সাধারণ পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ কোনটি?
A
পহেলা
B
দ্বিতীয়া
C
একত্রিশে
D
সোয়া
উত্তরের বিবরণ
পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ (Ordinal Numbers)
বাংলা ভাষায় পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ তিন প্রকার:
১. সাধারণ পূরণবাচক
-
সংজ্ঞা: ক্রমবাচক সংখ্যার অবস্থান বা পর্যায় নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ইত্যাদি।
-
সংক্ষিপ্ত রূপ: ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ইত্যাদি।
-
১১–১৮ পর্যন্ত পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত রূপ:
-
১১: একাদশ (১১শ) / এগারোতম (১১তম)
-
১২: দ্বাদশ (১২শ) / বারোতম (১২তম)
-
১৩: ত্রয়োদশ (১৩শ) / তেরোতম (১৩তম) …
-
-
১৯–৯৯ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত রূপ: শুধু ‘তম’ প্রত্যয় যোগ।
-
উদাহরণ: উনিশতম (১৯তম), বিশতম (২০তম), একুশতম (২১তম), আটাশতম (২৮তম), নিরানব্বইতম (৯৯তম)
-
-
নারীবাচক রূপ:
-
প্রথমা (১মা), দ্বিতীয়া (২য়া), তৃতীয়া (৩য়া), চতুর্থী (৪র্থী), পঞ্চমী (৫মী), ষষ্ঠী (৬ষ্ঠী), … একাদশী (১১শী), দ্বাদশী (১২শী) ইত্যাদি
-
২. তারিখ পূরণবাচক
-
ব্যবহার: বাংলা তারিখ নির্দেশে বিশেষ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পয়লা/পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছয়ই, সাতই, আটই …
-
ত্রিশে, একত্রিশে ইত্যাদি
-
৩. ভগ্নাংশ পূরণবাচক
-
ব্যবহার: পূর্ণসংখ্যার থেকে খানিকটা কম বা বেশি বোঝাতে।
-
উদাহরণ: আধ, সাড়ে, পোয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দে শুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে?
Created: 2 weeks ago
A
নিরপরাধী
B
অহর্নিশি
C
নির্দোষ
D
দিবারাত্রি
শুদ্ধ প্রয়োগ: নির্দোষ।
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ সমাসের ফলে গঠিত হলেও ব্যবহারিক কারণে তাদের মধ্যে কিছু অশুদ্ধ রূপ প্রচলিত রয়েছে। প্রমিত নিয়ম অনুযায়ী এসব শব্দের নির্ভুল বা শুদ্ধ রূপ ব্যবহার করা আবশ্যক।
সমাস-ঘটিত কিছু অশুদ্ধ শব্দ ও তাদের শুদ্ধরূপ:
-
নিরপরাধী → নিরপরাধ
-
অহর্নিশি → অহর্নিশ
-
নিরহঙ্কারী → নিরহঙ্কার
-
নির্দোষী → নির্দোষ
-
পিতাহারা → পিতৃহারা
-
অর্ধরাত্রি → অর্ধরাত্র
-
নিরভিমানী → নিরভিমান
-
দিবারাত্রি → দিবারাত্র
-
নীরোগী → নীরোগ
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি পুরাঘটিত অতীত কাল নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
আমরা তখন পত্রিকা পড়ছিলাম।
B
কাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ছিল।
C
কাজটি কি তুমি করেছিলে?
D
শিকারি পাখিটিকে গুলি করল।
বাংলা ভাষায় অতীত কাল ক্রিয়ার সময় ও ঘটনার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তিন ধরনের ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি অতীত কাল নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
-
পুরাঘটিত অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: যে ক্রিয়া অতীতের বহু পূর্বেই সংঘটিত হয়েছে এবং যার পরে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে, তাকে পুরাঘটিত অতীত কাল বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
সেবার তাকে সুস্থই দেখেছিলাম।
-
কাজটি কি তুমি করেছিলে?
-
-
-
সাধারণ অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: বর্তমান কালের পূর্বে যে ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে, তার সংঘটন সাধারণ অতীত কাল।
-
উদাহরণ:
-
শিকারি পাখিটিকে গুলি করল।
-
-
-
ঘটমান অতীত কাল
-
সংজ্ঞা: অতীত কালে যে কাজ চলছিল এবং সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখনও কাজটি সমাপ্ত হয়নি, এমন ক্রিয়ার সংঘটনকে ঘটমান অতীত কাল বলে।
-
উদাহরণ:
-
কাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ছিল।
-
আমরা তখন বই পড়ছিলাম।
-
বাবা আমাদের পড়াশুনা দেখছিলেন।
-
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'ত্রিফলা' - কোন ধরনের সমাস সাধিত শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
উপমান কর্মধারয় সমাস
B
দিগু কর্মধারয় সমাস
C
উপমিত কর্মধারয় সমাস
D
রূপক কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাসের বিভিন্ন রূপের মধ্যে দিগু, উপমান, উপমিত এবং রূপক কর্মধারয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি রূপে পূর্বপদ ও উত্তরপদের মধ্যে অর্থগত সম্পর্ক ভিন্ন হয়, ফলে সমাসের ভাবও পরিবর্তিত হয়।
দিগু কর্মধারয় সমাস:
যেসব কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদ সংখ্যা নির্দেশ করে, সেগুলোকে দিগু কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
তিন ফলের সমাহার = ত্রিফলা
-
চার রাস্তার মিলন = চৌরাস্তা
উপমান কর্মধারয় সমাস:
যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাকে উপমান বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমানের সঙ্গে গুণবাচক শব্দের যোগে গঠিত সমাসকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
কাজলের মতো কালো = কাজলকালো
-
শশের মতো ব্যস্ত = শশব্যস্ত
উপমিত কর্মধারয় সমাস:
যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সঙ্গে উপমান পদের সমাস হয়— একে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ
-
আঁখি পদ্মের ন্যায় = পদ্মআঁখি
রূপক কর্মধারয় সমাস:
যেসব কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমেয়ের অভেদ কল্পনা করা হয়, অর্থাৎ উপমানকে উপমেয়রূপে কল্পনা করা হয়, সেগুলোকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
-
মন রূপ মাঝি = মনমাঝি
0
Updated: 2 weeks ago