'উদর সম্পর্কিত' এক কথায় কী বলে?
A
ঔদনিক
B
ঔদ্ধারিক
C
ঔদবাহিক
D
ঔদরিক
উত্তরের বিবরণ
ঔদরিক
-
প্রকার: বিশেষণ পদ
-
অর্থ: উদর-সম্বন্ধীয়, উদরসর্বস্ব, উদরপরায়ণ, পেটুক
-
উদাহরণ: ‘উদর সম্পর্কিত’ বিষয়কে এক কথায় বলা যায় ঔদরিক।
অন্যান্য সংশ্লিষ্ট শব্দ:
-
ঔদনিক: পাচক; সূপকার
-
ঔদবাহিক: বিবাহসংক্রান্ত, বৈবাহিকসূত্রে প্রাপ্ত
-
ঔদ্ধারিক: উদ্ধারবিষয়ক, ঋণ পরিশোধসংক্রান্ত
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 1 month ago
"কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?"- পঙ্ক্তিদ্বয় কোন কবিতার অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন
B
দুঃখ বিনা সুখ হয় না
C
সুখ
D
সদ্ভাবশতক
“কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?” — এই পঙ্ক্তিদ্বয় কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার রচিত ‘সদ্ভাবশতক’ কাব্যগ্রন্থের ‘দুঃখ বিনা সুখ হয় না’ কবিতা থেকে সংগৃহীত। কবিতার মূল ভাব হলো— জীবনে কোনো সাফল্য বা সুখ অর্জনের জন্য কষ্ট, পরিশ্রম ও বাধা অতিক্রম করা অপরিহার্য।
কবিতাটিতে কবি মানবজীবনের সংগ্রাম ও অধ্যবসায়ের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি প্রশ্নের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন— কাঁটা দেখে যদি পদক্ষেপ থেমে যায়, তবে পদ্মরূপী সৌন্দর্য ও সাফল্য কখনোই লাভ করা সম্ভব নয়। দুঃখ ও পরিশ্রমই প্রকৃত সুখের পথ তৈরি করে।
‘দুঃখ বিনা সুখ হয় না’ কবিতার পূর্ণ পাঠ:
কি কারণ, দীন! তব মলিন বদন?
যতন করহ লাভ হইবে রতন।
কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ?
উদ্যম বিহনে কার পূরে মনোরথ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
মনে ভেবে বিষম-ইন্দ্রিয়-রিপু-ভয়,
হাফেজ! বিমুখ কেন করিতে প্রণয়?
কবি পরিচিতি:
-
নাম: কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
-
জন্ম: ১০ জুন, ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দ; স্থান: খুলনা জেলার সেনহাটি গ্রাম, এক বৈদ্য পরিবারে।
-
পেশা: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
-
সাহিত্যজীবন: ঈশ্বর গুপ্তের উৎসাহে তাঁর রচনা ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ ও ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
বিখ্যাত গ্রন্থ: সদ্ভাবশতক (প্রকাশকাল—১৮৬১)।
-
কাব্যের প্রকৃতি: এটি একটি নীতি ও উপদেশমূলক কাব্য, যা পারস্য কবি হাফেজ ও সাদী-র কাব্যধারায় রচিত।
-
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: তাঁর অনেক কবিতার পঙ্ক্তি পরবর্তীকালে প্রবাদবাক্যে পরিণত হয়েছে। যেমন— “চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে।”
-
কবির রচনাগুলি একসময় বিদ্যালয়পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
0
Updated: 2 weeks ago
মধ্যস্বর লোপ পেয়েছে নিচের কোন উদাহরণে?
Created: 2 months ago
A
আশা > আশ
B
আজি > আজ
C
অগুরু > অগ্র
D
উদ্ধার > উধার > ধার
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ
যখন কোনো শব্দ দ্রুত উচ্চারণ করার কারণে তার শুরু, মাঝখান বা শেষে থাকা কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই ইত্যাদি) হারিয়ে যায়, তখন তাকে সম্পরকর্ষ বা স্বরলোপ বলা হয়।
উদাহরণ:
-
বসতি → বস্তি,
-
জানালা → জান্লা।
• আদি স্বরলোপ:
শব্দের শুরুর স্বর যদি বাদ যায়, তখন তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ,
-
উদ্ধার → উধার → ধার।
• মধ্যস্বর লোপ:
শব্দের মাঝখানে থাকা স্বর বাদ গেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র,
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ।
• অন্ত্যস্বর লোপ:
শব্দের শেষের স্বর বাদ পড়লে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ,
-
আজি → আজ,
-
চারি → চার,
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'আচার্য' এর শুদ্ধ স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আচার্যিনী
B
আচার্যি
C
আচার্যানী
D
আচার্যাইন
বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনে আনী-প্রত্যয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রত্যয় যোগ করলে মূল শব্দ থেকে নতুন শব্দ তৈরি হয়, যা অনেক সময় লিঙ্গবাচক রূপ প্রকাশ করে, আবার কখনো অর্থে ভিন্নতা আনে।
-
আনী-প্রত্যয় যুক্ত শব্দ:
ইন্দ্র → ইন্দ্রানী
মাতুল → মাতুলানী
আচার্য → আচার্যানী (তবে আচার্যের কর্মে নিয়োজিত অর্থে শুধু আচার্য) -
অন্য উদাহরণ:
শূদ্র → শূদ্রা (শূদ্র জাতীয় স্ত্রীলোক)
শূদ্র → শূদ্রানী (শূদ্রের স্ত্রী)
ক্ষত্রিয় → ক্ষত্রিয়া/ক্ষত্রিয়ানী -
অর্থের পার্থক্য সৃষ্টি করা উদাহরণ:
অরণ্য → অরণ্যানী (বৃহৎ অরণ্য)
হিম → হিমানী (জমানো বরফ)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago