মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক কোন উপন্যাসের মধ্য দিয়ে মুসলমান সমাজের বেদনাঘন চিত্র অঙ্কন করেছেন?
A
আনোয়ারা
B
জোহরা
C
আবদুল্লাহ
D
গরীবের মেয়ে
উত্তরের বিবরণ
‘জোহরা’ উপন্যাস
-
রচয়িতা: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
-
উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি মুসলমান সমাজের বেদনাঘন চিত্র অঙ্কন করেছেন।
-
উপন্যাসে দেখা যায়, কন্যার মতামত অগ্রাহ্য করে আত্মীয়স্বজনেরা মেয়েদের জন্য বিয়ে ঠিক করলে তাদের জীবনে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, সেটিই মূল উপজীব্য।
-
এটি আমলের মুসলমান সমাজের অন্যায় ও অনাচার ফুটিয়ে তোলে।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
‘গরীবের মেয়ে’
-
রচয়িতা: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
এটি একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।
‘আনোয়ারা’ (১৯১৪)
-
রচয়িতা: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
এটি তাঁর প্রথম ও জনপ্রিয় উপন্যাস।
-
উপন্যাসে মধ্যবিত্ত বিকাশের চিত্র ফুটে উঠেছে।
‘আবদুল্লাহ’ (১৯৩৩)
-
রচয়িতা: কাজী ইমদাদুল হক
-
লেখকের মৃত্যুর পর কাজী আনোয়ারুল কাদির অসমাপ্ত খসড়া ব্যবহার করে উপন্যাসটি সম্পন্ন করেন।
-
উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা ও সম্প্রদায়বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের মৃত্যুর পর প্রকাশিত গদ্যরীতির গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রবোধচন্দ্রিকা
B
পঞ্চতন্ত্র
C
রাজাবলি
D
বত্রিশ সিংহাসন
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও ‘প্রবোধচন্দ্রিকা’
১. প্রবোধচন্দ্রিকা
-
রচনা ও প্রকাশ: ১৮১৩ সালে রচিত হলেও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার মৃত্যুর পর ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত।
-
ধারা ও বিষয়: মূলত দার্শনিক নিবন্ধ; সংস্কৃত বিদ্যাভাণ্ডারের পরিচয় প্রদানের উদ্দেশ্যে রচিত।
-
ভাষা ও শৈলী: কথ্য সাধু ভাষা ও সংস্কৃত রীতির মিশ্র ব্যবহার।
২. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২–১৮১৯)
-
প্রধান রচনাসমূহ:
১. বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২)
২. রাজাবলি (১৮০৮)
৩. হিতোপদেশ (১৮০৮)
৪. বেদান্তচন্দ্রিকা (১৮১৭)
৫. প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩) -
গ্রন্থ বৈশিষ্ট্য:
-
হিতোপদেশ: সংস্কৃত ‘পঞ্চতন্ত্র’ থেকে অনূদিত; ভাষা সংস্কৃতানুগ।
-
রাজাবলি: কিংবদন্তি ও লোকপ্রসিদ্ধির উপর নির্ভর; গদ্যরীতি সুষ্ঠু ও প্রাঞ্জল; আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার।
-
বেদান্তচন্দ্রিকা: নামপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ের উল্লেখ নেই; বহু অংশ সংস্কৃত গ্রন্থ ও বেদান্ত সূত্রের অনুবাদ; স্বাধীন রচনা নয়।
-
0
Updated: 1 month ago
কীর্তনের নতুন পদ্ধতির স্রষ্টা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন মধ্যযুগের কোন কবি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্যাপতি
B
রামনিধি গুপ্ত
C
জ্ঞানদাস
D
মালাধর বসু
জ্ঞানদাস সম্ভবত ষোল শতকে বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চণ্ডীদাসের কাব্যাদর্শ অনুসরণ করে, নিজের মৌলিক প্রতিভা সংযুক্ত করে রাধাকৃষ্ণের লীলাবর্ণনার মাধ্যমে মানবমানবীর শাশ্বত প্রেমবেদনা প্রকাশ করেছেন। জ্ঞানদাস ছিলেন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য।
-
তিনি প্রথম ষোড়শ-গোপাল রূপ বর্ণনা করে পদ রচনা করেন।
-
রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ: মাথুর ও মুরলীশিক্ষা, যা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের মূল্যবান সংকলন।
-
জ্ঞানদাস একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং কীর্তনের নতুন পদ্ধতির স্রষ্টা হিসেবে খ্যাত।
-
পদ রচনা ব্রজবুলি ও বাংলায় করেছেন, তবে বাংলা পদে কৃতিত্ব বেশি।
-
পদাবলিতে সৌন্দর্যের ব্যঞ্জনা এবং আবেগের সূক্ষ্ম কারুকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
তিনি মানবজীবনের বায়ুমণ্ডলে বসে বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলা প্রত্যক্ষ করে শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
‘চার ইয়ারি কথা’ কোন ধরনের গ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
গল্পগ্রন্থ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
প্রবন্ধগ্রন্থ
চার ইয়ারী কথা’ (গল্পগ্রন্থ)
-
রচয়িতা: প্রমথ চৌধুরী
-
প্রকাশকাল: ১৯১৬
-
বিষয়বস্তু: চার বন্ধুর প্রেমের কাহিনী; নায়িকারা সকলেই ইউরোপীয়।
-
প্রথম নায়িকা: উন্মাদ
-
দ্বিতীয় নায়িকা: চোর
-
তৃতীয় নায়িকা: প্রতারক
-
চতুর্থ নায়িকা: মৃত্যুর পর ভালোবাসা প্রকাশ করে
-
-
বৈশিষ্ট্য: ভাষার চাতুর্য, সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ, পরিহাসপ্রিয়তা; ভাবালু প্রেমকাহিনীকে প্রতিবাদী রূপে উপস্থাপন।
প্রমথ চৌধুরী
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষক।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল
-
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
বীরবলের হালখাতা (১৯০২, ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত) → প্রথমবার চলিত রীতি প্রয়োগ।
-
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক।
0
Updated: 2 months ago