মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'একেই কি বলে সভ্যতা'র প্রভাব রয়েছে নিচের কোন প্রহসনে?
A
এর উপায় কি
B
টালা অভিনয়
C
ফাঁস কাগজ
D
কমলে কামিনী
উত্তরের বিবরণ
‘এর উপায় কি’ প্রহসন
-
রচয়িতা: মীর মশাররফ হোসেন
-
এটি একটি উনিশ শতকের প্রহসন, যা সমাজের কিছু মানুষের স্ত্রীর প্রতি অবহেলা, মদ ও পতিতাবৃত্তিতে আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন অনাচার ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণকে তুলে ধরে।
-
প্রহসনে প্রভাব রয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ নাটকের।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
রাধাকান্ত
-
স্ত্রী মুক্তকেশী
-
নয়নতারা
-
ইয়ার মদন প্রমুখ
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
'ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়' স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
জসীম উদ্দীন
C
নির্মলেন্দু গুণ
D
জীবনানন্দ দাশ
ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়
-
'ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়' জসীম উদ্দীন রচিত একটি স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ।
-
প্রকাশিত: ১৯৬১ সালে, নন্দিতা বসু প্রকাশিকা, ৫-১ রমানাথ মজুমদার স্ট্রীট, কলকাতা-৯।
-
বইটি শুরু এবং শেষ হয়েছে স্মৃতিভারাক্রান্ত ভঙ্গিতে। লেখক বর্ণনা করেছেন কীভাবে প্রথম রবীন্দ্রনাথের নাম শুনেছিলেন এবং কীভাবে তাঁর কবিতা পড়া শুরু করেছিলেন। বইতে ঠাকুর বাড়ির ভগ্নদশারও বিস্তৃত বর্ণনা আছে।
-
বইয়ে মূলত রবীন্দ্রনাথ নয়, বরং বেশি জোর আছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর কথায়। অবনীন্দ্রনাথের সূত্রধরে জসীম উদ্দীনের ঠাকুর বাড়িতে পা ফেলার সুযোগ হয়েছিল।
-
অবনীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর বাড়িটি নিলাম হয়। বাংলার মহান শিল্পীর বাড়ি সংরক্ষিত হয়নি বলে লেখক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে বাড়িটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও জসীম উদ্দীন মন্তব্য করেছেন, "আজ ঠাকুর-বাড়ির সেই ইন্দ্রপুরী শ্মশানে পরিণত হইয়াছে।"
জসীম উদ্দীন
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রাম, মাতুলালয়।
-
পরিচিতি: প্রখ্যাত কবি, শিক্ষাবিদ; 'পল্লিকবি' নামে খ্যাত।
-
কর্মজীবন শুরু: পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে।
-
কলেজজীবনে রচিত ‘কবর’ কবিতা তাঁকে বিপুল খ্যাতি এনে দেয়; বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কবিতা প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: নক্সীকাঁথার মাঠ
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: রাখালী
স্মৃতিকথা:
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়
ভ্রমণকাহিনি:
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পীরের দেশ
-
যে দেশে মানুস বড়
-
জার্মানির শহরে ও বন্দরে
উপন্যাস:
-
বোবাকাহিনী
আত্মজীবনী:
-
জীবনকথা
কাব্যগ্রন্থ:
-
রাখালী
-
নক্সীকাঁথার মাঠ
-
সুচয়নী
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
এক পয়সার বাঁশি
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
রূপবতী
-
মা যে জননী কান্দে
-
মাটির কান্না
0
Updated: 1 month ago
যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত রচিত 'কীর্তিবিলাস' হচ্ছে একটি-
Created: 1 month ago
A
হাস্যরসাত্মক নাটক
B
মধুরান্তিক নাটক
C
ঐতিহাসিক নাটক
D
বিয়োগান্ত নাটক
বাংলা মৌলিক নাট্যসাহিত্যের সূচনা ঘটে ১৮৫২ সালে। এই বছরেই প্রকাশিত হয় যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্তের কীর্তিবিলাস এবং তারাচরণ শিকদারের ভদ্রার্জুন নাটক। উভয় নাটকই বাংলা নাটকের ইতিহাসে পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত।
-
কীর্তিবিলাস (যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত):
-
এটি বাংলা সাহিত্যে বিয়োগান্ত নাটক রচনার প্রথম প্রচেষ্টা।
-
কাহিনি রচিত হয়েছে সপত্নীপুত্রের প্রতি বিমাতার অত্যাচারকে কেন্দ্র করে।
-
বিভিন্ন চরিত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে নাটকে ট্র্যাজেডির রূপায়ণ ঘটেছে।
-
পাশ্চাত্য নাটকের আদর্শে নাটকটির অঙ্ক পাঁচটি, তবে সংস্কৃত নাটকের আদর্শে নান্দী ও সূত্রধারও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
-
ভাষা সংস্কৃতের প্রভাবে আড়ষ্ট ও কৃত্রিম।
-
-
ভদ্রার্জুন (তারাচরণ শিকদার):
-
এটি ইংরেজি ও সংস্কৃত নাট্যরীতির সমন্বয়ে রচিত প্রথম মৌলিক মধুরান্তিক নাটক।
-
কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে মহাভারত থেকে—অর্জুন কর্তৃক সুভদ্রাহরণ।
-
যদিও কাহিনি পৌরাণিক, তবু এতে বাঙালি সমাজের বাস্তব পরিবেশ অঙ্কিত হয়েছে।
-
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 4 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী কবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা কাব্যে নতুন ধারা ও ছন্দের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সুর এবং ছন্দশৈলী নিয়ে এসেছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি এবং নাট্যকার।
-
তিনি বাংলা সনেট প্রবর্তন করেন, যা বাংলা কবিতায় পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
-
মাইকেল দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, যা বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে নবজীবন প্রদান করে।
-
তার সাহিত্যকর্মে বাংলা কাব্যকে সুরমুক্তি এবং ছন্দসমৃদ্ধি প্রদান করা হয়েছে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যা অন্য ছন্দের তুলনায় উচ্চারণে স্বাভাবিক এবং গদ্য উচ্চারণভঙ্গির অনুসারী। উনিশ শতকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন এই ছন্দকে আরও সমৃদ্ধ এবং আধুনিক আকারে পরিণত করে।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ শ্বাসাঘাতপ্রধান নয়, বরং তানপ্রধান। তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রায় রচিত হয়, যা ছন্দের দীর্ঘতা নির্ধারণ করে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ, যা সাহিত্যে নতুন ছন্দের ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
-
মহাপয়ার হলো পয়ার ছন্দের একটি বিস্তৃত রূপ, যেখানে সাধারণ পয়ারের ৬ মাত্রার পরিবর্তে ১০ মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
-
এভাবে, বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত এবং তার নবীন রূপ চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়িত করেছে।
0
Updated: 4 weeks ago