'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' নামে মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কে?
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
C
কীর্তিচন্দ্র
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ ও প্রাচীন বাংলার পদসংগ্রহ
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে তৃতীয় নেপাল সফরে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে প্রাচীন কিছু সাহিত্য পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এগুলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়:
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
-
সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা
-
ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি
-
গ্রন্থের নাম: ‘হাজার বছরের পুরাণ: বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’
-
-
এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা, বাকিগুলো অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
ভাষাতাত্ত্বিক ও ধর্মমত বিশ্লেষণ
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language (ODBL) গ্রন্থে এসব পদসংগ্রহের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পদসংগ্রহের নাম সম্পর্কিত তথ্য
-
মুনিদত্তের সংস্কৃত টীকানুসারে পদসংগ্রহের নাম ছিল ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’।
-
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী দুটি নাম মিলিয়ে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ নামকরণ করেন।
-
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ ছিল ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’।
-
আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান: মূল সংকলনের নাম ছিল ‘চর্যাগীতিকোষ’, সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
হোমারের রচনার বঙ্গানুবাদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ব্রজাঙ্গনা
B
হেক্টরবধ
C
মেঘনাদবধ
D
বীরঙ্গনা
‘হেক্টরবধ’
-
‘হেক্টরবধ’ (১৮৭১) হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যের প্রথম কয়েকটি সর্গের গদ্যে রচিত বঙ্গানুবাদ।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনাটি ১৮৬৭ সালে শুরু করেছিলেন, তবে অসমাপ্ত অবস্থায়ই এটি ১৮৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়।
-
হোমারের কোনো রচনা মূল গ্রিক ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদের এটিই ছিল প্রথম প্রয়াস।
-
গ্রন্থটি ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য
১. মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
-
সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ এর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনিকে অবলম্বন করে রচিত।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের স্বাধীনতার মন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে কবি রাবণকে নায়ক ও রামকে খলনায়ক রূপে উপস্থাপন করেন।
২. ব্রজাঙ্গনা (১৮৬১)
-
রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক একটি গীতিকাব্য।
-
কাব্যের কবিতাগুলো ওড্ জাতীয় গীতিকবিতা।
-
এটি দুই খণ্ডে (বিরহ ও মিলন) রচনার পরিকল্পনা করেছিলেন কবি, তবে ‘মিলন’ খণ্ডটি লেখা হয়নি।
৩. বীরাঙ্গনা কাব্য
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য।
-
পৌরাণিক নারীদের আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এখানে তাঁরা নিজেদের প্রণয় ও কামনা প্রকাশ করেছেন এক নবজাগরণধর্মী ভঙ্গিতে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
'চিত্তনামা' কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কোন প্রকার সাহিত্য?
Created: 2 months ago
A
উপন্যাস
B
গল্পগ্রন্থ
C
প্রবন্ধগ্রন্থ
D
কাব্যগ্রন্থ
‘চিত্তনামা’ কাব্যগ্রন্থ
-
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম
-
বিষয়: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক
-
প্রকাশকাল: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ)
-
পটভূমি:
-
চিত্তরঞ্জন দাশ ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২রা আষাঢ় মারা যান।
-
নজরুল তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েকটি কবিতা লিখেন:
-
অর্ঘ্য
-
অকাল-সন্ধ্যা
-
সান্ত্বনা
-
ইন্দ্রপ্তন
-
রাজভিখারি
-
-
-
বৈশিষ্ট্য: কবিতাগুলোতে চিত্তরঞ্জনের প্রতি নজরুলের গভীর আবেগ ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষেপে
-
জাতীয় কবি: বাংলাদেশ
-
জন্ম: ২৪ মে ১৮৯৯ (১৩০৬ বঙ্গাব্দ), বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
খ্যাতি: বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত
0
Updated: 2 months ago
‘চন্দ্রাবতী' কাব্যের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
দ্বিজ কানাই
B
চন্দ্রাবতী
C
কেরেশী মাগন ঠাকুর
D
নয়ানচাঁদ ঘোষ
চন্দ্রাবতী কাব্য বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, যা কাব্যরচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন ধারার পরিচয় বহন করে। এর রচয়িতা ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছু তথ্য নীচে দেওয়া হলো।
-
কাব্যের একমাত্র রচয়িতা: কেরেশী মাগন ঠাকুর
-
কাব্যের একটি খণ্ডিত পুথি পাওয়া গেছে।
-
রচনাকাল নিয়ে সংশয় আছে, তবে ধারণা করা হয় এটি সতের শতকের।
-
মাগন ঠাকুর আরাকান রাজ্যের মন্ত্রী এবং আলাওলের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
-
কাব্যের প্রাচীন উৎস জানা যায় না; মনে করা হয় এটি কবির স্বাধীন কল্পনা।
অতিরিক্ত তথ্য
-
ময়মনসিংহের এক মহিলা গীতিকারও ছিলেন চন্দ্রাবতী, যিনি প্রথম রামায়ণ বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।
-
চন্দ্রাবতীকে নিয়ে মৈমনসিংহ-গীতিকায় নয়ানচাঁদ ঘোষ নামের একজন কবির পালা রচিত হয়েছে।
-
এই পালাটি বিভিন্ন নামে পরিচিত: ‘জয়-চন্দ্রাবতী’, ‘চন্দ্রাবতী চরিত’, ‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’।
0
Updated: 1 month ago