ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ব্যবহৃত ছদ্মনাম কোনটি?
A
ক্বচিৎ প্রৌঢ়
B
ভ্রমণকারী বন্ধু
C
যুগসন্ধির কবি
D
কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক, জন্ম ১৮১২ সালে শিয়ালডাঙ্গা, কাঁচড়াপাড়া, পশ্চিমবঙ্গে।
-
তিনি ‘ভ্রমণকারী বন্ধু’ ছদ্মনামে লেখালিখি করতেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি যুগসন্ধির কবি নামে পরিচিত—মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের মিলন ঘটিয়েছেন।
-
সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিল মধ্যযুগীয়।
-
তাঁর রচনার বিশেষত্ব হলো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।
-
সাংবাদিকতা
-
তিনি প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন।
-
১৮৩১ সালে এটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
-
১৮৩৯ সাল থেকে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
-
-
অন্যান্য সম্পাদিত পত্রিকা: সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন, সংবাদ সাধুরঞ্জন।
সাহিত্যকীর্তি
-
কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার ও প্রকাশ তাঁর অন্যতম কীর্তি।
-
প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
-
রামপ্রসাদ সেন কৃত কালীকীর্তন
-
কবিবর ভারতচন্দ্র রায় ও তাঁর জীবনবৃত্তান্ত
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত কাব্যসংগ্রহ
-
কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন সম্পাদিত সংগ্রহ
-
মণিকৃষ্ণ গুপ্ত সম্পাদিত সংগ্রহ
-
অন্যান্য তথ্য
-
‘যুগসন্ধির কবি’ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের উপাধি; এটি তাঁর ছদ্মনাম নয়।
-
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম: ক্বচিৎ প্রৌঢ়
-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছদ্মনাম: কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৮২৯ সালে
B
১৮৪১ সালে
C
১৮২০ সালে
D
১৮১৪ সালে
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর — ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ ঈশ্বরচন্দ্রকে — ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ — বেতালপঞ্চবিংশতি।
- তার আত্মজীবনীর নাম — বিদ্যাসাগর চরিত বা আত্মচরিত।
তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম:
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাসের,
- ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
- আখ্যান মঞ্জরী,
- বোধোদয়,
- বর্ণপরিচয়,
- কথামালা ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বাগযন্ত্রের অংশ?
Created: 1 month ago
A
স্বরযন্ত্র
B
ফুসফুস
C
আলজিভ
D
সবগুলো
বাগ্যন্ত্র হলো ধ্বনি উচ্চারণে ব্যবহৃত প্রত্যঙ্গগুলির সমষ্টি। মানবদেহের উপরিভাগে, ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোঁট পর্যন্ত যে প্রত্যঙ্গগুলো ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো বাগ্যন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
বাগ্যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ:
-
ফুসফুস: ধ্বনি সৃষ্টিকারী বায়ুপ্রবাহের উৎস।
-
শ্বাসনালি: ফুসফুস থেকে বাতাস শ্বাসনালির মাধ্যমে মুখবিবর ও নাসারন্ধ্র দিয়ে বের হয়।
-
স্বরযন্ত্র: শ্বাসনালির উপরের অংশে অবস্থান।
-
জিভ: মুখগহ্বরের নিচের অংশে অবস্থিত।
-
আলজিভ: মুখগহ্বরের কোমল তালুর পিছনে ঝুলন্ত মাংসপিণ্ড।
-
তালু: মুখবিবরের ছাদ।
-
মূর্ধা: শক্ত তালু ও উপরের পাটির দাঁতের মধ্যবর্তী উত্তল অংশ।
-
দন্তমূল ও দন্ত: দাঁতের গোড়ার অংশকে দন্তমূল বলে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
‘কাদম্বিনী’ - কোন গল্পের প্রধান চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
নষ্টনীড়
B
দেনাপাওনা
C
জীবিত ও মৃত
D
সমাপ্তি
0
Updated: 1 month ago