A
অব্যয়
B
বিশেষণ
C
সর্বনাম
D
যোজক অব্যয়
উত্তরের বিবরণ
সর্বনাম পদ
‘যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে’ – এখানে যাহারা ও তাহারা হলো সাপেক্ষ সর্বনামের উদাহরণ।
সংজ্ঞা:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।
বাংলা ভাষায় সর্বনামকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়—
-
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম
-
আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
-
-
আত্মবাচক সর্বনাম
-
স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
-
-
সামীপ্যবাচক সর্বনাম
-
এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
-
-
দূরত্ববাচক সর্বনাম
-
ঐ, ঐসব।
-
-
সাকুল্যবাচক সর্বনাম
-
সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
-
-
প্রশ্নবাচক সর্বনাম
-
কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
-
[প্রশ্ন করার জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কী দিয়ে ভাত খায়?]
-
-
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম
-
কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
-
-
ব্যতিহারিক সর্বনাম
-
আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
-
-
সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম
-
যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
-
-
অন্যাদিবাচক সর্বনাম
-
অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
-
-
সাপেক্ষ সর্বনাম
-
যেমন: যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন (যেমন কর্ম, তেমন ফল)।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 day ago
'এ মাটি সোনার বাড়া'-এ উদ্ধৃতিতে 'সোনা' কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
বিশেষণের অতিশায়ন
B
রূপবাচক বিশেষণ
C
উপাদান বাচক বিশেষণ
D
বিধেয় বিশেষণ
বিশেষণের অতিশয়ন
যখন একটি বিশেষণ পদ একাধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা বা পরিমাণের পার্থক্য তুলে ধরে এবং তন্মধ্যে একটি বিশেষ্যের উৎকর্ষতা বা নিকৃষ্টতা বোঝায়, তখন তাকে বিশেষণের অতিশয়ন বলা হয়।
বাংলা ভাষায় অতিশয়নের প্রয়োগ
দুটি বস্তুর মধ্যে তুলনামূলক অতিশয়ন:
বাংলায় যখন দুটি বস্তুর মধ্যে গুণ বা অবস্থা তুলনা করা হয়, তখন চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। এই ক্ষেত্রে তুলনার প্রথম উপাদানটি সাধারণত ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত থাকে এবং বিশেষণের গঠনে কোনো পরিবর্তন হয় না।
উদাহরণ:
-
ঘোড়ার দাম গরুর থেকে বেশি।
-
সিংহ বাঘের চেয়ে বলবান।
বহুবচনের মধ্যে অতিশয়ন:
একাধিকের মধ্যে যখন একটি বিশেষ্যের গুণ বা দোষ সবচেয়ে বেশি বা কম বোঝাতে হয়, তখন সবচেয়ে, সবচাইতে, সর্বাধিক, সর্বাপেক্ষা প্রভৃতি শব্দ বিশেষণের আগে বসে। এখানে বিশেষণের রূপ অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
-
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে করিম সবচেয়ে বুদ্ধিমান।
-
ভাইদের মাঝে বিমলই সবচাইতে বিচক্ষণ।
-
পশুর মধ্যে সিংহ সর্বাপেক্ষা বলবান।
দুটি বস্তুর মধ্যে অতিশয়নে জোর বোঝাতে:
কখনো তুলনায় জোর দিতে হলে, মূল বিশেষণের আগে অধিক, বেশি, অনেক, অল্প, কম, অধিকতর ইত্যাদি শব্দ যোগ করা হয়।
উদাহরণ:
-
গোলাপের চাইতে পদ্মফুল অনেক সুন্দর।
-
দুধ ঘিয়ের থেকে বেশি উপকারী।
-
পাতিলেবু কমলার চাইতে অল্প ছোট।
ষষ্ঠী বিভক্তি দ্বারাই অতিশয়নের কাজ:
কখনো কখনো কোনো অতিরিক্ত তুলনামূলক শব্দ না ব্যবহার করেও ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দ নিজেই তুলনার কাজ করে ফেলে।
উদাহরণ:
-
এ মাটি সোনার বাড়া। (অর্থাৎ সোনার তুলনায় বেশি মূল্যবান)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
কোনটি সার্থক বাক্যের গুণ নয়?
Created: 1 week ago
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
সার্থক বাক্যের মূল গুণাবলী
একটি আদর্শ বা সার্থক বাক্যের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ থাকা আবশ্যক: আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি এবং যোগ্যতা।
আকাঙ্ক্ষা
আর্থাৎ: বাক্যের অর্থ বোঝার জন্য যে ইচ্ছা বা প্রয়াস অনুভূত হয়, সেটিকেই আকাঙ্ক্ষা বলা হয়।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বাক্য: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
-
এখানে বাক্যটি অসম্পূর্ণ; আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
-
-
সম্পূর্ণ বাক্য: কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
এখানে ‘করে’ পদটি যোগ হওয়ায় বাক্যটি পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করছে।
-
আসত্তি
আর্থাৎ: বাক্যের পদসমূহের সঠিক বিন্যাসের মাধ্যমে অর্থসঙ্গতি বজায় রাখাকে আসত্তি বলে।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বা ভুল বিন্যাস: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
-
পদগুলো সঠিকভাবে বসার কারণে অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ পায়নি।
-
-
সম্পূর্ণ বাক্য: হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
-
পদবিন্যাস ঠিক থাকায় অর্থ সঠিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
যোগ্যতা
আর্থাৎ: বাক্যের পদসমূহের মধ্যে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য ভাব মিল থাকা।
উদাহরণ:
-
অসম্পূর্ণ বা অযথা বাক্য: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
-
রৌদ্র কখনও প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না; তাই অর্থের যোগ্যতা নেই।
-
-
যুক্তিসঙ্গত বাক্য: বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে।
-
বাস্তবধর্মী ও অর্থপূর্ণ বাক্য।
-
উৎস: ড. হায়াত মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 week ago
কোনটি প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন নয়?
Created: 1 week ago
A
দাঁড়ি
B
কোলন
C
প্রশ্ন চিহ্ন
D
বিস্ময় চিহ্ন
প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন ৪টি। যেমন: ১/দাঁড়ি /পূর্ণচ্ছেদ ২/প্রশ্নবোধক চিহ্ন ৩/বিস্ময় /সম্বোধন চিহ্ন ৪/ ডাবল দাঁড়ি / পূর্ণচ্ছেদ।

0
Updated: 1 week ago