সেক শুভোদয়া গ্রন্থের গল্প প্রথম কোন রাজার রাজসভায় উপস্থাপন করা হয়?
A
সামন্ত সেনের
B
বিজয় সেনের
C
লক্ষ্মণ সেনের
D
বল্লাল সেনের
উত্তরের বিবরণ
‘সেক শুভোদয়া’
-
রচয়িতা: হলায়ুধ মিশ্র
-
এটি একটি পীর মাহাত্ম্য-ব্যঞ্জক চম্পুকাব্য, যা সংস্কৃত গদ্যপদ্যে লেখা।
-
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃত শব্দের অশুদ্ধ ব্যবহার থাকায় সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এটিকে ‘dog Sanskrit’ বলেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ এনামুল হক এর মতে, এটি খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রচিত।
গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও প্রকাশনা
-
গল্প পরিবেশন করেছেন শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজি, যিনি লক্ষ্মণ সেনের সভায় এটি উপস্থাপন করেন।
-
গ্রন্থে বাংলা ছড়া ও বাগধারা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
-
গদ্যপদ্য মিলিয়ে গ্রন্থে ২৫টি অধ্যায় আছে।
-
১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু ১৩টি পরিচ্ছেদ বঙ্গানুবাদসহ ‘কায়স্থ’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
-
১৩৩৪ বঙ্গাব্দে সুকুমার সেনের সম্পাদনায় গ্রন্থটি প্রথম মুদ্রিত হয়।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের পঠন-পাঠনের সুবিধার জন্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে, ____ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ।
Created: 2 months ago
A
৪৫০-৬৫০
B
৬৫০-৮৫০
C
৬৫০-১২০০
D
৬৫০-১২৫০
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-এর মতে
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনি তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন—
-
প্রাচীন যুগ : ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ – ১২০০ খ্রিস্টাব্দ
-
মধ্যযুগ : ১২০১ খ্রিস্টাব্দ – ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ
-
আধুনিক যুগ : ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ – বর্তমান সময়
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে
তিনিও তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন, তবে প্রাচীন যুগের সূচনা সময় নিয়ে তাঁর মত শহীদুল্লাহ্-র থেকে ভিন্ন—
-
প্রাচীন যুগ : ৯৫০ খ্রিস্টাব্দ – ১২০০ খ্রিস্টাব্দ
-
মধ্যযুগ : ১২০১ খ্রিস্টাব্দ – ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ
-
আধুনিক যুগ : ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ – বর্তমান সময়
মধ্যযুগের একটি বৈশিষ্ট্য
মধ্যযুগের প্রথম দেড় শতক অর্থাৎ ১২০১ – ১৩৫০ সালকে “অন্ধকার যুগ” বলা হয়।
অন্যান্য গবেষকরা
দীনেশ্চন্দ্র সেন, সুকুমার সেন, গোপাল হালদার, মুহম্মদ এনামুল হকসহ আরও অনেকেই সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখিত যুগবিভাগকে সমর্থন করেছেন।
তবে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এক বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন—
তিনি মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সময়সীমা সুনীতিকুমারের মতোই মেনে নিলেও প্রাচীন যুগের সীমা তিনি ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করেছেন, যা মোট ৫৫০ বছর (৬৫০ – ১২০০ খ্রিস্টাব্দ) হিসেবে গণনা করা হয়।
উৎস : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
আলাউদ্দিন আল আজাদের কবিতা 'স্মৃতিস্তম্ভ' কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
জীবনজামিন
B
মানচিত্র
C
ধানকন্যা
D
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
আলাউদ্দীন আল আজাদ — ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতা
-
গ্রন্থ: ‘মানচিত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
-
কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপ:
স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো! যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে
হীরের মুকুট নীল পরোয়ানা খোলা তলোয়ার
খুরের ঝটকা ধুলায় চূর্ণ যে পদ-প্রান্তে
যারা বুনি ধান
গুণ টানি, আর তুলি হাতিয়ার হাঁপর চালাই
সরল নায়ক আমরা জনতা সেই অনন্য।
আলাউদ্দীন আল আজাদ (৬ মে ১৯৩২ – ২০০৯)
-
জন্মস্থান: নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার রামনগর গ্রাম।
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: গল্পগ্রন্থ ‘জেগে আছি’ (১৯৫০)।
-
চলচ্চিত্রায়িত উপন্যাস: ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ → ‘বসুন্ধরা’, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ।
সাহিত্যকর্মসমূহ:
-
উপন্যাস:
-
তেইশ নম্বর তৈলচিত্র
-
শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন
-
কর্ণফুলী
-
ক্ষুধা ও আশা
-
খসড়া কাগজ
-
স্বপ্নশিলা
-
বিশৃঙ্খলা
-
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
মানচিত্র
-
ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
জেগে আছি
-
মৃগনাভি
-
ধানকন্যা
-
যখন সৈকত
-
অন্ধকার সিঁড়ি
-
জীবনজামিন
-
আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
-
0
Updated: 1 month ago
‘রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই’ – এই পঙ্ক্তিটি কোন পদকর্তার রচনা?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপা
B
কাহ্নপা
C
কুক্কুরীপা
D
ভুসুকুপা
কুক্কুরীপা
-
চর্যাগীতির কবি: কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গানের রচয়িতা (২, ২০ ও ৪৮)। তবে ৪৮ নং পদটির কিছু অংশ লুপ্ত।
-
পরিচয়:
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়, তাঁর চর্যার ভাষাও সে ইঙ্গিত বহন করে।
-
‘কুক্কুরীপা’ নামটি তান্ত্রিক ছদ্মনাম বা গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাসূচক নাম হতে পারে।
-
তারানাথের মতে, সবসময় তাঁর সঙ্গে একটি কুক্কুরী (কুকুরী) থাকত, তাই এ নামকরণ।
-
-
অবস্থান:
-
অধিকাংশের মতে তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের বাসিন্দা।
-
হিন্দিভাষীরা তাঁকে নেপালের কপিলাবস্তু (বুদ্ধের জন্মস্থান) এর লোক বলেছেন।
-
-
সমসাময়িক সময়:
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন।
-
ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
-
ধর্মচর্চা ও সাহিত্যকীর্তি:
-
তিনি মহামায়া-এর উপাসক ছিলেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’ তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত।
-
অন্যান্য গ্রন্থ: যোগভাবনাপ্রদেশ, স্রবপরিচ্ছদ।
-
কুক্কুরীপা রচিত চর্যার পদসমূহ
১. দুলি দুহি পীড়া’ ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই’।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই’। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই।
৪. দিবসহি’ বহুড়ী কাউহি’ ডর’ ভাই’। রাতি ভইলে কামরু জাই।
৫. অইসনী চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল’। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি সমাইল।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর
১. মাদি কচ্ছপকে দোহাল, কিন্তু দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমির খেয়ে নিল।
২. ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা আছে। অর্ধরাতে চোর কানপাশা (গহনা) নিয়ে গেল।
৩. শ্বশুর ঘুমিয়ে গেল, বধূ জেগে রইল। কানপাশা চোর নিয়ে গেলে কার কাছে চাইতে হয়?
৪. দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত থাকে, আর রাতে যায় কামরূপে (কামরাজ্যে)।
৫. এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন, কোটির মধ্যে এক হৃদয়ে তা প্রবেশ করল।
0
Updated: 1 month ago