A
গাছে
B
ঘর
C
পদ্মর
D
ঘোড়ায়
উত্তরের বিবরণ
প্রাতিপদিক
প্রাতিপদিক হলো এমন নাম শব্দ যা কোনো বিভক্তি ছাড়া ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
লাজ
-
বড়
-
ঘর
এই শব্দগুলোর সঙ্গে কোনো বিভক্তি যুক্ত নয়, তাই এগুলো প্রাতিপদিক।
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রাতিপদিক তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি ধারণ করে।
-
যেমন ধাতুতে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতু ক্রিয়া রূপে পরিণত হয়, ঠিক তেমনই প্রাতিপদিকে নাম-প্রকৃতি বলা হয়।
পার্থক্য উদাহরণ:
-
গাছে, ঘোড়ায় (সপ্তমী বিভক্তি)
-
পদ্মর (ষষ্ঠী বিভক্তি)
এগুলোতে বিভক্তি যুক্ত হওয়ায় এগুলো প্রাতিপদিক নয়।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 day ago
‘নবপৃথিবী’–এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 6 days ago
A
নব ও পৃথিবী
B
নব পৃথিবী যার
C
নব যে পৃথিবী
D
নব পৃথিবীর ন্যায়
'নবপৃথিবী'- এর সঠিক ব্যাসবাক্য নব যে পৃথিবী। যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

0
Updated: 6 days ago
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
নিরঞ্জনের রুষ্মা
B
দোহাকোষ
C
গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
ময়নামতির গান
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/গানের সংকলন। এটি আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ: ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আধুনিক লিপিতে এটি প্রকাশ করে।
-
সম্পাদনা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়।
-
রচয়িতা ও বিষয়বস্তু: চর্যাপদের গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন। এতে বৌদ্ধধর্মের চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কবির সংখ্যা ও পদসংখ্যা:
-
সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায় এবং পদসংখ্যা ৫১টি; তবে তিনি ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’-এ ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
অন্যান্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ – অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
শুকুর মহম্মদের গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ও ভবানী দাসের ময়নামতির গান – নাথ সাহিত্য তথা মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
"পুরষ্কার-বিতরণী অনুষ্ঠানের পরিবেশ এত অপরিস্কার"। -বাক্যটির নিম্নরেখ পদে ষ/স ব্যবহারে-
Created: 2 weeks ago
A
প্রথমটি অশুদ্ধ, দ্বিতীয়টি শুদ্ধ
B
প্রথমটি শুদ্ধ, দ্বিতীয়টি অশুদ্ধ
C
দুটোই অশুদ্ধ
D
দুটোই শুদ্ধ
প্রদত্ত বাক্যে ‘পুরষ্কার’ ও ‘পরিস্কার’ শব্দ দুটি ভুলভাবে লেখা হয়েছে। সঠিক বানান হলো ‘পুরস্কার’ ও ‘পরিষ্কার’।
কেন এমন হয়:
বাংলায় বিসর্গযুক্ত ধ্বনির সঙ্গে যখন কোনো বর্ণ মিলিত হয় (সন্ধি), তখন সাধারণত নিম্নলিখিত নিয়ম প্রযোজ্য:
-
অ-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গযুক্ত শব্দের মিলন:
-
অ-ধ্বনি বা মুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘স’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পুরঃ + কার = পুরস্কার
-
নমঃ + কার = নমস্কার
-
বনঃ + স্পতি = বনস্পতি
-
-
-
ই-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গযুক্ত শব্দের মিলন:
-
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘ষ’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পরি + ই-ধ্বনি → পরিষ্কার
-
বহিঃ + কার = বহিষ্কার
-
নিষ্কলঙ্ক, নিষ্প্রভ, নিষ্পন্ন
-
-
⚠️ তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন স্প / স্ত / স্থ থাকলে ‘ষ’ হয় না। যেমন: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ।
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 weeks ago