OIC-এর কততম শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অংশগ্রহণ করেন?
A
২য় শীর্ষ সম্মেলনে
B
৫ম শীর্ষ সম্মেলনে
C
৪র্থ শীর্ষ সম্মেলনে
D
৭ম শীর্ষ সম্মেলনে
উত্তরের বিবরণ
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC) ও বাংলাদেশ
-
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ২২–২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত OIC–এর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ লাভ করে।
-
এই সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC)
-
OIC (Organisation of Islamic Cooperation) মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন।
-
এটি গঠিত হয় ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোর রাবাত শহরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে।
-
মূল কারণ ছিল—ইসরাইল কর্তৃক জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ।
সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ৫৭টি।
-
দক্ষিণ আমেরিকার গায়ানা ও সুরিনাম এই সংগঠনের সদস্য।
-
ইউরোপ মহাদেশ থেকে আলবেনিয়া একমাত্র সদস্য দেশ।
-
সদর দপ্তর অবস্থিত সৌদি আরবের জেদ্দায়।
-
বর্তমান মহাসচিব হলেন হিসেইন ইব্রাহিম তাহা (১২তম মহাসচিব)।
-
মহাসচিবের মেয়াদ ৫ বছর।
-
শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় প্রতি ৩ বছর পর পর।
-
প্রথম শীর্ষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে মরক্কোর রাবাতে।
-
OIC–এর অফিসিয়াল ভাষা তিনটি— আরবি, ইংরেজি ও ফরাসি।
উৎস: ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
0
Updated: 1 month ago
আওয়ামী লীগের ৬-দফা পেশ করা হয়েছিল -
Created: 1 month ago
A
১৯৬৬ সালে
B
১৯৬৭ সালে
C
১৯৬৮ সালে
D
১৯৬৯ সালে
ছয় দফা দাবি (১৯৬৬)
পটভূমি: ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি হিসেবে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
ঘটনাক্রম:
-
১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে ৬ দফা প্রস্তাব করেন।
-
একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি, আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা আন্দোলন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি, বিরোধীদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবিগুলো পেশ করেন।
-
পরবর্তীতে, ১৮ মার্চ ১৯৬৬, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রকাশিত “আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফা কর্মসূচি” শীর্ষক পুস্তিকা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু:
-
প্রথম দফা: রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনতান্ত্রিক প্রকৃতি।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা বণ্টন।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা ও অর্থনীতি।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব ও শুল্কনীতি।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক মুদ্রা ও বাণিজ্যনীতি।
-
ষষ্ঠ দফা: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা।
এ ছয় দফাকে পূর্ব বাংলার “মুক্তির সনদ” বলা হয়, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মৎস্য প্রজাতি গবেষণাগার কোথায় অবস্থিত? ক) খ) গ) ঘ)
Created: 3 weeks ago
A
চাঁদপুর
B
ফরিদপুর
C
ময়মনসিংহ
D
ভোলা
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের জন্য একমাত্র জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত হয়।
এই ইনস্টিটিউট ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। গবেষণা কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ৫টি কেন্দ্র এবং ৫টি উপকেন্দ্র থেকে পরিচালিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য: দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
-
আবস্থান: প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ, সাথে ৫টি কেন্দ্র এবং ৫টি উপকেন্দ্র।
-
আধিপত্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৮৪।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে-
Created: 2 months ago
A
চীন
B
ভারত
C
যুক্তরাজ্য
D
থাইল্যান্ড
বাংলাদেশের আমদানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন থেকে সর্বাধিক পণ্য আমদানি করা হয়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ চীনের পণ্য সবচেয়ে বেশি কিনছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশভিত্তিক আমদানি (মিলিয়ন ডলার):
-
চীন: ১২,৫৫৩ (২৮.৪৬%)
-
ভারত: ৫,৯১৮ (১৩.৪২%)
-
যুক্তরাষ্ট্র: ১,৯৯০ (৪.৫১%)
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চীন থেকে, এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
-
আমদানিতে ট্যারিফের ছয়টি ধাপ আছে; সর্বোচ্চ শুল্কহার ২৫%।
-
EU-ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও পরবর্তী ৩ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়।
তথ্যসূত্র: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০২৪
0
Updated: 2 months ago