সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে 'সরকারি কর্ম কমিশন' (PSC) গঠনের উল্লেখ আছে?
A
১৩৭ নং অনুচ্ছেদে
B
১৩৫ নং অনুচ্ছেদে
C
১৩৮ নং অনুচ্ছেদে
D
১৩৪ নং অনুচ্ছেদে
উত্তরের বিবরণ
সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের জন্য একটি বা একাধিক সরকারি কর্ম কমিশন গঠন করা যাবে।
প্রতিটি কমিশনে একজন চেয়ারম্যান এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক অন্যান্য সদস্য থাকবে।
এছাড়াও—
-
১৩৫ নং অনুচ্ছেদে অসামরিক সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত বা শাস্তি সম্পর্কিত বিষয় উল্লেখ আছে।
-
১৩৮ নং অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
-
১৩৯ নং অনুচ্ছেদে তাদের কার্যকালের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
“মাৎস্যন্যায়” বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
৫ম-৬ষ্ঠ শতক
B
৬ষ্ঠ-৭ম শতক
C
৭ম-৮ম শতক
D
৮ম-৯ম শতক
যখন দেশে আইনকানুন কার্যকর থাকে না বা শাসনক্ষমতা ভেঙে পড়ে, তখন অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে “মাৎস্যন্যায়” বলা হয়। এর মানে হলো— যেমন বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, তেমনি শক্তিশালী দুর্বলকে দমন করে আইনহীনতা চালিয়ে যায়।
মাৎস্যন্যায়ের সময়কাল
বাংলার ইতিহাসে ৭ম থেকে ৮ম শতক ছিল চরম নৈরাজ্যের সময়। এই অরাজক পরিস্থিতি ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
শশাঙ্ক-পরবর্তী অরাজকতা
গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় কেন্দ্রীয় শাসন ভেঙে পড়ে। এর ফলে অশান্তি, লড়াই-ঝগড়া আর হানাহানি শুরু হয়, যা কয়েক শতাব্দী ধরে চলতে থাকে।
গোপালের আবির্ভাব
এই নৈরাজ্য দূর করে গোপাল নামের এক নেতা বাংলায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁকে জনগণ রাজা হিসেবে বেছে নেয়। এর মাধ্যমে পাল বংশের সূচনা হয় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
পাল রাজবংশের শাসন
গোপালের প্রতিষ্ঠিত পাল রাজবংশ প্রায় চারশ বছর বাংলা ও বিহার অঞ্চলে শাসন করেছে (অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে)। এই দীর্ঘ শাসনামলে দেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়।
প্রখ্যাত পাল রাজারা
পাল বংশের মধ্যে ধর্মপাল, দেবপাল ও মহিপালের নাম সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাঁরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
চাকমা জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা সর্বাধিক-
Created: 1 month ago
A
রাঙ্গামাটি জেলায়
B
খাগড়াছড়ি জেলায়
C
বান্দরবান জেলায়
D
সিলেট জেলায়
চাকমা জনগোষ্ঠী
-
চাকমা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
তারা নিজেদের পরিচয় দেয় চাঙমা নামে।
-
মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাদের বসতি।
-
চাকমাদের ৯০% এর বেশি রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে।
-
বাংলাদেশের বাইরে ভারতের অরুণাচল, মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্যেও কিছু চাকমা জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
ইতিহাস অনুসারে, চাকমারা মধ্য মায়ানমার ও আরাকান অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।
-
তাদের প্রধান বর্ষবরণ উৎসব হলো বিজু।
-
চাকমা ভাষার নিজস্ব লিপি রয়েছে, তবে বর্তমানে তা খুব বেশি ব্যবহৃত হয় না।
-
এখন চাকমা ভাষা সাধারণত বাংলা লিপিতে লেখা হয়।
জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য
-
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা ১৬ লাখ ৫০ হাজার ১৫৯ জন।
-
এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম বিভাগেই বসবাস করছে প্রায় ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৬০ জন।
-
জেলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ থাকে রাঙ্গামাটিতে – মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৪ জন।
এদের মধ্যে চাকমা জনগোষ্ঠী সংখ্যায় সবার শীর্ষে। -
এরপরের অবস্থানে আছে খাগড়াছড়ি জেলা, যেখানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন।
উৎস ঃ বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
জামদানি কত সালে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়?
Created: 2 weeks ago
A
২০১৪ সালে
B
২০১৫ সালে
C
২০১৬ সালে
D
২০১৭ সালে
জিআই (GI) হলো Geographical Indication বা ভৌগলিক নির্দেশক, যা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের পণ্য বা সেবার উৎপত্তি, গুণমান এবং খ্যাতি নির্দেশ করে। এই নির্দেশক মূলত পণ্যের উৎপাদন এলাকার পরিবেশ, আবহাওয়া, সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হতে পারে। জাতিসংঘের সংস্থা WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রধান প্রতিষ্ঠান।
-
জিআই (Geographical Indication) হলো একটি চিহ্ন বা প্রতীক, যা পণ্যের উৎস, মান ও সুনাম তুলে ধরে।
-
যদি কোনো দেশের আবহাওয়া, পরিবেশ বা প্রাকৃতিক উপাদান কোনো পণ্যের উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সেই পণ্যের উৎপাদন ঐ দেশের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে সেটিকে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য হলো জামদানি শাড়ি।
-
২০১৬ সালে জামদানি শাড়ি ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়।

0
Updated: 2 weeks ago