বাংলাদেশ কত সালে বিশ্ব অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করে?
A
১৯৭৫ সালে
B
১৯৭৬ সালে
C
১৯৭৭ সালে
D
১৯৮০ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন:
-
‘বাংলাদেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি’ নামেও পরিচিত।
-
সদর দফতর: ঢাকা।
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ।
-
১৯৮০ সালে বিশ্ব অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সদস্যপদ লাভ করে।
-
বর্তমানে ২৭টি জাতীয় ফেডারেশন ও সমিতি (অলিম্পিক ও অ-অলিম্পিক উভয়) অধিভুক্ত।
-
বাংলাদেশ প্রথমবার ১৯৭৬ সালে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে।

0
Updated: 1 month ago
স্বাধীন বাংলাদেশকে কখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে?
Created: 4 months ago
A
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
B
২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২
C
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
৪ এপ্রিল, ১৯৭২
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য দেশ। ৪ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রধান কর্মকর্তা হার্বার্ট স্পাইভ্যাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের একটি বার্তা পৌঁছে দেন। বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। পরে, শেখ মুজিবুর রহমান ৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে একটি চিঠি প্রেরণ করেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে এবং প্রথম অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ডেভিস ইউজিন বোস্টার নিযুক্ত হন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬১ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭.৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
অন্যদিকে, এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪ এপ্রিল ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম ভেনিজুয়েলা ২ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ব্রিটেন ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে, ফ্রান্স ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে, ব্রাজিল ১৫ মে ১৯৭২ সালে এবং আর্জেন্টিনা ২৫ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সূত্র:
১. বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট
২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 months ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চলকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
রাজশাহী
B
ঢাকা
C
চট্টগ্রাম
D
সিলেট
সিলেটকে ‘৩৬০ আউলিয়ার দেশ’ বলা হয়
সিলেট অঞ্চলকে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় কারণে ‘৩৬০ আউলিয়ার দেশ’ হিসেবে পরিচিত করা হয়। এর পেছনের কারণ হলো:
-
হযরত শাহজালাল (র.) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট দরবেশ ও পীর। তিনি ইসলামের আলো সিলেট অঞ্চলে ছড়িয়ে দেন।
-
সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) রাজা গৌড়গোবিন্দের অত্যাচারের শিকার হন। এই ঘটনার পর হযরত শাহজালাল (র.) ও তাঁর সফরসঙ্গীসহ ৩৬০ আউলিয়া সিলেটে আগমন করেন।
-
এই কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি হিসেবে অভিহিত করা হয়। কেউ কেউ এই অঞ্চলকে ‘পুণ্যভূমি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
সিলেট জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.)সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি।
-
সুলতানী আমলে সিলেটের নাম ছিল জালালাবাদ।
-
ইতিহাসে নানকার বিদ্রোহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৭২ সালের ১৭ মার্চ।
-
দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি হাওর এখানে অবস্থিত।
-
দেশের সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় সিলেটে।
-
প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ—গ্যাস, তেল, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, বালি প্রভৃতি।
-
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত লালাখাল এলাকায় হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 2 months ago
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সাবমেরিন কেবলস অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কত দূরত্বের ব্যয় বহন করতে হবে?
Created: 2 months ago
A
৭০০ কিমি
B
৫৭০ কিমি
C
৩০০ কিমি
D
১৭০ কিমি
বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সাবমেরিন অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের জন্য ১৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে পরিচালিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বিএসসিপিএলসি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক তথ্য সুপারহাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে এবং বর্তমানে এটি দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
২০০৮ সালের বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (সংশোধনী) অধ্যাদেশের ৫বি ধারার আওতায় কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনসহ এসএমডব্লিউ-৪ সাবমেরিন ক্যাবলকে বিলুপ্ত বিটিটিবি (বিটিটিবি) থেকে আলাদা করে
"বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)" নামের নতুন কোম্পানি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে আরজেএসসি কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে "বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)" রাখা হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সাবমেরিন যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য।

0
Updated: 2 months ago