'চাকর' কোন ভাষার শব্দ?
A
বাংলা
B
চীনা
C
ফারসি
D
আরবি
উত্তরের বিবরণ
চাকর
-
শব্দের উৎস: ফারসি ভাষা
-
পদভেদ: বিশেষ্য
-
অর্থ:
-
পরিচারক
-
কর্মচারী
-
ফারসি থেকে বাংলা ভাষায় আগত কিছু শব্দ
-
গ্রেপ্তারি, গ্রেফতার, দারোগা, দারোয়ান, সাদা, খরগোশ, কাজি, খোয়াব, চেহারা, কাগজ, চশমা, চাকর ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 1 month ago
অশুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নিক্বণ
B
শূদ্রাণী
C
সূচগ্রমোদিনী
D
শুশ্রূষা
অশুদ্ধ বানান: সূচগ্রমোদিনী
শুদ্ধ বানান: সূচ্যগ্রমোদিনী
এটি একটি বিশেষ্য পদ।
শব্দের অর্থ—
-
সুচের ডগায় ধরে এমন পরিমাণ ভূমি
-
সামান্য পরিমাণ জমি
অন্যদিকে, নিম্নলিখিত শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ—
-
শুশ্রূষা
-
নিক্বণ
-
শূদ্রাণী
0
Updated: 1 month ago
'তুমি এতক্ষণ কী করেছ?'- এই বাক্যে 'কী' কোন পদ?
Created: 3 months ago
A
কবিশেষণ
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
'তুমি এতক্ষণ করেছ' এই বাক্যে 'কী' প্রশ্নবাচক সর্বনাম পদ।
------------------
সর্বনাম পদ:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে।
• প্রশ্নবাচক সর্বনাম:
যে সর্বনাম দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশ্ন করা বুঝায় তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে।
এ জাতীয় সর্বনা হলো : কে, কী, কোন, কার, কাকে, কীসে ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনামসমূহকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
যথা:
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
৩. সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
৪. দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব।
৫. সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
৬. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
[প্রশ্ন তৈরির জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম প্রয়োগ করা হয়। যেমন - কী দিয়ে ভাত খায়?]
৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
৮. ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৯. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
১০. অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি [২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ]।
0
Updated: 3 months ago
ধ্বন্যাত্মক শব্দের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চাকর-বাকর
B
চকচক
C
জ্বর জ্বর
D
সুরে সুরে
ধ্বন্যাত্মক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে তৈরি হয়। ধ্বন্যাত্মক শব্দের মধ্যে যেসব শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
কিছু উদাহরণ ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
কিছু ক্ষেত্রে স্বরধ্বনি যুক্ত দ্বিত্ব দেখা যায়, যেমন:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
অন্যদিকে, ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের প্রকারভেদ:
-
অনুকার দ্বিত্ব: কাছাকাছি চেহারার শব্দ পরপর প্রয়োগ হলে যা প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়। দ্বিতীয় শব্দ প্রায়ই অর্থহীন হয়। এতে ট, ফ, ব, ম, শ ইত্যাদি ধ্বনি যুক্ত হতে পারে।
উদাহরণ: কচর-মচর, অঙ্ক-টঙ্ক, চাকর-বাকর, এলোমেলো, অল্পসল্প, ব্যাপার-স্যাপার, বুঝে-সুঝে -
পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব: পুনরায় আবৃত্ত হলে। এটি বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে।
উদাহরণ:-
বিভক্তিহীন: ভালো ভালো, কত কত, হঠাৎ হঠাৎ, ঘুম ঘুম, উড় উড়ু, গরম গরম, হায় হায়
-
বিভক্তিযুক্ত: কথায় কথায়, মজার মজার, ঝাঁকে ঝাঁকে, চোখে চোখে, মনে মনে, সুরে সুরে, পথে পথে
-
0
Updated: 1 month ago