পূর্ববঙ্গ-গীতিকার অন্তর্ভুক্ত পালা কোনটি?
A
মলুয়া
B
দেওয়ান ভাবনা
C
কমলা
D
ভেলুয়া
উত্তরের বিবরণ
“ভেলুয়া” পালা
-
“ভেলুয়া” পূর্ববঙ্গ-গীতিকার অন্তর্ভুক্ত একটি জনপ্রিয় পালা, যা পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত।
“ভেলুয়া” পূর্ববঙ্গ-গীতিকার অন্তর্ভুক্ত একটি জনপ্রিয় পালা, যা পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত।
প্রথম খণ্ড
-
শঙ্খপুরের মদন সাধুর কাঞ্চননগরযাত্রা।
-
ভেলুয়ার প্রতি অনুরাগ জন্ম এবং উভয়ের মিলন।
-
মদনের গৃহে প্রত্যাবর্তন ও বন্ধুদের কাছে হৃদয়ের কথা প্রকাশ।
-
মদনের পিতার ঘটক প্রেরণ এবং কৌলীন্যগর্বে ভেলুয়ার পিতার বিবাহপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান।
দ্বিতীয় খণ্ড
-
মদনের পুনরায় কাঞ্চননগরযাত্রা।
-
ভেলুয়াকে গোপনে শঙ্খপুরে নিয়ে আসা।
-
অপহরণের কারণে মদনের পিতা মুরাই সাধুর গৃহবহিষ্কার।
-
মদনের ভেলুয়াসহ রাংচাপুরে যাত্রা ও আবুরাজার দৌরাত্ম্য।
তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ড
-
আবুরাজার দৌরাত্ম্যের বিস্তৃত বিবরণ।
-
আবুরাজার দ্বারা ভেলুয়াকে অন্তঃপুরে আনা।
-
নির্বাসিত স্বামীর উপদেশে ভেলুয়ার হিরণ সাধুর দেশে যাত্রা।
-
হিরণের ভেলুয়ার প্রতি কুদৃষ্টি।
-
হিরণের ভগিনী মেনকার সঙ্গে ভেলুয়ার পলায়ন।
-
নদীতে জাহাজ দেখে আতঙ্কে ভেলুয়া ও মেনকার পতন, পরে এক সাধুবণিক কর্তৃক উদ্ধার।
-
হিরণের ষড়যন্ত্রে মদন বন্দী, মেনকার পরামর্শে মদনের উদ্ধার।
-
বৃদ্ধ সাধুর আশ্রয় থেকে আবুরাজার পুনরায় ভেলুয়া অপহরণ ও অন্তঃপুরে আবদ্ধকরণ।
পঞ্চম খণ্ড
-
চৌগঙ্গায় মদনের আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় ভেলুয়ার উদ্ধার।
-
ভেলুয়া ও মদনের বিবাহ।
-
আবুরাজার উপযুক্ত শাস্তি প্রদান।
পূর্ববঙ্গ-গীতিকার অন্যান্য পালা
-
নিজাম ডাকাতের পালা
-
কাফন চোরা
-
চৌধুরীর লড়াই
-
আয়না বিবি
-
ভেলুয়া ইত্যাদি
নিজাম ডাকাতের পালা
কাফন চোরা
চৌধুরীর লড়াই
আয়না বিবি
ভেলুয়া ইত্যাদি
মৈমনসিংহ-গীতিকার অন্তর্ভুক্ত পালা
-
মলুয়া
-
দেওয়ান ভাবনা
-
কমলা
মলুয়া
দেওয়ান ভাবনা
কমলা
উৎস: “ভেলুয়া” পালা, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
কোনটি প্রমথ চৌধুরী রচিত গল্পগ্রন্থ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
আহুতি
B
তেল-নুন-লকড়ি
C
নীললোহিত
D
চার ইয়ারী কথা
বাংলা গদ্যসাহিত্যের আধুনিক রূপকার হিসেবে প্রমথ চৌধুরী বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বাংলা ভাষায় চলিত রীতির প্রবর্তন করে সাহিত্যকে সাধারণ পাঠকের কাছে আরও সহজ ও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁর সাহিত্যচর্চা গদ্য, প্রবন্ধ ও কবিতা—সবক্ষেত্রেই সমানভাবে বিস্তৃত ছিল।
মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রমথ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করেন।
-
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক এবং বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রচনার প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীললোহিত
-
আহুতি
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল-নুন-লকড়ি
0
Updated: 2 weeks ago
নিম্নের কোন গ্রন্থটি কাশীরাম দাস অনুবাদ করেছেন?
Created: 1 month ago
A
রামায়ণ
B
মহাভারত
C
ভাগবত
D
গীতা
মহাভারতের শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদক হিসেবে কাশীরাম দাস বিশেষভাবে স্বীকৃত। তিনি মহাভারত অনুবাদ করে বাংলা সাহিত্যে অমূল্য সংযোজন ঘটান। তাঁর অনুবাদকৃত মহাভারত ‘ভারত পাঁচালী’ নামে পরিচিত।
• কাশীরাম দাস
-
কাশীরাম দাসের অনুবাদকৃত মহাভারতের নাম ছিল ‘ভারত পাঁচালী’। যোগেশচন্দ্র বিদ্যানিধির মতে, এর রচনাকাল প্রায় ১৬০২-০৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।
-
তিনি সম্পূর্ণ মহাভারত রচনা শেষ করতে পারেননি। কেবল আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব রচনা করার পরই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
-
প্রচলিত মতে, কবির অসমাপ্ত কাব্য পরবর্তীতে তাঁর পুত্র, ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্যরা সমাপ্ত করেন।
• মহাভারত
-
মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত এক মহাকাব্য, যার মূল রচয়িতা ছিলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
-
বাংলায় প্রথম অনুবাদ করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
-
তিনি পরাগল খাঁর অনুরোধে অনুবাদ করেছিলেন বলে তাঁর অনুবাদকৃত সংস্করণটি পরাগলী মহাভারত নামে পরিচিত হয়।
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর অনুবাদকৃত গ্রন্থটির নাম ছিল বিজয়পান্ডবকথা অথবা ভারতপাঁচালী।
-
তবে মহাভারতের বাংলা অনুবাদে সর্বাধিক সার্থকতা অর্জন করেন কাশীরাম দাস, যিনি শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হিসেবে খ্যাত।
-
তাঁর অনুবাদে মহাভারতের আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব পাওয়া যায়, যা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।
0
Updated: 1 month ago
'মহাভারত' মূল কাব্যের রচয়িতা ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব
B
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
C
কাশীরাম দাস
D
রাধারমণ দত্ত
মহাভারত
-
মূল রচনা: সংস্কৃত ভাষায়, কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
-
প্রথম বাংলা অনুবাদ: কবীন্দ্র পরমেশ্বর, উৎসাহদাতা: পরাগল খাঁ।
-
অনুবাদের নাম: পরাগলী মহাভারত।
-
অনুবাদক দেওয়া নাম: বিজয়পান্ডবকথা বা ভারতপাঁচালী।
-
-
শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদক: কাশীরাম দাস।
-
অনুবাদ গ্রন্থের নাম: ভারত পাঁচালী।
-
রচনাকাল: আনুমানিক ১৬০২–১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দ।
-
কাশীরাম দাস সম্পূর্ণ মহাভারত রচনা শেষ করতে পারেননি; আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব রচনা শেষে ইহলোক ত্যাগ করেন। অসমাপ্ত কাব্য শেষ করেন তাঁর পুত্র, ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্যরা।
-
0
Updated: 1 month ago