A
কাহ্নপাদ
B
লুইপাদ
C
শান্তিপাদ
D
রমনীপাদ
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের কবিদের সংখ্যা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে কিছু মতভেদ দেখা যায়।
-
প্রফেসর সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে মোট ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন।
-
অন্যদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য কবিরা
এই কবিদের মধ্যে আছেন—
কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, ধর্মপা, ঢেগুণপা, বিরুপা, বীণাপা, ভাদেপা, ভুসুকুপা, মহীধরপা, লুইপা, শবরপা, শান্তিপা, সরহপা, ডোম্বীপা, কম্বলাম্বরপা, গুণ্ডুরীপা, চাটিল্লপা, আর্যদেবপা, দারিকপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা, জয়নন্দীপা ও তন্ত্রীপা।
অপশন বিশ্লেষণ
প্রশ্নে দেওয়া নামগুলির মধ্যে রমনীপাদ চর্যাপদের কবিদের অন্তর্ভুক্ত নন, অর্থাৎ তিনি প্রাচীন যুগের কবি নন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 18 hours ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 2 days ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 days ago
"প্রাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে।" - গানটির গীতিকার কে?
Created: 2 weeks ago
A
শাহ আবদুল করিম
B
রাধারমন
C
শেখ ওয়াহিদ
D
কুদ্দুস বয়াতি
“পরানের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে”—এই জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হলেন লোককবি শেখ ওয়াহিদুর রহমান। গানটি গেয়েছেন সুফিয়া কাঙালিনী।
শেখ ওয়াহিদুর রহমান (জন্ম: ১৯৩৯) মূলত সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার এক নির্জন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। ফলে তাঁর গানে গ্রামীণ মাটি, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক স্বাদ সবসময়ই পাওয়া যায়।
তিনি যদিও খুব পরিচিত নাম নন, তবে তাঁর অনেক গান আমরা শুনি—কিন্তু গীতিকারের নাম উল্লেখ না থাকায় সাধারণ মানুষ তাঁকে চিনতে পারে না। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে গানগুলোকে “অজ্ঞাত গীতিকার” হিসেবে ধরা হয়। অথচ শেখ ওয়াহিদ এই লোকগানের জগতে যথেষ্ট পরিচিত ও সম্মানিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে মজার ছলে “দুষ্ট ছেলে” নামে ডাকতেন।
তিনি সহজ-সরল ভাষায় গান লিখে ‘বাউল কবি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর গানে বৈচিত্র্য অনন্য—পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, গণসঙ্গীত, মরমি ও আধ্যাত্মিক ধারা ছাড়াও শাক্ত পদাবলি লিখেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো:
-
আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে
-
অপূর্ব তটিনী ওগো
-
অমৃত কূপের সুধা খেলে
-
অলি দরবেশ কারে বলে
-
আল-আরাবি নাবীজি আমার
-
আদমকে বানাইয়া খোদা
এছাড়াও তিনি বহু বিয়ের গানও রচনা করেছেন। যেমন—
-
মেনদি বাটো তোমরা সখি
-
মিতু আসবে নওশা সেজে
-
আজ ঝিলমিল ঝিলমিল
-
পালকি চড়ে যাইগো ভাবি
-
বিয়াই মজলিসে দেখবে
-
সখীরা সব সাজাও কন্যা
তাঁর গান শুনলেই বোঝা যায়—শেখ ওয়াহিদ লোকবাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি।
উৎস: ‘শেখ ওয়াহিদ গীতি সমগ্র’ – শেখ ওয়াহিদুর রহমান

0
Updated: 2 weeks ago
'জীবনস্মৃতি' কার রচনা?
Created: 1 day ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
জীবনস্মৃতি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জীবনস্মৃতি:
-
জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে।
-
বইটিতে ঠাকুর তার শৈশবকাল ও কিশোর জীবনের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
-
বিশেষ করে তিনি বাল্মীকিপ্রতিভা রচনার সময় থেকে গান ও কাব্যের প্রতি মনোনিবেশ করেন।
-
এই সময়ে তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)।
-
তাঁর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও অনুভূতি এই আত্মজীবনীতে প্রকাশ পেয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক।
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর; পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
বাল্যকাল থেকেই তাঁর প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছিল।
-
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বনফুল কাব্য প্রকাশিত হয়।
-
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকরের বাড়িতে।
নাটক ও প্রবন্ধ:
-
উল্লেখযোগ্য নাটক: বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা, রক্তকরবী, তাসের দেশ।
-
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ: পঞ্চভূত, বিচিত্রপ্রবন্ধ, সাহিত্য, মানুষের ধর্ম, কালান্তর, সভ্যতার সংকট।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 day ago