সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো কোন রোগ প্রতিরোধে টিকা দেবে সরকার? [আগস্ট, ২০২৫]
A
ডেঙ্গু
B
হেপাটাইটিস
C
টাইফয়েড
D
চিকুনগুনিয়া
উত্তরের বিবরণ
টাইফয়েড টিকা
-
দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড প্রতিরোধে সরকারী টিকা প্রদান করা হবে।
-
ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।
-
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)–এর আওতায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে।
-
এক ডোজের ইনজেকটেবল টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করবে।
উল্লেখযোগ্য:
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুযায়ী, টাইফয়েড হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়।
-
উপসর্গসমূহ: দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়া।
-
গুরুতর ক্ষেত্রে জটিলতা বা মৃত্যু হতে পারে।
-
বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ মারা যায়।
তথ্যসূত্র: নিউজ প্রতিবেদন [Link]

0
Updated: 12 hours ago
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
কংগ্রেস
B
স্বরাজ দল
C
কৃষক প্রজা পার্টি
D
মুসলিম লীগ
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
-
জন্ম ও পরিবার: ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর (১২৯৩ বাংলা সালের ১৬ কার্তিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন মুনসেফ কোর্টের সেরেস্তাদার।
-
শিক্ষা:
-
১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল হতে প্রবেশিকা।
-
১৯০৮ সালে কলকাতা রিপন কলেজ হতে বি.এ।
-
১৯১০ সালে একই কলেজ হতে বি.এল।
-
-
কর্মজীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড:
-
১৯১১ সালে কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান।
-
১৯০৭ সালে ত্রিপুরা হিতসাধনী সভার সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
-
-
রাজনৈতিক ভূমিকা:
-
১৯৪৮ সালে গণপরিষদের অধিবেশনে কংগ্রেস দলীয় সদস্য হিসেবে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার দাবিতে উত্থাপন করেন।
-
১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
-
১৯৫৬ সালের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
কোন নৃগোষ্ঠীর সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক?
Created: 1 week ago
A
চাকমা
B
ত্রিপুরা
C
লুসাই
D
গারো
গারো জনগোষ্ঠী
-
গারো বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী।
-
এরা দেশের টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর জেলায় বসবাস করে।
-
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
নৃ-বিজ্ঞানীদের মতে, গারোরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর তিব্বতীবর্মণ শাখার বোড়ো উপশাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
আদি বাসভূমি বর্তমান চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিন-কিয়াং প্রদেশ, যেখান থেকে তারা দেশত্যাগ করে পরবর্তীকালে তিব্বতে দীর্ঘদিন বসবাস করেছিল।
-
পরে ভারতের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য এলাকা এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলে এরা বসতি গড়ে।
-
গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক।
-
পরিবারে মা কর্তা ও সম্পত্তির অধিকারী, পিতা পরিবারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
-
সন্তানরা মায়ের পদবি অনুযায়ী পরিচিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
খাসিয়া জাতি
-
বর্ণনা: খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
উৎপত্তি: মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
আদি নিবাস: সুনামগঞ্জ জেলা, উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
-
বর্তমান বিস্তার: সিলেট, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানা।
-
সামাজিক কাঠামো: খাসিয়ারা গ্রামকে পুঞ্জি বলে এবং পুঞ্জি প্রধানকে সিয়েম বলা হয়।
-
ধর্ম: বর্তমানে ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান। প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতে গির্জা রয়েছে।
-
উৎসব: প্রধান উৎসব খাসি সেং কুটস্নেম, যা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago