বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
A
সিলেটের বনভূমি
B
পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি
C
ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
D
খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমি
উত্তরের বিবরণ
মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি
-
এটি উত্তরে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি উচ্চভূমি।
-
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার বনভূমি এ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।
-
মোট আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহৎ উচ্চভূমি।
-
বনভূমিটি শাল বা গজারী বৃক্ষের ঘন বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ।
-
তাই এটিকে শাল বা গজারী বনভূমি হিসেবেও ডাকা হয়।
-
এ বনভূমি ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের (deciduous) বনভূমির মধ্যে আসে।
তুলনামূলক তথ্য:
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমিতে প্রধানত গর্জন, জারুল, শিমুল, গামার ইত্যাদি বৃক্ষ জন্মে।
-
বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি ক্রান্তীয় পাতাঝরা বৃক্ষের বনভূমি।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
বিটিভি ওয়ার্ল্ড চ্যানেল বন্ধ হয়ে বিটিভি নিউজ নামে যাত্রা শুরু করে কবে?
Created: 2 weeks ago
A
১ জানুয়ারি, ২০২৪
B
১ ডিসেম্বর, ২০২৪
C
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
D
১ জানুয়ারি, ২০২৫
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যা বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টেলিভিশন হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খবর, বিনোদন ও তথ্য সরবরাহ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রচার শুরু: বাংলাদেশ টেলিভিশন ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার ডিআইটি ভবন (বর্তমান রাজউক ভবন) থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সম্প্রচার শুরু করে।
-
রঙিন সম্প্রচার: ১৯৮০ সাল থেকে বিটিভি রঙিন সম্প্রচার শুরু করে।
-
চট্টগ্রাম কেন্দ্র: ১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বিটিভি কেন্দ্র চালু হয়।
-
বিটিভি ওয়ার্ল্ড: ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল বিটিভি ওয়ার্ল্ড চালু হয়।
-
বিটিভি নিউজ: ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিটিভি ওয়ার্ল্ড চ্যানেল বন্ধ হয়ে বিটিভি নিউজ নামে যাত্রা শুরু করে।
-
পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র: বিটিভির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রের সংখ্যা ২টি, যথা:
• ঢাকা
• চট্টগ্রাম -
উপকেন্দ্র বা রিলে কেন্দ্র: মোট ১৪টি, এগুলো হলো: নাটোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, উখিয়া এবং রাঙ্গামাটি।
0
Updated: 2 weeks ago
ঢাকা গেইট এর নির্মাতা কে?
Created: 1 month ago
A
শায়েস্তা খাঁ
B
নবাব আবদুল গণি
C
লর্ড কার্জন
D
মীর জুমলা
ঢাকা গেইট একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মোগল স্থাপত্য নিদর্শন যা ঢাকার ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। এটি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকার মধ্যে অবস্থিত। প্রাচীনকালে এটি মীর জুমলা গেইট, ময়মনসিংহ গেইট বা রমনা গেইট নামে পরিচিত ছিল। নির্মাতা ছিলেন মীর জুমলা, যিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকালে বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
-
নির্মাণকাল: মীর জুমলা ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ঢাকা গেইট নির্মাণ করেন।
-
উদ্দেশ্য: সীমানা চিহ্নিত করা এবং স্থলপথে শত্রুদের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
সাম্প্রতিক ঘটনা: সম্প্রতি ঢাকা গেইট সংস্কারের পর নতুনভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
-
অতীত পরিচিতি: মীর জুমলা গেইট, ময়মনসিংহ গেইট, রমনা গেইট।
0
Updated: 1 month ago
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দুটোই পেয়েছেন-
Created: 1 month ago
A
ভাস্কর শামীম শিকদার
B
ভাস্কর হামিদুর রহমান
C
ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু
D
ভাস্কর নভেরা আহমেদ
নোভেরা আহমেদ বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ভাস্কর, যিনি আধুনিক শিল্পে অসাধারণ অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার শিল্পকর্ম ও অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ২০২৫ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
-
নোভেরা আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের বিংশ শতাব্দীর প্রথম আধুনিক ভাস্কর।
-
১৯৯৫ সালে তিনি 'হিউমানিটি' শিরোনামে একটি প্রশংসিত শিল্পকর্ম তৈরি করেন।
-
তার উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি 'নিঃসঙ্গ' (১৯৮৯) বাংলাদেশের প্রথম নগ্ন নারী অবয়ব ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
-
২০১২ সালে আঁকা তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে 'আত্মা', 'স্নান' এবং 'কক্সবাজার'।
-
তার অসামান্য শিল্পকর্ম ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে।
উল্লেখ্য:
-
ভাস্কর শামীম শিকদার একুশে পদক লাভ করেন ২০০০ সালে।
-
ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু একুশে পদক লাভ করেন ১৯৯৭ সালে।
0
Updated: 1 month ago