'নবছিদ্র' শব্দটির উচ্চারণে কয়টি অক্ষর পাওয়া যায়?
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
৪টি
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: খ) ৩ টি অক্ষর পাওয়া যায়।
ব্যাখ্যা:• অক্ষর:এর ইংরেজি নাম - syllable. অল্প প্রয়াসে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবারে উচ্চারিত হয় তাকে অক্ষর বলে। তাই একে শব্দাংশ ও বলা হয়।
অক্ষর মূলত দুই প্রকার।যথা-- মুক্তাক্ষর: টানা যাবে না (যেমন- ক/লা)- বদ্ধাক্ষর: টানা যাবে (যেমন- দিন, রাত)
যেমন: 'বিশ্ববিদ্যালয়' শব্দে ৫টি অক্ষর রয়েছে (বি + শ্ব + বি + দ্যা + লয়)।
'নবছিদ্র' শব্দের উচ্চারণ হল: নবোছিদ্রো।
'নবছিদ্র' শব্দটির উচ্চারণ বিশ্লেষণ:- নবো (প্রথম অক্ষর);- ছিদ্ (দ্বিতীয় অক্ষর);- রো (তৃতীয় অক্ষর)।
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
'অনল প্রবাহ' কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছিল। প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মাত্র নয়টি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনল প্রবাহ, তুর্যধ্বনি, মূর্ছনা, বীর-পূজা, অভিভাষণ এবং মরক্কো সংকটে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
অনল প্রবাহ, আকাঙ্ক্ষা, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, নব উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী, প্রেমাঞ্জলি
তাঁর রচিত উপন্যাস:
রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম, নূরুদ্দীন
তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'রি রি করা' বলতে বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
তীব্র ব্যথা
B
ঘৃণা করা
C
তীব্র ক্রোধ
D
মাথা ব্যাথা
বাংলা ভাষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাষারঙ্গ
১. অব্যয় – রি রি
-
অর্থ: তীব্র ক্রোধ বা অন্য কোনো তীব্র অনুভূতি প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত শব্দ
-
বাক্য উদাহরণ: রাগে গা রি রি করছে।
২. বাগধারা
| বাগধারা | অর্থ |
|---|---|
| অন্ধকার দেখা | দিশেহারা হয়ে পড়া |
| কেউকেটা | সামান্য |
| অকূল পাথার | ভীষণ বিপদ |
| আদায় কাঁচকলায় | শত্রুতা |
উৎস: বাংলা একাডেমী, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 1 month ago
'অবিন্ধন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অব্ + ইন্ধন
B
অপ্ + ইন্ধন
C
অপ্ + বিন্ধন
D
অবি্ + ইন্ধন
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি হলো এমন একটি ব্যুৎপত্তিগত নিয়ম যেখানে পূর্বপদ এবং পরপদ যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন করে। এটি মূলত ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বর ও ব্যঞ্জনের মিলন নির্দেশ করে।
-
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বপদের শেষ বর্গের ব্যঞ্জন যদি ক, চ, ট, ত্, প হয় এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জন, তাহলে পূর্বপদের ব্যঞ্জনকে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ধ্বনি তে পরিবর্তন করা হয়।
উদাহরণ: ক → গ্, চ → জ্, ট → ড্ [ড়্], ত্ → দ্, প্ → ব্। পরপদের স্বর ধ্বনি বর্গের তৃতীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। -
উদাহরণসমূহ:
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
প্রাক্ + উক্ত → প্রাগুক্ত
ণিচ্ + অন্ত → ণিজন্ত
অচ্ + অন্ত → অজন্ত
ষট্ + অঙ্গ → ষড়ঙ্গ
ষট্ + ঋতু → ষড়ঋতু
ষট্ + ঐশ্বর্য → ষড়ৈশ্বর্য
ষট্ + আনন → ষড়ানন
সৎ + অর্থক → সদর্থক
সৎ + ইচ্ছা → সদিচ্ছা
মৃৎ + অজ্ঞা → মৃদঙ্গ
শরৎ + ইন্দু → শরদিন্দু
অপ্ + অগ্নি → অবগ্নি
অপ্ + ইন্ধন → অবিন্ধন
সুপ্ + অন্ত → সুবন্ত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago