'বিশ শতকের মেয়ে' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
A
আল মাহমুদ
B
জহির রায়হান
C
আহমদ শরীফ
D
নীলিমা ইব্রাহিম
উত্তরের বিবরণ
‘বিশ শতকের মেয়ে’ উপন্যাস
-
‘বিশ শতকের মেয়ে’ নীলিমা ইব্রাহিম রচিত একটি উপন্যাস।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে।
অন্যান্য উপন্যাস ও গ্রন্থ
-
‘আগুনের মেয়ে’ উপন্যাসের রচয়িতা আল মাহমুদ।
-
জহির রায়হানের ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ যতটা না প্রেমের, তার চেয়ে বেশি প্রেমহীনতার উপন্যাস।
-
‘বিশ শতকের বাঙালি’ গ্রন্থের লেখক আহমদ শরীফ।
নীলিমা ইব্রাহিম
-
নীলিমা ইব্রাহিম (১৯২১–২০০২) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী।
-
তিনি ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কলকাতার লরেটো হাউজে ১৯৪৩–৪৪ সালে লেকচারার হিসেবে চাকরি করেন।
-
নীলিমা ইব্রাহিম গবেষণা, উপন্যাস, নাটক ও আত্মজীবনী সহ নানা ধারার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।
তাঁর গ্রন্থসমূহ
গবেষণা
-
শরৎ-প্রতিভা
-
বাংলার কবি মধুসূদন
-
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি সমাজ ও বাংলা নাটক
উপন্যাস
-
বিশ শতকের মেয়ে
-
এক পথ দুই বাঁক
-
কেয়াবন সঞ্চারিণী
-
বহ্নিবলয়
নাটক
-
দুয়ে দুয়ে চার
-
যে অরণ্যে আলো নেই
-
রোদ জ্বলা বিকেল
-
সূর্যাস্তের পর
আত্মজীবনী
-
বিন্দু-বিসর্গ
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের গদ্যরীতিতে রচিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইতিহাসমালা
B
লিপিমালা
C
রাজাবলি
D
তোতা ইতিহাস
রাজাবলি গ্রন্থটি মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার রচনা এবং বাংলা গদ্য সাহিত্যে প্রাথমিক আধুনিকতার পরিচায়ক। এতে কিংবদন্তি ও লোকপ্রসিদ্ধ কাহিনির ভিত্তিতে লেখা হয়েছে এবং গদ্যরীতি আরও সুষ্ঠু ও প্রাঞ্জল রূপ পেয়েছে।
-
রাজাবলি (১৮০৮) গ্রন্থটি আরবি ও ফারসি শব্দবাহুল্য সত্ত্বেও প্রাঞ্জল ভাষার জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের শ্রেষ্ঠ রচনার মধ্যে গণ্য।
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার অন্যান্য রচনা:
-
বত্রিশ সিংহাসন
-
রাজাবলি
-
হিতোপদেশ
-
বেদান্তচন্দ্রিকা
-
প্রবোধচন্দ্রিকা
-
অন্য প্রারম্ভিক গদ্যকার ও তাদের গ্রন্থ:
-
উইলিয়াম কেরি: ইতিহাসমালা (১৮১২)
-
রামরাম বসু: লিপিমালা (১৮০২)
-
চণ্ডীচরণ মুর্শী: তোতা ইতিহাস (১৮০৫)
0
Updated: 1 month ago
‘শকুন্তলা’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘শকুন্তলা’ (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত)
-
১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন সংস্কৃত মহাকবি কালিদাস রচিত অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটক অবলম্বনে বিদ্যাসাগর একটি আখ্যান/উপন্যাসোপম কাহিনি রচনা করেন।
-
এর নাম দেন ‘শকুন্তলা’।
-
কাহিনি নির্মাণ ও ভাষাব্যবহারে বিদ্যাসাগর যথেষ্ট স্বাধীনতা নিয়েছেন।
-
এতে তাঁর সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি, আধুনিক মনোভাব, শিল্পবোধ ও পরিমিতি প্রকাশ পেয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০ খ্রি., পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। (মূল নাম: ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা)।
-
তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
-
তিনি প্রথম বাংলা গদ্যে যতিচিহ্ন/বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)—এ গ্রন্থেই প্রথমবার বিরামচিহ্নের ব্যবহার দেখা যায়।
0
Updated: 2 months ago
আবু জাফর শামসুদ্দীন ও মোহাম্মদ নাসির আলির যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত সাহিত্যপত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নয়া সড়ক
B
দৈনিক আজাদ
C
দৈনিক সোলতান
D
দৈনিক সমকাল
'নয়া সড়ক' একটি বার্ষিক সাহিত্যপত্র যা ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল আবু জাফর শামসুদ্দীন ও মোহাম্মদ নাসির আলির যৌথ সম্পাদনায়। এটি স্বাধীন পূর্ববাংলার প্রথম বাংলা সাহিত্যপত্র হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষত ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পর। পত্রিকার নামকরণ থেকেই বোঝা যায় যে এর আয়োজকরা নতুন সাহিত্যিক যাত্রার প্রত্যাশী ছিলেন। মূলত মুসলিম লেখকদের লেখা প্রকাশিত হতো এতে এবং অনেকেই পরে স্বনামে খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে এই সাহিত্যপত্রটি বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ, এবং বাংলা একাডেমীর 'দুষ্প্রাপ্য' বিভাগে এর প্রথম সংখ্যাটি সংরক্ষিত আছে।
-
দৈনিক সোলতান পত্রিকায় সাবএডিটর হিসেবে আবু জাফর শামসুদ্দীন তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।
-
দৈনিক আজাদ ছিল বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে প্রবর্তিত একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা। এটি ১৯৩৬ সালে চালু হয়ে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। আজাদ ছিল ঢাকার প্রথম দৈনিক এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলা ভাষার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ।
-
দৈনিক সমকাল বাংলাদেশের ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা। এটি ২০০৫ সালের ৩১ মে থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার। প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হলেন আবুল কালাম আজাদ।
0
Updated: 1 month ago