জুলাই ঘোষণাপত্রে কয়টি দফা রয়েছে?
A
২০টি
B
২২টি
C
২৪টি
D
২৮টি
উত্তরের বিবরণ
জুলাই ঘোষণাপত্র
-
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
-
৫ই আগস্ট, ২০২৫, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
-
ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা।
-
এতে মোট ২৮টি দফা রয়েছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি দফার সারাংশ:
১. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও গণপ্রতিরোধের ইতিহাস।
২. জাতীয় মুক্তির মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার।
৩. ১৯৭২ সালের সংবিধানের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
৪. বাকশাল ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর বিপ্লব।
৫. সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব।
৬. ১/১১ ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হওয়া।
৭. বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
৮. গণহত্যা, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংস।
৯. বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়া রাষ্ট্রে রূপান্তরের অভিযোগ।
১০. দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও পরিবেশবিনাশের চিত্র।
১১. জনগণের ওপর দীর্ঘ দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম।
১২. বিদেশী আধিপত্যবিরোধী আন্দোলন দমন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন।
১৩. তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা।
১৪. বৈষম্যমূলক নিয়োগ নীতি ও তরুণদের প্রতি নিপীড়নের অভিযোগ।
১৫. নিপীড়নের ফলে জনরোষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্থান।
১৬. কোটা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্বরতা।
১৭. নারী-শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ।
১৮. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট।
১৯. গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা।
২০. ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি।
২১. ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ।
২২. সুশাসন, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক সংস্কারে জনগণের প্রতিশ্রুতি।
২৩. গুম-খুন, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা।
২৪. আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা ও শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা।
২৫. অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ।
২৬. জলবায়ু ও পরিবেশসহ টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
২৭. ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান।
২৮. ঘোষণাপত্রকে গণঅভ্যুত্থান বিজয়ের চূড়ান্ত দলিল হিসেবে ঘোষণা।
তথ্যসূত্র: জুলাই ঘোষণাপত্র
0
Updated: 1 month ago
জেনারেল এরশাদের আমলে কোন সংসদে অষ্টম সংশোধনী পাস হয়েছিল?
Created: 4 weeks ago
A
তৃতীয় সংসদ
B
চতুর্থ সংসদ
C
পঞ্চম সংসদ
D
ষষ্ঠ সংসদ
বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী (১৯৮৮)
-
সংসদে উত্থাপন: ১১ মে, ১৯৮৮
-
উত্থাপনকারী: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ
-
সংসদে গৃহীত: ৭ জুন, ১৯৮৮
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতি: ৯ জুন, ১৯৮৮
মূল বিষয়বস্তু:
-
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা: বাংলাদেশে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
হাইকোর্টের আঞ্চলিক বেঞ্চ স্থাপন: বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেটে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন।
-
বিদেশি উপাধি গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ: কোনো নাগরিক রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত বিদেশ থেকে উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না।
-
রাজধানী ও ভাষার বানান সংশোধন:
-
রাজধানী Dacca → Dhaka
-
বাংলা ভাষা English: Bengali → Bangla
-
সংক্ষেপে, অষ্টম সংশোধনী ধর্মীয় স্বীকৃতি, বিচারিক কাঠামো, বিদেশি উপাধি নিয়ন্ত্রণ এবং সাংস্কৃতিক-ভাষাগত বানান সংশোধনের জন্য গৃহীত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী, মহিলা বা ৬৫ তদূর্ধ্ব ব্যক্তির জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা কত?
Created: 3 weeks ago
A
৩,৫০,০০০ টাকা
B
৫,০০,০০০ টাকা
C
৪,০০,০০০ টাকা
D
৪,৭৫,০০০ টাকা
বাংলাদেশে করমুক্ত আয় সীমা বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত, যা তাদের আয়কর দায়বদ্ধতা কমাতে সহায়তা করে।
-
সাধারণ ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা: ৩৫০,০০০ টাকা
-
নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা: ৪,০০,০০০ টাকা
-
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা: ৪৭৫,০০০ টাকা
-
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার করমুক্ত আয় সীমা: ৫০০,০০০ টাকা
-
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা: ৪৭৫,০০০ টাকা
উল্লেখ্য, ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে নারী এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৪,২৫,০০০ টাকা।
0
Updated: 3 weeks ago
জাতিসংঘ সনদের কোন অনুচ্ছেদে নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ ২৩
B
অনুচ্ছেদ ২৪
C
অনুচ্ছেদ ২৭
D
অনুচ্ছেদ ২৮
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council) হলো জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্বে নিয়োজিত।
-
প্রধান দায়িত্ব: বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখা এবং সংঘাত প্রতিরোধ করা
-
সদস্য সংখ্যা: ১৫টি (৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী)
গঠন ও ক্ষমতা:
-
জাতিসংঘ সনদের ২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত।
-
স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে; তারা একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তা গৃহীত হবে না।
-
অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন, মেয়াদকাল সাধারণত দুই বছর। তাদের কোনো ভেটো ক্ষমতা নেই, তবে তারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ভোট দিতে পারে।
কাজ ও পদ্ধতি:
-
২৪ নং অনুচ্ছেদ: নিরাপত্তা পরিষদের কাজ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা
-
২৭ নং অনুচ্ছেদ: ভোটিং পদ্ধতি
-
২৮ নং অনুচ্ছেদ: কাজের পদ্ধতি
0
Updated: 1 month ago