‘কল্লোল’ পত্রিকা
১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ। পত্রিকাটির পাতায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন অচিন্ত্যকমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকে।
‘কালিকলম’ সাহিত্য পত্রিকা
কলকাতা থেকেই ১৯২৬ সালে মাসিক ‘কালিকলম’ সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকাটির সম্পাদনা দায়িত্বে ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
‘কালিকলম’ মূলত ‘কল্লোল’ পত্রিকার আদর্শ ও সাহিত্যচেতনার ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হলেও এটি বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ‘কল্লোল’ ও ‘কালিকলম’-এর লেখক সমাজ প্রায় একই ধরনের ছিল।
‘সবুজপত্র’ পত্রিকা:
১৯১৪ সালে প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। বাংলা গদ্যের উন্নয়নে এর ভূমিকা অপরিসীম। বাংলা বৈশাখ ১৩২১ সালে প্রথম এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে গদ্যরীতির নতুন স্বাচ্ছন্দ্য অর্জন করেন এবং পরে তা তার লেখায় প্রয়োগ করেন। ‘সবুজপত্র’ বাংলা সাহিত্যে ‘সবুজপত্র গোষ্ঠী’ নামে একটি প্রভাবশালী সাহিত্যদল গঠনে সহায়ক হয়। ১৯২৭ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
‘প্রগতি’ পত্রিকা:
১৯২৭ সালে ঢাকা থেকে মাসিক ‘প্রগতি’ পত্রিকা প্রকাশ শুরু হয়। এর সম্পাদক হিসেবে ছিলেন বুদ্ধদেব বসু ও অজিতকুমার দত্ত। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবাহ ঢাকায় পিছিয়ে ছিল না, তার প্রমাণ স্বরূপ ‘প্রগতি’ পত্রিকার প্রকাশ।
উৎস: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।