মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কোনটি?
A
সাম্যবাদ
B
স্থিরপ্রতিজ্ঞ
C
সস্ত্রীক
D
সবিনয়
উত্তরের বিবরণ
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
যে সমাসে কর্মধারয় পদ থেকে মধ্যপদটি লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পল (মাংস) + অন্ন → পলান্ন
-
সিংহ + আসন → সিংহাসন
-
প্রীতি + উপহার → প্রীতিউপহার
-
মৌ + মাছি → মৌমাছি
-
সাহিত্য + সভা → সাহিত্যসভা
-
ঘর + জামাই → ঘরজামাই
-
স্মৃতি + সৌধ → স্মৃতিসৌধ
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ সরাসরি বোঝা না গিয়ে অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আয়ত লোচন যার → আয়তলোচনা (স্ত্রী)
-
মহান আত্মা যার → মহাত্মা
-
স্বচ্ছ সলিল যার → নীলবসনা
-
স্থির প্রতিজ্ঞা যার → স্থিরপ্রতিজ্ঞ
-
ধীর বুদ্ধি যার → ধীরবুদ্ধি
-
সহার্থক বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সহার্থক পদ (অর্থ-সহ অর্থজ্ঞাপক) সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে।
-
উদাহরণ:
-
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান → সস্ত্রীক
-
বিনয়ের সঙ্গে বর্তমান → সবিনয়
-
অন্যান্য: সফল, সবান্ধব, সকরুণ, সহিত, সবল, সহদয়, সক্রিয়, সবিরাম, সগোত্র, সচকিত
-
উৎস:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
'স্বৈর' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কী?
Created: 3 weeks ago
A
স্ব + ঈর
B
সু + ঈর
C
স্ব + ইর
D
স্বঃ + ইর
স্ব + ঈর = স্বৈর হলো একটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।
-
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি:
যে সমস্ত সন্ধি কোন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে সংঘটিত হয় না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয়। -
কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির উদাহরণ:
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য
-
কুল + অটা = কুলটা
-
গো + অক্ষ = গবাক্ষ
-
প্র + ঊঢ় = প্রৌঢ়
-
স্ব + ঈর = স্বৈর
-
গো + ইন্দ্র = গবেন্দ্র
-
গো + ঈশ্বর = গবেশ্বর
-
অক্ষ + ঊহিণী = অক্ষৌহিণী
-
মার্ত + অণ্ড = মার্তণ্ড
-
রক্ত + ওষ্ঠ = রক্তোষ্ঠ
-
সীমন + অত = সীমন্ত
-
0
Updated: 3 weeks ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জাজ্জ্বল্যমান
B
বয়োজ্যেষ্ঠ
C
প্রোজ্বলিত
D
নিরূপম
শুদ্ধ বানান: বয়োজ্যেষ্ঠ
-
এটি একটি বিশেষণ পদ।
-
অর্থ: বয়সে বড়
অন্যদিকে, অশুদ্ধ শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান হলো—
-
জাজ্জ্বল্যমান → জাজ্বল্যমান
-
প্রোজ্বলিত → প্রজ্বলিত
-
নিরূপম → নিরুপম
0
Updated: 1 month ago
’ণ-ত্ব’ বিধান অনুযায়ী কোনটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ট-বর্গীয় ধ্বনির পরে তৎসম শব্দে ‘ণ’ লেখা হয়
B
ঋ, র, ষ-এর পরে সবসময় ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়
C
ঔ, ও-এর পরে ‘ণ’ ব্যবহার হয়
D
বিদেশি শব্দে ’ণ’ হয়
ণ-ত্ব বিধান:
বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
'ণ' ব্যবহারের নিয়ম:
-ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঘণ্টা, কাণ্ড ইত্যাদি।
- ঋ, র, ষ - এর পরে 'ণ' হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ ইত্যাদি।
-কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই 'ণ' হয়।
যেমন: চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago