A
প্রথম স্থান
B
দ্বিতীয় স্থান
C
তৃতীয় স্থান
D
চতুর্থ স্থান
উত্তরের বিবরণ
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (WEF) ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (IDI) রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান:
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম প্রতি বছর Inclusive Development Index (IDI) প্রকাশ করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মান পরিমাপ করে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী:
-
উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৪তম স্থানে রয়েছে।
-
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে, যেখানে প্রথম স্থানে রয়েছে নেপাল।
এই সূচক মূলত দেখায়, কোন দেশগুলো কেবল অর্থনৈতিকভাবে বড় নয়, বরং তাদের জনগণের মধ্যে সমানভাবে উন্নয়ন ছড়াচ্ছে কি না।
উৎস: The Daily Star, 24 জানুয়ারি 2018; World Economic Forum

0
Updated: 15 hours ago
একটি দেশের মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
১৫-২০%
B
২০-২৫%
C
৩০-৩৫%
D
৩৫-৪০%
বন: প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ
একটি দেশের মোট জমির কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে ভূমির ক্ষয় রোধ, মাটি উর্বর রাখা, জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।
বাংলাদেশের বনভূমি
বাংলাদেশের বনভূমি পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
১। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বন
২। সিলেটের বনাঞ্চল
৩। সুন্দরবন
৪। মধুপুর ও ভাওয়ালের বন
৫। দিনাজপুর ও রংপুরের বন
বাংলাদেশের বনাঞ্চলে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গর্জন, সেগুন, চাপালিস, গামারি, শিরীষ, শাল এর মতো গাছ পাওয়া যায়।
সুন্দরবনে গোলপাতা এবং সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বাঁশ ও বেত প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
এগুলো থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, নৌকা, রেলওয়ের স্লিপার, খুঁটি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন থেকে আমরা জ্বালানি কাঠ, মধু, মোম, গোলপাতা প্রভৃতি পেয়ে থাকি, যা অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।
বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ
-
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
-
সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট জমির প্রায় ১৫.৫৮%।
-
বন অধিদপ্তর পরিচালিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১০.৭৪%।
-
মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট জমির ২২.৩৭%।
উৎস: অর্থনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 6 hours ago
A
অশোক মৌর্য
B
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
C
সমুদ্র গুপ্ত
D
এর কোনোটিই নয়
মৌর্য সাম্রাজ্য
-
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মৌর্য সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটে।
-
এটি ভারতের প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যই মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
-
বাংলায় মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন সম্রাট আশোক।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩২২–২৯৮ অব্দ।
-
গ্রিক ঐতিহাসিক মেগাস্থিনিস তার ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থে চন্দ্রগুপ্তের ব্যক্তিগত জীবন এবং শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
-
তিনি ভারতকে গ্রিক শাসন থেকে মুক্ত করেছিলেন।
-
তাঁর রাজধানী পাটলীপুত্র ছিল একটি বড় ও সুন্দর প্রাসাদ নগরী।
-
প্রায় ২৪ বছর শাসন করার পর তিনি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ত্যাগ করেছিলেন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, HSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 6 hours ago
ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
Created: 1 week ago
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
D
শিল্প মন্ত্রণালয়
ট্যারিফ কমিশন
ট্যারিফ কমিশন হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অসাম্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা রোধ করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও আইনগত ভিত্তি:
২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি একটি অধিদপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (৪৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয় এবং স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার পায়। -
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় শিল্পকে বিদেশি পণ্যের অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং শিল্পজাত পণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। -
সংগঠন ও নেতৃত্ব:
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত। এর নেতৃত্বে থাকেন সরকারি সচিব পর্যায়ের মর্যাদাসম্পন্ন চেয়ারম্যান। -
শাখা ভিত্তিক বিভাজন:
কমিশনের কাজ তিনটি প্রধান শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়:-
বাণিজ্য নীতিমালা শাখা
-
বাণিজ্য প্রতিকার শাখা
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা
প্রতিটি শাখার নেতৃত্বে একজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা আছে, যা কমিশনের সচিব দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: ট্যারিফ কমিশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago