B-কোষ (Plasmacell), যেখান থেকে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়।
প্রয়োজন হলে প্রতিটি প্লাজমাকোষ প্রতি সেকেন্ডে কয়েক হাজার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে।
মানুষের দেহে প্রায় ১০০ মিলিয়ন (১০ কোটি) প্রকারের অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হতে পারে।
অ্যান্টিবডির প্রকারভেদ:
অ্যান্টিবডির গঠনে যে ভারী শৃঙ্খল রয়েছে, তার অ্যামিনো এসিড ক্রমের ভিত্তিতে ৫ ধরনের:
- γ (gamma), α (alpha), μ (mu), ε (epsilon), δ (delta)
এ পাঁচ ধরনের ভারী শৃঙ্খল অনুযায়ী অ্যান্টিবডি শ্রেণিভুক্ত:
১. ইমিউনোগ্লোবিউলিন G (IgG)
২. ইমিউনোগ্লোবিউলিন A (IgA)
৩. ইমিউনোগ্লোবিউলিন M (IgM)
৪. ইমিউনোগ্লোবিউলিন D (IgD)
৫. ইমিউনোগ্লোবিউলিন E (IgE)
ইমিউনোগ্লোবিউলিন A (IgA):
দেহের মোট Ig-র মধ্যে প্রায় ১৫% হলো IgA।
এটি মিউকাস ঝিল্লিতে থাকে (যেমন: পরিপাক, জনন ও শ্বসনতন্ত্র), যেখানে রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব ও অণুকণাকে প্রতিরোধ করে।
মায়ের দুধেও IgA থাকে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (গাজী আজমল)

0
Updated: 1 week ago