ব্যাকরণে কী নিয়ে আলোচনা করা হয়?
A
কেবল ধ্বনি নিয়ে
B
ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি নিয়ে
C
শুধু শব্দ নিয়ে
D
শুধু ভাষার উৎপত্তি নিয়ে
উত্তরের বিবরণ
ব্যাকরণ ও বাংলা ব্যাকরণ
ব্যাকরণ:
-
ব্যাকরণে ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
ব্যাকরণের কাজ হলো ধ্বনি, শব্দ, বাক্য ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাষার মধ্যকার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা।
বাংলা ব্যাকরণ:
-
যে বিদ্যাশাখায় বাংলা ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি বর্ণনা করা হয় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
-
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে, পর্তুগিজ ভাষায়।
-
এর লেখক ছিলেন মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
-
তিনি তাঁর বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকা অংশ হিসেবে এই ব্যাকরণ রচনা করেন।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
‘সত্যি সেলুকাস, এ দেশ বড় বিচিত্র’। কোন বাক্য?
Created: 1 month ago
A
নির্দেশাত্মক বাক্য
B
স্ময়বোধক বাক্য
C
জটিল বাক্য
D
যৌগিক বাক্য
এটি একটি জটিল বা মিশ্র বাক্য। যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ড বাক্যের এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহার হয়, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে।
0
Updated: 1 month ago
'তৈল' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক শব্দ
B
যৌগিক শব্দ
C
রূঢ়ি শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
তৈল হলো একটি রূঢ়ি শব্দ।
রূঢ়ি শব্দ হলো সেই শব্দ, যা মূল শব্দে প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হলেও মূল অর্থের সঙ্গে সরাসরি মিল রেখে না, অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
হস্তী: হস্ত + ইন; মূল অর্থ হস্তযুক্ত; রূঢ়ি অর্থে একটি পশু বোঝায়।
-
গবেষণা: গো + এষণা; মূল অর্থ গরু খোঁজা; বর্তমান অর্থ ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনো সাধারণ বস্তু নয়, শব্দটি বিশেষ সুরের বাদ্যযন্ত্র বোঝায়।
-
তৈল: শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ বোঝায়; যেমন: বাদাম তেল।
-
প্রবীণ: প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজানো ব্যক্তিকে বোঝানো উচিত; রূঢ়ি অর্থে ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’।
-
সন্দেশ: শব্দগত অর্থ ‘সংবাদ’; রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’।
-
0
Updated: 1 month ago
'কৃশ' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ -
Created: 2 weeks ago
A
সুন্দর
B
স্থূল
C
চঞ্চল
D
বিলম্ব
‘কৃশ’ শব্দটি এমন কাউকে বোঝায়, যিনি রোগা, ক্ষীণ বা অত্যন্ত পাতলা গঠনের। এর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে যে শব্দটি, তা হলো ‘স্থূল’, যার অর্থ মোটা, পূর্ণদেহী বা ভারী গঠনসম্পন্ন।
তথ্যসমূহ:
-
‘কৃশ’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ: স্থূল।
-
‘সুন্দর’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ: অসুন্দর।
-
‘চঞ্চল’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ: স্থির।
-
‘ত্বরা’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ: বিলম্ব।
অতিরিক্ত তথ্য:
বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ হলো এমন শব্দজোড়া যেগুলো অর্থের দিক থেকে একে অপরের পরিপূর্ণ বিপরীত। যেমন ‘আলো–অন্ধকার’, ‘ভাল–মন্দ’, ‘সুখ–দুঃখ’। এসব শব্দ বাংলা ভাষার অর্থবৈচিত্র্য ও শাব্দিক ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 2 weeks ago