'শোচনীয়' শব্দের শুদ্ধ প্রকৃতি প্রত্যয় কোনটি?
A
√শুচ্ + নীয়
B
√শোচ্ + অনীয়
C
√শোচ্ + নীয়
D
√শুচ্ + অনীয়
উত্তরের বিবরণ
কৃৎ প্রত্যয়: অনীয় (অনীয়র)
অর্থ: যোগ্য বা কর্তব্য বোঝাতে ব্যবহার হয়। এই কৃৎ প্রত্যয়টি বিশেষণ শব্দ গঠনে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
| ধাতু (মূল শব্দ) | কৃৎ + অনীয় | অর্থ/ব্যাখ্যা |
|---|---|---|
| √কৃ | করণীয় | করা যাইবার যোগ্য |
| √দৃশ্ | দর্শনীয় | দেখা যাইবার যোগ্য |
| √শুচ | শোচনীয় | শোক প্রকাশ করার যোগ্য |
| √স্মৃ | স্মরণীয় | মনে রাখার যোগ্য |
| √পালি | পালনীয় | পালন করার যোগ্য |
| √বৃ | বরণীয় | গ্রহণ করার যোগ্য |
আরও উদাহরণ:
-
মাননীয়
-
পূজনীয়
-
পানীয়
-
গ্রহণীয়
-
রমণীয়
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন শব্দটি সমার্থক শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ?
Created: 1 month ago
A
একমাত্র
B
সম্মুখবর্তী
C
কেবলমাত্র
D
সমৃদ্ধশালী
‘কেবলমাত্র’ শব্দটি অপপ্রয়োগ।
-
এটি ঘটে সমার্থক শব্দের বাহুল্যজনিত কারণে।
-
এখানে ‘কেবল’ এবং ‘মাত্র’ দুটি একই অর্থের শব্দ একত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
একই কারণে কেবলমাত্র অশুদ্ধ।
অন্যদিকে, অপশনের অন্যান্য শব্দগুলোর শুদ্ধ প্রয়োগ হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃত শব্দের ভাষাগত অর্থ –
Created: 2 months ago
A
মূর্খদের ভাষা
B
পণ্ডিতদের ভাষা
C
জনগণের ভাষা
D
লেখকদের ভাষা
প্রাকৃত মধ্যভারতীয় আর্যভাষা। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা বৈদিক বা সংস্কৃত থেকে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সংস্কৃত ভাষার যে রূপটি ছিল সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, তা এক সময় শিথিল ও সরল হয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ ধারণ করে।
কালক্রমে এগুলিকেই বলা হয় প্রাকৃত ভাষা। প্রাকৃত ভাষার নামকরণ প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলেন যে, এর প্রকৃতি বা মূল হচ্ছে ‘সংস্কৃত’, তাই প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত বলে এর নাম হয়েছে প্রাকৃত। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘প্রকৃতি’ অর্থ সাধারণ জনগণ এবং তাদের ব্যবহূত ভাষাই প্রাকৃত ভাষা, অর্থাৎ প্রাকৃত জনের ভাষা প্রাকৃত ভাষা।
0
Updated: 2 months ago
ক্রিয়াপদের মূল অংশকে কী বলে?
Created: 3 months ago
A
কর্ম
B
ধাতু
C
প্রত্যয়
D
বিভক্তি
ধাতু বা ক্রিয়ামূল
-
যে শব্দ দিয়ে কোনো কাজ বা কার্য বোঝায়, তাকে বলা হয় ক্রিয়াপদ।
-
ক্রিয়াপদের মূল অংশকে বলা হয় “ধাতু” বা “ক্রিয়ামূল”।
-
ধাতু তিন ধরনের হতে পারে:
-
মৌলিক ধাতু – যেমন: খা (খাওয়া), যাও (যাওয়া)
-
সাধিত ধাতু – মূল ধাতু থেকে বানানো ধাতু
-
যৌগিক ধাতু – একাধিক ধাতু মিলিয়ে তৈরি হয়
-
ক্রিয়াপদ কীভাবে গঠিত:
-
একটি ক্রিয়াপদ বিশ্লেষণ করলে সাধারণত দুটি অংশ পাওয়া যায়:
-
ধাতু বা ক্রিয়ামূল
-
ক্রিয়া-বিভক্তি
যেমন: করলাম → ‘কর’ (ধাতু) + ‘লাম’ (ক্রিয়া-বিভক্তি)
-
কর্ম:
-
যে জিনিস বা ব্যক্তি কোনো কাজের উপর প্রভাব ফেলে বা কাজটি যার উপরে হয়, তাকে বলে কর্ম।
উদাহরণ: রানা বই পড়ে। এখানে “বই” হলো কর্ম।
বিভক্তি:
-
পদের সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু শব্দাংশ, যা কারক বা ক্রিয়ার সময় বোঝায়, তাকে বিভক্তি বলে।
-
বিভক্তি দুই রকম:
-
ক্রিয়া-বিভক্তি – যেমন: করলাম → “লাম” হলো ক্রিয়া-বিভক্তি
-
কারক-বিভক্তি – যেমন: কৃষকের → “এর” হলো কারক-বিভক্তি
-
প্রত্যয়:
-
শব্দ বা ধাতুর শেষে এমন কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, যেগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থ নেই কিন্তু নতুন শব্দ তৈরি করে, এগুলোকে প্রত্যয় বলে।
-
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।
0
Updated: 3 months ago