'সমাস' শব্দের ব্যুৎপত্তি কোনটি?
A
সম্ + √ অ + মস্
B
সম্ + √ অ + অস্
C
সম্ + √ অস্ + অ
D
সম্ + √ অস্
উত্তরের বিবরণ
সমাস
ব্যুৎপত্তি:
‘সমাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তি হলো – সম্ + √অস্ + অ।
সংজ্ঞা:
অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
অর্থ:
সমাস শব্দের অর্থ হলো সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ।
সমাসের কাজ:
-
ভাষাকে সংক্ষেপ করা।
-
নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করা।
-
শব্দ গঠন সহজ করা।
সমাস আলোচনার ক্ষেত্র:
সমাস মূলত শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়।
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
"লাফ > ফাল" কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
ব্যঞ্জন বিকৃতি
B
ধ্বনি বিপর্যয়
C
অন্তর্হতি
D
অভিশ্রুতি
ধ্বনি বিপর্যয়
সংজ্ঞা:
কোনো শব্দের ভেতরে দুটি ব্যঞ্জনের স্থান-বদল ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলা হয়। অর্থাৎ শব্দে ধ্বনির ক্রমে পরিবর্তন হয়ে যায়।
উদাহরণসমূহ
-
পিশাচ → পিচাশ
-
লাফ → ফাল
-
বাক্স → বাস্ক
-
রিক্সা → রিস্কা
অর্থাৎ, ধ্বনি বিপর্যয়ে শব্দের ধ্বনি বিন্যাসে বর্ণগুলোর স্থান অদল-বদল হয়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন, তাদের কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
যৌগরূঢ় শব্দ
B
রূঢ়ি শব্দ
C
যৌগিক শব্দ
D
মৌলিক শব্দ
বাংলা ভাষায় শব্দগুলোকে বিভিন্ন ধাপে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তার মধ্যে যৌগিক শব্দ, রূঢ়ি শব্দ এবং যৌগরূঢ় শব্দ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
যৌগিক শব্দ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন।
-
উদাহরণ: গায়ক, দৌহিত্র, চিকামারা, বাবুয়ানা, মধুর, কর্তব্য ইত্যাদি।
-
-
রূঢ়ি শব্দ:
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দ প্রত্যয় ও উপসর্গযোগে মূল শব্দের অনুগামি না হয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: বাঁশি, তৈল, সন্দেশ, প্রবীণ, হরিণ, পাঞ্জাবী, হস্তী ইত্যাদি।
-
-
যৌগরূঢ় শব্দ:
-
সংজ্ঞা: সমাসনিষ্পন্ন যেসব শব্দ সমস্যমান পদসমূহের অনুগামি না হয়ে কোন বিশেষ অর্থ গ্রহণ করে।
-
উদাহরণ: পঙ্কজ, রাজপুত, জলধি, মহাযাত্রা ইত্যাদি।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
উ
B
ই
C
এ
D
অ্যা
স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটুকু খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ওপর ভিত্তি করে স্বরধ্বনিকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ঠোঁটের এই উন্মুক্ততার পার্থক্যের মাধ্যমে ধ্বনির প্রকৃতি নির্ধারিত হয়।
১. সংবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট খুব সামান্য খোলে। এই শ্রেণিতে পড়ে [ই] ও [উ]।
২. অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি: ঠোঁট সংবৃত অবস্থার তুলনায় কিছুটা বেশি খোলে। এতে অন্তর্ভুক্ত [এ] ও [ও]।
৩. বিবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলে। এই শ্রেণিতে রয়েছে [আ]।
৪. অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি: ঠোঁট বিবৃত অবস্থার তুলনায় কিছুটা কম খোলে। এতে রয়েছে [অ্যা] ও [অ]।
সংবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট কম খোলে, আর বিবৃত স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলে।
0
Updated: 2 weeks ago