A
সন্ধ্যাভাষা
B
অধিভাষা
C
ব্রজবুলি
D
সংস্কৃত ভাষা
উত্তরের বিবরণ
বৈষ্ণব পদাবলি
বাংলা মধ্যযুগের সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল সৃষ্টি হলো বৈষ্ণব পদাবলি। এ কাব্যের প্রধান নায়ক ও নায়িকা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা। তাঁদের প্রেমকাহিনীকে কেন্দ্র করে বহু কবি পদ রচনা করেছেন।
এ ধারার উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে আছেন—
-
বিদ্যাপতি
-
চণ্ডীদাস
-
জ্ঞানদাস
-
গোবিন্দদাস
ভাষা ও বৈশিষ্ট্য
-
বৈষ্ণব পদাবলি মূলত রচিত হয়েছে ব্রজবুলি ভাষায়।
-
ব্রজবুলি হলো মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রণে গঠিত এক ধরনের কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা।
-
এটিকে বাংলা মধ্যযুগের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বলা হয়।
-
ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে মিথিলার কবি বিদ্যাপতি প্রথম ব্রজবুলি ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে, চর্যাপদের ভাষাকে গবেষকেরা অনেক সময় সন্ধ্যাভাষা বা সন্ধাভাষা নামে অভিহিত করেছেন।
উৎসঃ লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ

0
Updated: 18 hours ago
ব্রজবুলিতে কোন কবি পদাবলি রচনা করেন?
Created: 1 month ago
A
জ্ঞানদাস
B
বিদ্যাপতি
C
গোবিন্দদাস
D
কোনটিই নয়
ব্রজবুলি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি (আনু. ১৩৭৪-১৪৬০) এর উদ্ভাবক। তিনি মৈথিলী ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার মিশ্রণে এই কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা উদ্ভাবন করেন। এ ভাষায় তিনি রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক বহু পদ রচনা করেন।
পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের ব্রজলীলা বর্ণিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে ব্রজবুলি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী রচনা করেছেন এ ভাষায়।

0
Updated: 1 month ago
শাক্ত পদাবলির জন্য বিখ্যাত-
Created: 1 week ago
A
রামনিধি গুপ্ত
B
দাশরথি রায়
C
এন্টনি ফিরিঙ্গি
D
রামপ্রসাদ সেন
রামপ্রসাদ সেন
-
রামপ্রসাদ সেন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের আদি ও শ্রেষ্ঠ শাক্তপদকবি। তিনি মূলত শ্যামাসঙ্গীত রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
তাঁর লেখা শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা আনুমানিক তিনশ’র মতো।
-
তিনি জন্মেছিলেন চব্বিশ পরগনার কুমারহট্ট গ্রামের এক কবিরাজ পরিবারে।
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, তাঁর কবিত্ব ও গানের খ্যাতি শুনে রাজসভায় ডাকেন এবং তাঁকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি দেন।
-
বলা হয়, একবার মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পথে নবাব সিরাজউদ্দৌলা নদীর ধারে রামপ্রসাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
-
তাঁর গানে ভক্তিরসের সঙ্গে রাগ ও বাউলসুরের সুন্দর মিশ্রণ দেখা যায়। এই বিশেষ সুরকে বাংলা সঙ্গীত ইতিহাসে বলা হয় ‘রামপ্রসাদী সুর’।
তাঁর বিখ্যাত উক্তি
-
“আমি কি দুঃখেরে ডরাই।”
জনপ্রিয় গান
-
“মনরে কৃষি কাজ জান না
এমন মানবজমিন রইল পতিত,
আবাদ করলে ফলতো সোনা।”
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
শৃঙ্গার রসকে বৈষ্ণব পদাবলিতে কী রস বলে?
Created: 1 week ago
A
ভাবরস
B
মধুর রস
C
প্রেমরস
D
লীলারস
বৈষ্ণব পদাবলি
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এটি মূলত রাধা–কৃষ্ণের প্রেমলীলা কেন্দ্র করে রচিত পদ্যরচনা।
-
বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা হিসেবে ধরা হয় জয়দেবকে। তাঁর ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্যটি আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন হলেও এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত, বাংলা ভাষায় নয়।
-
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন চণ্ডীদাস।
পদাবলির বৈশিষ্ট্য:
-
পদাবলিতে কৃষ্ণের প্রধান প্রেমিকা রাধাকে নায়িকা বলা হয়। নায়িকার চরিত্র ও প্রেমের ভিন্ন ভিন্ন দিককে প্রকাশ করতে পদাবলিতে ৮টি অবস্থা দেখানো হয়।
-
কাব্যে প্রধান পাঁচটি রস পাওয়া যায়:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস (যাকে শৃঙ্গার রসও বলা হয়)
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago