আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্ কখন বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন?
A
১৪৯৮-১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে
B
১৪৯৮-১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে
C
১৪৯৮-১৫১৮ খ্রিস্টাব্দে
D
১৪৯৮-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরের বিবরণ
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
বাংলাদেশের ইতিহাসে হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বিশেষভাবে স্মরণীয়।
-
তিনি সৈয়দ হোসেন হাবসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ‘আলাউদ্দিন হুসেন শাহ’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
তাঁর পূর্বপুরুষ আরব দেশের সৈয়দ বংশের লোক ছিলেন।
-
শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
-
শাসনামলে ন্যায়নীতি, উন্নয়ন ও ধর্মীয় সহনশীলতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হয়।
-
এই সময়ে শ্রীচৈতন্যদেব তাঁর বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার আন্দোলন পরিচালনা করেন।
-
সুলতানের সমাধি বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকায়, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদের প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কোন সালে বয়স্ক ভাতা চালু হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৫
B
১৯৯৬
C
১৯৯৭
D
১৯৯৮
বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়েছে। এই কর্মসূচি প্রথমবার ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে চালু হয়।
প্রাথমিকভাবে এটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিমাসে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা অর্থাৎ মোট ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনে। পরবর্তীতে দেশের সকল পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশনেও এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়।
২০১৩ সালে প্রণীত বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়, যেখানে মহিলাদের বয়স ৬৫ থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ করা হয়, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্তকরণ এবং একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়।
২০২৪-২৫ সালের বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন ভাতার হার নিম্নরূপ:
-
বয়স্ক ভাতা: ৬০০ টাকা মাসিক
-
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা: ৫৫০ টাকা মাসিক
-
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা: ৮৫০ টাকা মাসিক
-
অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কার্যক্রমে ভাতা: ৪০০ টাকা মাসিক
-
মাতৃত্বকালীন ভাতা (৩৬ মাস পর্যন্ত): ৮০০ টাকা মাসিক
-
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ভাতা: ১০৫০ টাকা মাসিক
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: ২০,০০০ টাকা মাসিক
0
Updated: 1 month ago
ইউরিয়া সারের কাঁচামাল কী?
Created: 3 weeks ago
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
চুনাপাথর
C
মিথেন গ্যাস
D
ইলমেনাইট
প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত মিথেন দিয়ে গঠিত হলেও, এতে অন্যান্য উপাদান যেমন ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, আইসোবিউটেন, পেন্টেন, এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ও উপস্থিত থাকে।
ইউরিয়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রধান কাঁচামাল (Raw Material) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
বাংলাদেশে ৭টি ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
-
ইউরিয়া উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল হলো প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত মিথেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড, উভয়ই প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান।
-
মিথেন ছাড়া অন্যান্য উপাদানও ইউরিয়া সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তাই কাঁচামাল হিসেবে ‘প্রাকৃতিক গ্যাস’ সবচেয়ে সঠিক উত্তর।
-
যদি অপশনে প্রাকৃতিক গ্যাস না থাকে, তখন মিথেন উত্তর হিসেবে নেওয়া যায়।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশে কোন নদী কার্পজাতীয় মাছের রেণুর প্রধান উৎস?
Created: 3 weeks ago
A
সালদা
B
হালদা
C
পদ্মা
D
কুমার
হালদা নদী বাংলাদেশের কার্পজাতীয় মাছের প্রজননের জন্য অন্যতম প্রধান উৎস। এটি দেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।
→ হালদা নদী সরকার ঘোষিত একটি মৎস্য অভয়াশ্রম।
→ এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে উৎপত্তি ও সমাপ্তি হয়েছে।
→ চট্টগ্রামে অবস্থিত হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র।
→ নদীটি খাগড়াছড়ির বাদনাতলী থেকে শুরু হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়।
→ সরকার এই নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
0
Updated: 3 weeks ago