'গরমিল' শব্দের 'গর' কোন ধরনের উপসর্গ?
A
ফারসি
B
আরবি
C
তৎসম
D
খাঁটি বাংলা
উত্তরের বিবরণ
‘গরমিল’ শব্দের উপসর্গ:
-
গর → আরবি উপসর্গ (অভাব অর্থে)
বিদেশি উপসর্গ:
-
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি – এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত।
-
কিছু শব্দ খাঁটি উচ্চারণে, কিছু বিকৃত উচ্চারণে ব্যবহৃত হয়।
-
এ সঙ্গে অনেক বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু হয়েছে।
-
দীর্ঘকাল ব্যবহারে এগুলো বাংলা ভাষায় বেমালুম মিশে গেছে।
(উদাহরণ: বেমালুম → ‘মালুম’ আরবি শব্দ, ‘বে’ ফারসি উপসর্গ)
আরবি উপসর্গের উদাহরণ:
-
আম্: সাধারণ অর্থে → আমদরবার, আমমোক্তার
-
খাস: বিশেষ অর্থে → খাসমহল, খাসখবর
-
লা: না অর্থে → লাজওয়াব, লাখেরাজ
-
গর: অভাব অর্থে → গরমিল, গররাজি
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি (২০১৮ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
'অঘাচণ্ডী' শব্দটি কোন উপায়ে গঠিত?
Created: 2 weeks ago
A
প্রত্যয় সাধিত
B
সমাস সাধিত
C
সন্ধি সাধিত
D
উপসর্গ সাধিত
‘অঘা’ উপসর্গের অর্থ হলো ‘বোকা’ বা ‘মূর্খ’, যা শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে সেই শব্দে অজ্ঞতা বা বোকামির ধারণা প্রকাশ করে। এই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলো সাধারণত নেতিবাচক অর্থ বহন করে।
-
যেমন— অঘারাম অর্থ ‘বোকা রাম’ বা ‘মূর্খ ব্যক্তি’।
-
অঘাচণ্ডী অর্থ ‘বোকা চণ্ডী’ বা ‘অবোধ নারী’।
-
এখানে ‘অঘা’ শব্দটি স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত না হয়ে অর্থবোধক উপসর্গ হিসেবে কাজ করছে।
-
এই উপসর্গ সাধারণত লোকভাষা ও প্রাচীন শব্দগঠনে ব্যবহৃত হয় এবং তা অপমানসূচক বা কৌতুকপ্রদ অর্থ সৃষ্টি করে।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 3 weeks ago
A
অপি
B
অতি
C
প্রতি
D
ইতি
বাংলা উপসর্গ হলো সেই ক্ষুদ্র শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে অর্থ বা ভাব পরিবর্তন করে। বাংলা উপসর্গ মোট একুশটি, যেমন:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ হলো সেই উপসর্গ যা সংস্কৃত থেকে সরাসরি বাংলায় গ্রহণ করা হয়েছে। তৎসম উপসর্গ বিশটি, যেমন:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
0
Updated: 3 weeks ago
রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
শব্দের ব্যঞ্জনা
B
উচ্চারণ-প্রক্রিয়া
C
উপসর্গ
D
ধ্বনির বিন্যাস
রূপতত্ত্ব
-
শব্দ ও তার উপাদান নিয়ে আলোচনা করে।
-
আলোচ্য বিষয়: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদি।
-
বিশেষ গুরুত্ব: শব্দগঠন প্রক্রিয়া (উপসর্গ, সমাস, প্রত্যয়, পুরুষ)।
অর্থতত্ত্ব
-
শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ/ব্যঞ্জনা নিয়ে আলোচনা করে।
ধ্বনিতত্ত্ব
-
আলোচ্য বিষয়: ধ্বনি ও বর্ণ।
-
মূল বিষয়: বাগযন্ত্র, উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago