বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় কোন জেলায়?
A
ফরিদপুর
B
রংপুর
C
জামালপুর
D
শেরপুর
উত্তরের বিবরণ
কৃষি পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী শীর্ষ উৎপাদনকারক অঞ্চলসমূহ
কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থ-২০২৩ অনুযায়ী, পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভাগ ও জেলা অনুসারে শীর্ষ স্থানগুলো হলো:
-
বিভাগ হিসেবে: ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন করে, মোট ২৯,৪৬,৪৮৬ বেলস।
-
জেলা হিসেবে: ফরিদপুর জেলা সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন করে, মোট ৯,৯১,৮৭৫ বেলস।
ধান, গম, ভূট্টা, তুলা, চা, তামাক এবং আলুর ক্ষেত্রে শীর্ষ জেলা সমূহ:
-
ধান: ময়মনসিংহ
-
গম: ঠাকুরগাঁও
-
ভূট্টা: দিনাজপুর
-
তুলা: ঝিনাইদহ
-
চা: মৌলভীবাজার
-
তামাক: কুষ্টিয়া
-
পাট: ফরিদপুর
-
আলু: রংপুর
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থ-২০২৩
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 month ago
A
ফার্নেস অয়েল
B
কয়লা
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
ডিজেল
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৯.০৭% গ্যাস ভিত্তিক, এবং ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক উৎপাদন ২৬.৯৫%।
২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬,৮৪৪ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির ব্যবহারের ভাগ হলো:
-
গ্যাস: ৪৯.০৭%
-
ফার্নেস অয়েল: ২৬.৯৫%
-
কয়লা: ১১.৪৬%
-
ডিজেল: ৫.৪৯%
-
বিদ্যুৎ আমদানি: ৪.৯৪%
-
নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ২.০৮%
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা কতটি?
Created: 2 months ago
A
১৭টি
B
২০টি
C
৬৪টি
D
১৯টি
বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা
-
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় পূর্ব বাংলার মোট ১৭টি জেলা ছিল।
-
দেশভাগের আগে পূর্ব বাংলায় ১৫টি জেলা ছিল।
-
১৯৪৭ সালে নদীয়া জেলার কিছু অংশসহ বৃহত্তর কুষ্টিয়াকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে জেলার সংখ্যা হয়ে যায় ১৬টি।
-
পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট পাকিস্তানে যোগদান করলে জেলা সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭টি।
-
পাকিস্তান শাসনাধীন সময় ১৯৬৯ সালে ঢাকা জেলা থেকে টাঙ্গাইল এবং বরিশাল জেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সৃষ্টি হয়। তখন স্বাধীনতার পূর্বে বৃহত্তর জেলার সংখ্যা হয় ১৯টি।
-
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ও বৃহত্তর জেলা ছিল ১৯টি।
-
পরে ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলা গঠন করা হয়, যাতে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়।
এই প্রশ্নের ক্ষেত্রে যেহেতু “বাংলাদেশ” উল্লেখ আছে, তাই স্বাধীনতার সময়ের জেলা সংখ্যা ১৯টি ধরা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি), জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি বিচার বিভাগের কাজ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
আইনের প্রয়োগ
B
আইনের ব্যাখ্যা
C
সংবিধানের ব্যাখ্যা
D
সংবিধান প্রণয়ন
বিচার বিভাগ দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু মামলার নিষ্পত্তি নয় বরং আইন, শাসন ও সংবিধানের রক্ষা নিশ্চিত করে।
এটি দেশের সমস্ত বিচারকের দ্বারা গঠিত এবং দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপ:
বিচার সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।
-
এটি ব্যক্তির, রাষ্ট্রের এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ সমাধান করে।
আইন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং প্রয়োজনে নিজের মতামতও প্রতিফলিত করে।
-
এই ব্যাখ্যাগুলো পরবর্তীতে উদাহরণ (precedent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাসন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ শুধু মামলার নিষ্পত্তি করে না, শাসন সংক্রান্ত কাজও করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, নাবালকের সম্পত্তি তদারকি করা বা বিদেশী নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা।
পরামর্শ প্রদান
-
শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ প্রায়ই বিচার বিভাগের পরামর্শের উপর নির্ভর করে।
-
বিচার বিভাগ এখানে জ্ঞানসমৃদ্ধ পরামর্শ বা উপদেশ (advice) প্রদান করে।
জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা
-
বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করে।
-
শাসন বিভাগের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে এটি একমাত্র প্রতিরক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা (injunction) জারি করে।
তদন্ত সংক্রান্ত কাজ
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার জনগণের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে বাধ্য।
-
অন্যায়, জোর-জবরদস্তি, অপরাধ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ তদন্ত পরিচালনা করে এবং আইন শাসন নিশ্চিত করে।
সংবিধান সংরক্ষণ
-
বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষক (guardian of the constitution)।
-
সংবিধান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিবাদ সমাধান করে এবং সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করে।
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা
-
ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগের একটি মূল কাজ।
-
এটি মামলা পরিচালনা করে নথি পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং অপরাধীর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 3 weeks ago