ধ্বনির প্রতীককে কী বলা হয়?
A
শব্দ
B
অক্ষর
C
বর্ণ
D
ভাষা
উত্তরের বিবরণ
বর্ণ
-
বর্ণ হলো ধ্বনির প্রতীক।
-
বর্ণ কানে শোনার বিষয়কে চোখে দেখার বিষয় হিসেবে পরিণত করে।
-
ভাষার সবগুলো বর্ণকে একত্রে বলা হয় বর্ণমালা।
-
ধ্বনির বিভাজন অনুযায়ী বাংলা বর্ণমালা দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
-
স্বরবর্ণ – স্বরধ্বনির প্রতীক
-
ব্যঞ্জনবর্ণ – ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীক
-
-
বাংলা বর্ণমালায় মূল বর্ণের সংখ্যা ৫০টি।
-
এছাড়া মূল বর্ণের পাশাপাশি বাংলা বর্ণমালায় রয়েছে:
-
কারবর্ণ
-
অনুবর্ণ
-
যুক্তবর্ণ
-
সংখ্যাবর্ণ
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
কোনটি অন্তর্হতি ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
বলিয়া > বলে
B
কবাট > কপাট
C
ফাল্গুন > ফাগুন
D
গাছুয়া > গেছো
0
Updated: 1 month ago
'বুনা > বোনা' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
পরাগত স্বরসঙ্গতি
B
প্রগত স্বরসঙ্গতি
C
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
D
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি হলো সেই ঘটনা যখন একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটে।
উদাহরণ
-
দেশি > দিশি
-
বিলাতি > বিলিতি
প্রকারভেদ:
-
প্রগত স্বরসঙ্গতি: আদিস্বরের প্রভাবে অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো -
পরাগত স্বরসঙ্গতি: অন্ত্যস্বরের প্রভাবে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: বুনা > বোনা, দেশি > দিশি -
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য উভয়ের প্রভাবে মধ্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: বিলাতি > বিলিতি, ভিখারি > ভিখিরি -
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য উভয় স্বরই পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: মোজা > মুজো
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'স' ধ্বনিটির পরিচয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
উষ্ম
B
স্পৃষ্ট
C
পার্শিক
D
নাসিকা
বাংলা ধ্বনিবিদ্যায় প্রতিটি ধ্বনির নিজস্ব উৎপত্তি ও স্বরূপ রয়েছে। ‘স’ ধ্বনিটি একটি উষ্ম ধ্বনি, যার অর্থ এটি উচ্চারণের সময় শ্বাসকে উত্তপ্ত বা হালকা উষ্ণতা সহ প্রবাহিত করে তৈরি হয়। উষ্ম ধ্বনি সাধারণত দাঁতের নিকটে বা অল্প স্পর্শকাতর জায়গায় শ্বাসপ্রবাহ দিয়ে উচ্চারিত হয় এবং শব্দের স্বরূপকে স্পষ্টভাবে প্রভাবিত করে।
এর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
-
উচ্চারণের প্রক্রিয়া: ‘স’ ধ্বনিটি উচ্চারণের সময় দাঁতের পেছনের অংশ এবং জিহ্বার সামনে অংশের মধ্যে হালকা শ্বাসের চাপ তৈরি করে।
-
শব্দের প্রকৃতি: এটি একটি উষ্ম ধ্বনি হিসেবে শ্বাসপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত, যা স্বরবর্ণের সঙ্গে মিলিত হয়ে শব্দের ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
-
ধ্বনিগত শ্রেণিবিন্যাস: বাংলায় ধ্বনির শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, উষ্ম ধ্বনি হলো সেই ধ্বনি যা শ্বাসপ্রবাহের তাপমাত্রা বা গতির প্রভাবে উৎপন্ন হয়। ‘স’ ধ্বনিটি এ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।
-
সাহিত্য ও কথ্যভাষায় প্রভাব: উষ্ম ধ্বনির ব্যবহার শব্দের স্পষ্টতা, গতি ও উচ্চারণের প্রভাব বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে, এটি বাক্য বা পদ্যের ছন্দ ও সুর বজায় রাখতে সহায়ক।
সারসংক্ষেপে, ‘স’ ধ্বনিটি একটি উষ্ম ধ্বনি, যা উচ্চারণের সময় হালকা শ্বাসপ্রবাহ দিয়ে তৈরি হয় এবং শব্দের স্বর ও ছন্দকে প্রভাবিত করে। এটি বাংলার ধ্বনিবিদ্যায় ধ্বনির শ্রেণিবিন্যাসে উষ্ম ধ্বনির অন্তর্গত এবং ভাষার উচ্চারণ ও শব্দগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 day ago