বাংলা ভাষার মূল উৎস কী?
A
সংস্কৃত
B
আর্যভাষা
C
পালি ভাষা
D
ব্রাহ্ম ভাষা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ
-
পৃথিবীর ভাষাগুলোকে মোটামুটি কয়েকটি পরিবারে ভাগ করা যায়:
ইন্দো-ইউরোপীয়, চিনা-তিব্বতীয়, আফ্রিকীয়, সেমীয়-হেমীয়, দ্রাবিড়ীয়, অস্ট্রো-এশীয় প্রভৃতি। -
বাংলা ভাষা হলো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি প্রধান শাখা রয়েছে:
-
কেন্তুম
-
শতম
-
-
বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে শতম শাখা থেকে। কেন্তুম শাখার সঙ্গে বাংলার কোনো সম্পর্ক নেই।
-
ভারতে আর্য জাতির আগমন ঘটে আনুমানিক ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। তাদের ভাষা ছিল মূল আর্যভাষা।
-
বৈদিক ভাষা হলো এর প্রাচীনতম রূপ।
-
বাংলা ভাষার মূল উৎস হলো আর্যভাষা বা বৈদিক ভাষা।
-
-
বেদের ভাষাকেও বৈদিক ভাষা বলা হয়।
-
বৈদিক ভাষার সংস্কারজাত নতুন ভাষাই হলো সংস্কৃত।
-
ভাষা হিসেবে সংস্কৃত শব্দটির উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় মহাকাব্য রামায়ণে।
-
-
বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয় ভাষা হলো অহমিয়া (অসমিয়া) ও ওড়িয়া।
-
এছাড়া বাংলা ভাষার সঙ্গে সংস্কৃত ও পালি ভাষার রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম-
Created: 1 month ago
A
অসমিয়া
B
হিন্দি
C
বঙ্গকামরূপী
D
সংস্কৃত
বঙ্গকামরূপী ভাষা বলতে প্রাচীন বঙ্গ (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) এবং কামরূপ (বর্তমান আসাম) অঞ্চলে প্রচলিত প্রাচীন ভাষার একটি রূপকে বোঝায়। খ্রিস্টীয় ১০০০ থেকে ১৩০০ সালের মধ্যে প্রাকৃত ও অপভ্রংশ ভাষার বিবর্তনের মাধ্যমে এই ভাষার একটি রূপ বাংলা ভাষার দিকে অগ্রসর হয়।
0
Updated: 1 month ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন প্রাকৃত স্তর থেকে?
Created: 1 month ago
A
মাগধী প্রাকৃত
B
গৌড়ীয় প্রাকৃত
C
মহারাষ্ট্র প্রকৃত
D
অর্ধমাগধী প্রাকৃত
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা এসেছে গৌড়ীয় প্রাকৃত বা অপভ্রংশ থেকে। আর ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা এসেছে মাগধী অপভ্রংশ থেকে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষা ও সাহ্যিতের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বৈষ্ণবপদাবলী
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
C
চর্যাপদ
D
রামায়ণ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে চর্যাপদ একটি অমূল্য সম্পদ। এটি শুধু বাংলা ভাষারই প্রাচীনতম পদসংকলন নয়, নব্য ভারতীয় আর্যভাষার মধ্যেও অন্যতম প্রাচীন রচনা।
-
চর্যাপদ রচিত হয়েছিল খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
-
এর রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ, যারা বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ প্রকাশের জন্য সাংকেতিক ভাষার আশ্রয় নিয়েছিলেন।
-
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন।
-
পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেন।
-
চর্যাপদের প্রধান কবি ছিলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ ও শবরপাদ প্রমুখ।
চর্যাপদ শুধু সাহিত্য নয়, ভাষাতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব এবং সংস্কৃতির ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রেও এক অনন্য দলিল।
0
Updated: 1 month ago