অগ্ন্যাশয়রসে কোন উৎসেচক থাকে না?
A
পেপসিন
B
লাইপেজ
C
ট্রিপসিন
D
অ্যামাইলেজ
উত্তরের বিবরণ
অগ্ন্যাশয় (Pancreas):
অগ্ন্যাশয় পাকস্থলীর পিছনে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশ্রগ্রন্থি।
এটি একদিকে পরিপাকে অংশগ্রহণকারী এনজাইম উৎপন্ন করে, অন্যদিকে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন নিঃসৃত করে।
তাই অগ্ন্যাশয় বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি উভয়ের কাজ করে।
অগ্ন্যাশয়রস অগ্ন্যাশয় নালির মাধ্যমে যকৃত-অগ্ন্যাশয়নালি দিয়ে ডিওডেনামে প্রবেশ করে।
অগ্ন্যাশয়রসে প্রধানত ট্রিপসিন, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ এনজাইম থাকে।
এসব এনজাইম শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাকে সাহায্য করে।
এছাড়া এটি দেহের অম্ল-ক্ষারের সাম্যতা, পানির সাম্যতা ও দেহতাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে অগ্ন্যাশয় গ্লুকাগন ও ইনসুলিন হরমোন নিঃসৃত করে।
এই হরমোন দুটি রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
Post Partum Haemorrhage (PPH)-এর প্রধান কারণ-
Created: 4 days ago
A
রক্তশূন্যতা
B
আয়োডিন স্বল্পতা
C
Pain Pregnancy
D
Non contracting uterus
প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ বা Post Partum Haemorrhage (PPH) হলো এমন একটি জটিল অবস্থা, যা প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মায়ের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মের পর কিছুটা রক্তপাত হয়, তবে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে সেটি প্যাথলজিক্যাল অবস্থায় পরিণত হয় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে। এই জটিলতার প্রধান কারণ হলো জরায়ুর সংকোচন না হওয়া বা Non-contracting uterus।
-
প্রসবের পর জরায়ুর স্বাভাবিক কাজ হলো দ্রুত সংকুচিত হয়ে রক্তনালী বন্ধ করা, যাতে অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ থাকে। কিন্তু যখন জরায়ু শিথিল বা ঢিলে অবস্থায় থেকে যায়, তখন রক্তনালীগুলো খোলা থাকে এবং রক্তপাত অব্যাহত থাকে।
-
এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় Uterine Atony, যা PPH-এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ; প্রায় ৭০–৮০% ক্ষেত্রেই এই কারণেই রক্তপাত ঘটে।
-
Non-contracting uterus সাধারণত দেখা যায় দীর্ঘ সময়ের প্রসব, অতিরিক্ত বাচ্চা (multiple pregnancy), বৃহদাকৃতি শিশু (macrosomia), বা অতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের ফলে।
-
জরায়ুতে জমে থাকা রক্ত বা টিস্যুর টুকরোও কখনও জরায়ুর সংকোচন ব্যাহত করে রক্তপাত বাড়িয়ে দিতে পারে।
-
যেসব মায়ের আগে থেকে রক্তশূন্যতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই অবস্থার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়, কারণ অল্প রক্তপাতও তাদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে, যদিও এটি PPH-এর সরাসরি কারণ নয়।
-
প্রসব-পরবর্তী যত্নে জরায়ুর সঠিক সংকোচন নিশ্চিত করতে পেট ম্যাসাজ, অক্সিটোসিন বা মিসোপ্রোস্টল জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এগুলো জরায়ুকে দ্রুত সংকুচিত করতে সাহায্য করে।
-
জরুরি অবস্থায় ম্যানুয়াল কম্প্রেশন, বেলুন ট্যাম্পোনেড, এমনকি প্রয়োজন হলে শল্য চিকিৎসা (hysterectomy) পর্যন্ত করতে হতে পারে মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য।
-
প্রসবের সময় অভিজ্ঞ ধাত্রী বা চিকিৎসক দ্বারা প্রসব করানো ও প্রসব-পরবর্তী সময় পর্যবেক্ষণ করা এ ধরনের জটিলতা প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
PPH প্রতিরোধে Active Management of Third Stage of Labour (AMTSL) একটি কার্যকর পদ্ধতি, যেখানে প্লাসেন্টা বের হওয়ার সাথে সাথে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে জরায়ুর সংকোচন বাড়ানো হয়।
