'দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে"- বাক্যে 'বিনা' কোন পদ?
A
যোজক
B
উপসর্গ
C
অনুসর্গ
D
আবেগ
উত্তরের বিবরণ
অনুসর্গ (Prepositions / Prefixes)
সংজ্ঞা:
বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির মতো বাক্যে ব্যবহার হয়ে অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, তাদেরকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
-
অনুসর্গ কখনো প্রতিপাদিকের পরে, আবার কখনো ‘কে’ বা ‘র’ বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসতে পারে।
উদাহরণ:
-
বাক্য: “দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে” → এখানে বিনা অনুসর্গ পদ।
প্রচলিত অনুসর্গের তালিকা:
প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, হেতু, মধ্যে, মাঝে, পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, পর্যন্ত, মতো, নামে, পানে, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়ে, ভিতর, পাছে, চেয়ে ইত্যাদি।
-
বিশেষ ক্ষেত্রে বিভক্তি যুক্ত অনুসর্গ: দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক (তৃতীয়া বিভক্তি), হইতে, হতে, চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), অপেক্ষা, মধ্যে ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
নাসিক্য বর্ণ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
শ
B
হ
C
ল
D
ম
নাসিক্য বর্ণ
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস মুখ ও নাক দিয়ে বা শুধু নাক দিয়ে বের হয়, সেগুলোকে বলে নাসিক্য ধ্বনি। এই ধ্বনিগুলোর প্রতীক যে বর্ণগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়, সেগুলোকে বলে নাসিক্য বর্ণ।
উদাহরণ: ঙ, ঞ, ণ, ন, ম।
উষ্ম ব্যঞ্জন
যেসব ধ্বনি উচ্চারণে মুখ থেকে হালকা উত্তাপের অনুভূতি হয়, সেগুলোকে বলে উষ্ম ধ্বনি।
উদাহরণ: স, শ, হ।
পার্শ্বিক ব্যঞ্জন
যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা মাঝখান দিয়ে বাধা দেয় কিন্তু দুই পাশে বাতাস বের হয়, সেগুলোকে বলে পার্শ্বিক ধ্বনি।
উদাহরণ: ল।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'রুখের তেন্তুলি কুমীরে খাই’--এর অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
তেজি কুমিরকে রুখে দিই
B
বৃক্ষের শাখায় পাকা তেঁতুল
C
গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়
D
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়
চর্যাগীতির মধ্যে কিছু গান কাব্যিক এবং তান্ত্রিক দিক নির্দেশ করে। কুক্কুরীপার রচিত চর্যাগীতি এই ধারার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তাঁর রচনাগুলোতে সমাজ, দৈনন্দিন জীবন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা একসাথে ফুটে ওঠে।
কুক্কুরীপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচয়িতা (২, ২০, ৪৮ নম্বর)।
-
৪৮ সংখ্যক গানের একটি পুথি বর্তমানে লুপ্ত।
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়; তাঁর চর্যার ভাষা এ কথা নির্দেশ করে।
-
কুক্কুরীপা তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন; নামের সঙ্গে 'পা' যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরুপ্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত, এ থেকেই নামকরণ হয়েছে কুক্কুরীপা।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন। হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লোক বলেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’-এর রচয়িতা হিসেবে কুক্কুরীপার নাম পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন। ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
-
কুক্কুরীপার চর্যারপদসমূহ (মূল চর্যা ও আধুনিক গদ্যে অনুবাদ):
১. দুলি দুহি পীঢ়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাই'।
-
মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী। -
ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই। -
শ্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই। -
দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে বা কামরূপে যায়।
৫. অইসনী” চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল"। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি" সমাইল। -
এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।
0
Updated: 1 month ago
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কবি কবি
B
এলোমেলো
C
খুটুর খুটুর
D
জ্বলজ্বল
বাংলা ভাষায় দ্বিত্ব শব্দগঠন বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়, যা বাক্য ও ভাবকে আরও প্রাঞ্জল ও চিত্তাকর্ষক করে তোলে। দ্বিত্বের প্রধান তিনটি ধরন নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
-
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
-
কোনো শব্দ পুনরায় আবৃত্ত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, কথায় কথায়, ঘুম ঘুম
-
-
অনুকার দ্বিত্ব
-
পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দ, যেখানে প্রথম শব্দ অর্থপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় শব্দটি সাধারণত অর্থহীন এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
-
উদাহরণ: গুটিশুটি, মোটাসোটা, আম টাম, এলোমেলো
-
-
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
-
প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
আর এই ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তি ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ: কুটুস-কুটুস, কুট কুট, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, জ্বলজ্বল, ঝমঝম, চকচক, টসটস
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago