বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় কোন জেলায়?
A
ফরিদপুর
B
রংপুর
C
জামালপুর
D
শেরপুর
উত্তরের বিবরণ
কৃষি পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী শীর্ষ উৎপাদনকারক অঞ্চলসমূহ
কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থ-২০২৩ অনুযায়ী, পাট উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভাগ ও জেলা অনুসারে শীর্ষ স্থানগুলো হলো:
-
বিভাগ হিসেবে: ঢাকা বিভাগ সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন করে, মোট ২৯,৪৬,৪৮৬ বেলস।
-
জেলা হিসেবে: ফরিদপুর জেলা সর্বোচ্চ পাট উৎপাদন করে, মোট ৯,৯১,৮৭৫ বেলস।
ধান, গম, ভূট্টা, তুলা, চা, তামাক এবং আলুর ক্ষেত্রে শীর্ষ জেলা সমূহ:
-
ধান: ময়মনসিংহ
-
গম: ঠাকুরগাঁও
-
ভূট্টা: দিনাজপুর
-
তুলা: ঝিনাইদহ
-
চা: মৌলভীবাজার
-
তামাক: কুষ্টিয়া
-
পাট: ফরিদপুর
-
আলু: রংপুর
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থ-২০২৩
0
Updated: 1 month ago
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে দেনদরবার করার ক্ষেত্রে কোন নেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
Created: 2 weeks ago
A
হাকিম আজমল খান
B
শেরে বাংলা এ, কে. ফজলুল হক
C
স্যার সলিমুল্লাহ
D
স্যার আব্দুর রহিম
১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে দেনদরবার করেন।
-
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জায়গা নিশ্চিত করেন।
-
বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে।
-
তিনি ১৯০৫ সাল থেকেই সরকারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন।
-
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় এসে তিন দিন অবস্থান করেন।
-
৩১ জানুয়ারি নবাব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে একটি মানপত্র ও প্রস্তাব পেশ করে, যাতে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
-
এর পরদিন, ২ ফেব্রুয়ারি ১৯১২ সালে, ভারত সরকার এক ইশতেহারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ ঘোষণা করে।
-
অবশেষে ১৯২১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশে White gold কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ইলিশ
B
পাট
C
রূপা
D
চিংড়ি
বাংলাদেশ চিংড়ির কারণে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত। বঙ্গোপসাগর, নদী মোহনা ও স্বাদু পানিতে প্রচুর চিংড়ি থাকায় এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ। দেশে মোট ৫৬টি চিংড়ির প্রজাতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে:
-
৩৭টি লবণাক্ত পানিতে,
-
১২টি কমলবণাক্ত পানিতে,
-
৭টি স্বাদু পানিতে বাস করে।
চিংড়ি রপ্তানি থেকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তাই চিংড়িকে ‘হোয়াইট গোল্ড’ বা সাদা সোনা বলা হয়। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য।
উৎপাদন এলাকা:
চিংড়ির প্রাধান্য রয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। ৭০-এর দশকের শুরুতে এখানকার চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। ৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়।
-
শুরুতে খুলনা অঞ্চলে আধা-লোনা পানিতে এবং কক্সবাজারে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষ করা হয়।
-
এরপর মৎস্য অধিদপ্তরের হ্যাচারি পোনা উৎপাদনে সফল হয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হ্যাচারি স্থাপনে সহায়তা করা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দেশের জাতীয় মাছ: ইলিশ
-
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল: পাট, যাকে বলা হয় ‘সোনালী আশ’
উৎস: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
অশোক মৌর্য
B
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
C
সমুদ্র গুপ্ত
D
এর কোনোটিই নয়
মৌর্য সাম্রাজ্য
-
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মৌর্য সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটে।
-
এটি ভারতের প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যই মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
-
বাংলায় মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন সম্রাট আশোক।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩২২–২৯৮ অব্দ।
-
গ্রিক ঐতিহাসিক মেগাস্থিনিস তার ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থে চন্দ্রগুপ্তের ব্যক্তিগত জীবন এবং শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
-
তিনি ভারতকে গ্রিক শাসন থেকে মুক্ত করেছিলেন।
-
তাঁর রাজধানী পাটলীপুত্র ছিল একটি বড় ও সুন্দর প্রাসাদ নগরী।
-
প্রায় ২৪ বছর শাসন করার পর তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করেছিলেন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, HSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago