ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম সাহিত্য সংকলন কোনটি?
A
আরেক ফাল্গুন
B
একুশে ফেব্রুয়ারী
C
একুশের গল্প
D
আর্তনাদ
উত্তরের বিবরণ
‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ সংকলন
-
এটি ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম সাহিত্য সংকলন।
-
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার জন্য ঢাকায় আত্মদান স্মরণে, ১৯৫৩ সালের মার্চে হাসান হাফিজুর রহমান ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ নামে সংকলনটি সম্পাদনা করেন।
-
প্রকাশক ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান।
-
সম্পাদক ও প্রকাশক উভয়ই বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
সংকলনে কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নকশা ও ইতিহাস—৬টি বিভাগে ২২ জন লেখক লিখেছেন।
-
এখানে প্রথম প্রকাশিত হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান।
-
প্রকাশের তিন সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।
অন্যান্য ভাষা আন্দোলনভিত্তিক সাহিত্য
-
‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস: জহির রায়হান রচিত, ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি।
-
‘একুশের গল্প’: জহির রায়হানের ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বিখ্যাত গল্প। প্রধান চরিত্র: তপু, রেণু ও রাহাত।
-
‘আর্তনাদ’: শওকত ওসমান রচিত ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
'চন্দ্রাবতী' কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কোরেশী মাগন ঠাকুর
B
মুহম্মদ খান
C
আমির হামজা
D
সৈয়দ সুলতান
‘চন্দ্রাবতী’ কাব্য
‘চন্দ্রাবতী’ কাব্যের রচয়িতা হলেন কোরেশী মাগন ঠাকুর। মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চার সূচনা ঘটে, যার প্রধান উজির ছিলেন কোরেশী মাগন ঠাকুর।
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় আরাকান বা রোসাঙ্গ রাজসভায় বাংলা সাহিত্য বিকাশ লাভ করে। তিনি কবি আলাওল-কে ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামান’ কাব্য রচনায় পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
আরাকান রাজসভার উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে—
-
আলাওল
-
দৌলত কাজী
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর
0
Updated: 2 months ago
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'চরিত্রহীন' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পার্বতী
B
অচলা
C
কিরণময়ী
D
বিজয়া
চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি বহুল আলোচিত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। প্রথা-বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষ সম্পর্কের জটিলতা এতে গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। শিরোনামের মতোই উপন্যাসটি মূলত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও "চরিত্র" শব্দের প্রচলিত ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
-
উপন্যাসে চারটি নারী চরিত্র রয়েছে: সাবিত্রী, কিরণময়ী, সুরবালা ও সরোজিনী।
-
প্রধান দুই নারী চরিত্র সাবিত্রী ও কিরণময়ী—দুজনের বিরুদ্ধেই ‘চরিত্রহীন’ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি নারী চরিত্রের স্বভাব, মানসিকতা ও জীবনধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
চরিত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
-
সাবিত্রী: বিশুদ্ধ চরিত্রের প্রতীক। সতীশের প্রতি অনুগত ও একনিষ্ঠ প্রেমিকা।
-
সুরবালা: উপেন্দ্রনাথের তরুণী স্ত্রী। ধর্মগ্রন্থে অন্ধবিশ্বাসী হওয়ায় তার ব্যক্তিত্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
-
সরোজিনী: পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত, অগ্রসরচিন্তার অধিকারী। কিন্তু পরিবার ও কঠোর মায়ের কারণে জীবনে দমবন্ধ অবস্থা। শেষপর্যন্ত সে সতীশকে বিয়ে করে।
-
কিরণময়ী: উপন্যাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র। তরুণ, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী। তার আবেগ-আকাঙ্ক্ষা সবসময় দমন করা হয় স্বামী ও শাশুড়ির দ্বারা।
অন্যদিকে:
-
গৃহদাহ উপন্যাসের চরিত্র: অচলা, মহিম, সুরেশ।
-
দত্তা উপন্যাসের চরিত্র: বিজয়া, নরেন, রাসবিহারী, বনমালী।
-
দেবদাস উপন্যাসের চরিত্র: দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমুখী, চুনিলাল, ধর্মদাস।
0
Updated: 1 month ago
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত ছদ্মনাম—
Created: 1 month ago
A
কালকূট
B
সুনন্দ
C
জাবালি
D
চিত্রগুপ্ত
• নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত ছদ্মনাম — সুনন্দ।
অন্যদিকে,
- সমরেশ বসুর ছদ্মনাম- কালকূট ও ভ্রমর।
- বিমল মিত্রের ছদ্মনাম- জাবালি।
- সতীনাথ ভাদুড়ীর ছদ্মনাম- চিত্রগুপ্ত।
0
Updated: 1 month ago