A
ময়মনসিংহ গীতিকা
B
ইউসুফ জুলেখা
C
পদ্মাবতী
D
লাইলী মজনু
উত্তরের বিবরণ
পুঁথি সাহিত্য
-
পুঁথি সাহিত্য হলো বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা, যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি ভাষার মিশ্রণে রচিত। এ ধারা মূলত আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
-
পাঠক ও রচয়িতা: এর রচয়িতা এবং পাঠক – উভয়েই ছিলেন মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত।
-
প্রধান কবি: এ ধারার আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে পরিচিত ফকির গরীবুল্লাহ।
বিষয়ভিত্তিক ভাগ
১. প্রণয়োপাখ্যানমূলক কাব্য:
ইউসুফ-জোলেখা, সয়ফুলমুলুক-বদিউজ্জামান, লাইলী-মজনু, পদ্মাবতী, গুলে-বাকওয়ালী ইত্যাদি।
২. যুদ্ধকাব্য:
জঙ্গনামা, আমীর হামজা, সোনাভান, কারবালার যুদ্ধ ইত্যাদি।
৩. পীর পাঁচালি:
গাজী কালু চম্পাবতী, সত্যপীরের পুঁথি।
৪. ধর্ম ও ইতিহাসভিত্তিক কাব্য:
ইসলাম ধর্ম, নবী-আউলিয়ার জীবনী এবং বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কিত কাব্য।
মৈমনসিংহ গীতিকা
-
সংজ্ঞা: মৈমনসিংহ গীতিকা হলো ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীন পালাগানের সংকলন।
-
সংগ্রহ ও প্রকাশনা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন স্থানীয় সংগ্রাহকদের সহযোগিতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে এই পালাগান সংগ্রহ করেন। পরে ১৯২৩ সালে তিনি এটি “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল হক) এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 18 hours ago