বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের উৎস হলো মূল্য সংযোজন কর বা মূসক (Value Added Tax – VAT)। এটি দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং রাজস্ব সংগ্রহে এর অবদান সবচেয়ে বেশি। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো –
-
২০২৩–২৪ অর্থবছরে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) এর মোট আয়ের ৩৮.১% ভ্যাট থেকে আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
অন্যান্য সব উৎসের তুলনায় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকেই সরকার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করে।
-
রাজস্ব আয়ের দ্বিতীয় প্রধান উৎস হলো আয়কর, যা আয়, মুনাফা ও মূলধনের উপর আরোপিত হয়।
সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তির চিত্র (২০২৩–২৪ অর্থবছর অনুযায়ী):
-
বৈদেশিক অনুদানসহ মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা: ৫০৩,৯০০ কোটি টাকা
-
NBR নিয়ন্ত্রিত কর: ৪৩০,০০০ কোটি টাকা
-
NBR নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কর: ২০,০০০ কোটি টাকা
-
কর ব্যতীত অন্যান্য প্রাপ্তি: ৫০,০০০ কোটি টাকা
-
বৈদেশিক অনুদান: ৩,৯০০ কোটি টাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) কর্তৃক আহরিত করের খাতসমূহ –
-
মূল্য সংযোজন কর (VAT): ১৬৩,৮৩৭ কোটি টাকা (৩৮.১%)
-
আয়, মুনাফা ও মূলধনের উপর কর: ১৫৩,২৬০ কোটি টাকা (৩৫.৬%)
-
সম্পূরক শুল্ক (Supplementary Duty): ৬০,৭০৩ কোটি টাকা (১৪.১%)
-
আমদানি শুল্ক (Import Duty): ৪৬,০১৫ কোটি টাকা
-
আবগারি শুল্ক (Excise Duty): ৪,৫৭৯ কোটি টাকা
মূল্য সংযোজন কর / Value Added Tax (মূসক / VAT):
-
এটি হলো কোনো পণ্য বা সেবার উৎপাদন ও বণ্টনের প্রতিটি ধাপে সংযোজিত মূল্যের ওপর আরোপিত শতকরা হারে কর।
-
বাংলাদেশে এটি একটি পরোক্ষ কর (Indirect Tax), অর্থাৎ ভোক্তা সরাসরি না দিয়ে পণ্যের বা সেবার দামে করটি পরিশোধ করে।
-
Value Added Tax Act, 1990 (মূসক আইন ১৯৯০) খসড়া করা হয় ১৯৯০ সালের জুন মাসে।
-
১ জুলাই ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে মূসক চালু হয়।
-
অধিকাংশ পণ্য ও সেবার উপর ১৫% VAT আরোপ করা হয়, তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এই হার কম বা বেশি হতে পারে।