A
বৈদিক
B
অস্ট্রিক
C
পালি
D
ধ্রুপদী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার উৎপত্তি
-
ভাষা পরিবার: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-গোষ্ঠীর সদস্য।
-
উৎপত্তি: ইন্দো-ইরানীয় শাখাভুক্ত নব্য-ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে।
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি শাখা: কেন্তম এবং শতম। বাংলা ভাষা শতম শাখা থেকে উদ্ভূত।
-
-
আদি জনগোষ্ঠী: অস্ট্রিক ভাষাভাষী।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় প্রভাব
-
ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষার মূল উৎস অনার্য ভাষা।
-
আর্যদের ভাষা: বৈদিক ভাষা।
-
বৈদিক ভাষার সংস্কারজাত নতুন ভাষা: সংস্কৃত।
-
শব্দ “সংস্কৃত” প্রথম উল্লেখ: মহাকাব্য ‘রামায়ণ’।
-
-
বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয়: অহমিয়া ও ওড়িয়া।
-
ধ্রুপদী সংস্কৃতি ও পালি ভাষার সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: গৌড়ি প্রাকৃত → গৌড়ি অপভ্রংশ → বঙ্গ-কামরুপি → বাংলা।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: মাগধী প্রাকৃত → মাগধী অপভ্রংশ → বাংলা।
-
ভাষাবিদরা ড. শহীদুল্লাহর মতামতকে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক পর্যায়
১. প্রাচীন বাংলা: ৯০০/১০০০ – ১৩৫০
-
উল্লেখযোগ্য লিখিত নিদর্শন: চর্যাগীতিকাগুলি
২. মধ্যবাংলা: ১৩৫০ – ১৮০০
৩. আধুনিক বাংলা: ১৮০০ পরবর্তী
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 day ago
'হস্তী' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 week ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ
সংজ্ঞা:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হয়ে মূল শব্দের আক্ষরিক অর্থের অনুগামী না থেকে একেবারে অন্য কোনো বিশেষ বা প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
উদাহরণসমূহ
-
হস্তী: হস্ত + ইন → আক্ষরিক অর্থ হাত আছে যার; কিন্তু রূঢ় অর্থে বোঝায় একটি পশু (হাতি)।
-
গবেষণা: গো + এষণা → আক্ষরিক অর্থ গরু খোঁজা; রূঢ় অর্থে ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: আক্ষরিক অর্থে বাঁশ দিয়ে তৈরি বস্তু; রূঢ় অর্থে সুর বাজানোর বাদ্যযন্ত্র।
-
তৈল: মূল অর্থে তিলজাত স্নেহ পদার্থ; রূঢ় অর্থে যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ (যেমন: বাদাম তেল)।
-
প্রবীণ: আক্ষরিক অর্থে প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে পারেন যিনি; রূঢ় অর্থে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
সন্দেশ: মূল অর্থে সংবাদ; রূঢ় অর্থে একটি মিষ্টান্ন বিশেষ।
✅ অর্থাৎ, রূঢ়ি শব্দের প্রকৃত অর্থ তার আদি গঠনমূলক অর্থ থেকে ভিন্ন ও বিশেষ প্রচলিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 week ago
‘বীনাপানি’ কোন সমাস?
Created: 1 week ago
A
অব্যয়ীভাব
B
কর্মধারয়
C
বহুব্রীহি
D
তৎপুরুষ
যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের দুটিই বিশেষ্যপদ হয়, তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। যেমন - বীণা পানিতে যার = বীণাপাণি আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ।

0
Updated: 1 week ago
সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ 'বনগীতি' রচনা করেন কে?
Created: 1 week ago
A
কায়কোবাদ
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
গোলাম মোস্তফা
D
জসীম উদ্দীন
কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ
-
চোখের চাতক
-
নজরুল গীতিকা
-
সুর সাকী
-
বনগীতি
-
অন্যান্য গ্রন্থ
কাজী নজরুল ইসলাম
-
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম।
-
বাল্যকালে ডাকনাম: ‘তারা ক্ষ্যাপা’, ‘নজর আলী’, ‘দুখু মিয়া’।
-
বাল্যকালেই লেটোগানের দলে যোগদান; লেটোদলের বিখ্যাত কবিয়াল শেখ চাকা তাঁকে ‘ব্যাঙাচি’ বলে ডাকতেন।
-
অন্যান্য ছদ্মনাম: ধূমকেতু, নুরু।
-
বাংলা সাহিত্যে পরিচিত: ‘বিদ্রোহী কবি’।
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে খ্যাত: ‘বুলবুল’।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; কবি নজরুল জীবনী

0
Updated: 1 week ago