সবশেষে বলা যায়, Non-contracting uterus বা Uterine atony হলো Post Partum Haemorrhage-এর মূল ও প্রধান কারণ। দ্রুত সঠিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী অবস্থা থেকে মায়ের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago
ORS সাধারণত কোন রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
জ্বর
B
ডায়রিয়া
C
ডায়াবেটিস
D
কাশি
ORS (Oral Rehydration Solution) হলো একটি মৌখিক দ্রবণ, যা ডায়রিয়া, কলেরা বা অতিরিক্ত বমির কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিশূন্যতা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ও সহজলভ্য একটি উপায়।
ORS সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি এক ধরনের দানাদার মিশ্রণ, যা পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
-
শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়ার সময় এটি পানিশূন্যতা (Dehydration) প্রতিরোধে সাহায্য করে।
-
সাধারণত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
এটি শরীরে লবণ-পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং জীবন রক্ষাকারী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়।
ORS-এ উপস্থিত উপাদানসমূহ:
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ)
-
গ্লুকোজ
-
পটাশিয়াম ক্লোরাইড
-
সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা সাইট্রেট
0
Updated: 1 month ago
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস কোন অংশের অসুখ?
Created: 4 days ago
A
হার্ট
B
কিডনী
C
লিভার
D
ব্রেইন
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস একটি কিডনির রোগ, যা কিডনির গ্লোমেরুলি নামক ছোট রক্তনালীগ্রন্থির প্রদাহজনিত অসুখ। গ্লোমেরুলি হলো কিডনির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি ছেঁকে বের করে মূত্র তৈরি হয়। যখন এই গ্লোমেরুলির মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন কিডনির কাজ স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না, যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত বর্জ্য ও পানি জমে যায়।
-
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিসের কারণে রক্তে বাড়তি প্রোটিন ও রক্তের উপস্থিতি, ফুলে যাওয়া (এডিমা) এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
-
এই রোগ মূলত অটোইমিউন সমস্যার কারণে হতে পারে, যেমন সিস্টেমিক লুপাস এরিথেম্যাটোসাস (SLE), অথবা এটি কোন সংক্রমণ বা স্ট্রেপ্টোকক্কাল ইনফেকশনের পরে হতে পারে।
-
প্রথমে গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস সাধারণত তীব্র রূপে শুরু হয়, কিন্তু এটি যতদিন না চিকিৎসা করা হয়, ততদিন এটি ক্রনিক অবস্থায় রূপ নিতে পারে এবং কিডনির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি ঘটাতে পারে।
-
এর লক্ষণগুলির মধ্যে মূত্রে রক্ত, গা dark ় মূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, ও পায়ে ফোলাভাব দেখা যায়।
-
গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত স্টেরয়েড ও অন্যান্য ইমিউন সিস্টেমের চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রণমূলক ডায়েট, এবং কখনও কখনও ডায়ালিসিস হয়ে থাকে, যদি কিডনি সম্পূর্ণ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
-
কিছু ক্ষেত্রে, এটি শুধুমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ কিডনি চিকিৎসক দ্বারা নির্ণয় ও চিকিৎসা করা সম্ভব, কারণ রোগের ধরন নির্ভর করে কিডনির ক্ষতির পরিমাণের ওপর।
এভাবে বলা যায়, গ্লোমারোলোনেফ্রাইটিস কিডনির গ্লোমেরুলির প্রদাহজনিত রোগ, যা কিডনির কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে। সঠিক উত্তর হলো — খ) কিডনী।
0
Updated: 4 days ago