A
প্রতিবন্ধক
B
অনিষ্টকারী
C
অদৃশ্য বস্তু
D
নষ্ট করা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা কথাবার্তা ও প্রবাদসমূহ
-
বিষবৃক্ষ
-
অর্থ: অনিষ্টকারী
-
বাক্য উদাহরণ: চোরের ছেলে বাটপাড় হয়েছে—বিষবৃক্ষের ফল আর কী হবে?
-
-
পথের কাঁটা
-
অর্থ: প্রতিবন্ধক
-
-
ডুমুরের ফুল
-
অর্থ: অদৃশ্য বস্তু
-
-
মাথা খাওয়
-
অর্থ: নষ্ট করা
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 day ago
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
নিরঞ্জনের রুষ্মা
B
দোহাকোষ
C
গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
ময়নামতির গান
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/গানের সংকলন। এটি আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ: ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আধুনিক লিপিতে এটি প্রকাশ করে।
-
সম্পাদনা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়।
-
রচয়িতা ও বিষয়বস্তু: চর্যাপদের গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন। এতে বৌদ্ধধর্মের চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কবির সংখ্যা ও পদসংখ্যা:
-
সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায় এবং পদসংখ্যা ৫১টি; তবে তিনি ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’-এ ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
অন্যান্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ – অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
শুকুর মহম্মদের গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ও ভবানী দাসের ময়নামতির গান – নাথ সাহিত্য তথা মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
'ত্রিনয়ন' শব্দে 'ন' ব্যবহৃত হওয়ার কারণ কী?
Created: 1 day ago
A
এটি তদ্ভব শব্দ
B
এটি দেশি শব্দ
C
এটি সমাসবদ্ধ শব্দ
D
এটি বিদেশি শব্দ
• "ণ-ত্ব বিধান":
বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার রয়েছে। এগুলো বাংলা বানানেও অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়।
এখানে:
-
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়।
-
ঋ, র, ষ এর পরে 'ণ' বসে।
যেসকল ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
১. সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না। এরূপ ক্ষেত্রে ‘ন’ হয়। যেমন- ত্রিনয়ন, সর্বনাম ইত্যাদি।
২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় ন কখনো (ণ হয় না)। যেমন- অন্ত, গ্রন্থ ইত্যাদি।
৩. বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে 'ণ' লেখার প্রয়োজন হয় না।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (সংস্করণ ২০১৯)

0
Updated: 1 day ago
‘পোস্টাল কোড’ কী নির্দেশ করে?
Created: 13 hours ago
A
ডাক বিভাগের নাম
B
পোস্ট অফিসের নাম
C
প্রেরকের এলাকা
D
প্রাপকের এলাকা
পোস্টাল কোড একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ । নিজের ঠিকানার পূর্ণতা দান করতে পোস্টাল কোডের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া শেয়ার বাজারের স্টক হোল্ডারদের এনুয়াল রিপোর্ট/প্রসপেক্টাস পোস্টাল কোড অনুসারে ডাক বক্সএ এসে থাকে।
আবার অনেক সময় চাকরির ইন্টারভিউর তারিখ/সময়, এপইন্টমেন্ট লেটার ইত্যাদি ডাক যোগে প্রেরন করা হয়। বিভিন্ন সময়ে আমাদের চিঠি আদান প্রদান ও দাপ্তরিক কাজে পোস্টাল কোড ব্যবহার করতে হয়।

0
Updated: 13 hours ago