জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত :
A
ফকির গরীবুল্লাহ
B
নরহরি চক্রবর্তী
C
বিপ্রদাস পিপিলাই
D
বৃন্দাবন দাস
উত্তরের বিবরণ
বৃন্দাবন দাস ও জীবনীকাব্য
বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্যের জনক হিসেবে খ্যাত বৃন্দাবন দাস। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনকাহিনী নিয়ে প্রথম জীবনীকাব্য রচনা করেন। এ কাব্যের নাম শুরুতে ছিল “চৈতন্যামঙ্গল”। পরে কাব্যের ভেতরে ভাগবতের প্রভাব ও লীলা বিষয়ক বর্ণনা থাকায় এর নামকরণ হয় “চৈতন্যভাগবত”।
ধারণা করা হয়, গ্রন্থটি রচিত হয় প্রায় ১৫৪৮ খ্রিষ্টাব্দে।
উৎস:বাংলা ভাষার ইতিহাস – মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
'সঞ্চয়িতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জসীমউদ্দীন
সঞ্চয়িতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বাধিক সমাদৃত কবিতা সংকলনের নাম ‘সঞ্চয়িতা’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩১ সালে। এই গ্রন্থে কবির বিভিন্ন পর্যায়ের কবিতা কালানুক্রমিকভাবে সংকলিত হয়েছে। ‘সান্ধ্যসঙ্গীত’ সহ আরও অনেক কাব্যগ্রন্থ থেকে নির্বাচিত কবিতাগুলিকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে এটি একটি অনন্য সংকলন হিসেবে বিবেচিত।
সঞ্চিতা
‘সঞ্চিতা’ হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিশিষ্ট কবিতা সংকলন। এতে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান স্থান পেয়েছে। এই গ্রন্থটি নজরুল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন, যা দুই কবির পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের এক অনন্য নিদর্শন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 months ago
'বত্রিশ সিংহাসন' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 1 week ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
মনোএল দা আস্সুম্পসাঁউ
C
বিজন ভট্টাচার্য
D
প্যারীচাঁদ মিত্র
‘বত্রিশ সিংহাসন’ বাংলা গদ্য সাহিত্যের আদিপর্বে একটি উল্লেখযোগ্য রচনা, যা বাংলা ভাষার প্রারম্ভিক গদ্যরূপের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার অনূদিত কাহিনি সংকলন এবং তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। গ্রন্থটি ১৮০২ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এই গ্রন্থে রাজা বিক্রমাদিত্যের কাহিনি ও তাঁর ন্যায়বিচার ও প্রজ্ঞার কিংবদন্তি কাহিনিগুলো অনূদিত হয়েছে।
-
এটি বাংলা গদ্যের প্রাথমিক পর্যায়ে সহজ ভাষা ও গদ্যরীতির প্রতিষ্ঠা ঘটায়, যা পরবর্তী সাহিত্য বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে।
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে রচিত এই গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যে আধুনিক গদ্যের সূচনাপর্বের একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত।
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার সম্পর্কে:
-
তিনি ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত, ভাষাবিদ ও লেখক।
-
১৮০১ সালের ৪ মে, উইলিয়াম কেরীর সুপারিশে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড-পণ্ডিত হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির জজ-পণ্ডিত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
-
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বাধিক গ্রন্থপ্রণেতা।
তাঁর রচিত ও অনূদিত প্রধান গ্রন্থসমূহ:
-
বত্রিশ সিংহাসন
-
রাজাবলী
-
হিতোপদেশ
-
বেদান্তচন্দ্রিকা
-
প্রবোধচন্দ্রিকা
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার বাংলা গদ্যের পথিকৃৎদের অন্যতম, যাঁর রচনাশৈলী ও অনুবাদ কর্ম বাংলা সাহিত্যের প্রাথমিক বিকাশে গভীর ছাপ রেখে গেছে।

0
Updated: 1 week ago
'মা যে জননী কান্দে' কোন ধরনের রচনা?
Created: 3 months ago
A
কাব্য
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
প্রবন্ধ
‘মা যে জননী কান্দে’ কাব্য
- ‘মা যে জননী কান্দে’ এক ধরনের গাঁথা কাব্য বা কাব্যগ্রন্থ।
- অনেকে এটিকে কাহিনী কাব্য হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।
-----------------
• জসীমউদ্দীন:
- কবি জসীমউদ্দীন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি।
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলাদেশে পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত।
- কবি জসীমউদ্দীন রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য।
- এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- E.M Millford গ্রন্থটি ''Field of the Embroidery Quilt'' শিরোনামে অনুবাদ করেন।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- বালুচর,
- রাখালী,
- নকশী কাঁথার মাঠ,
- ধানখেত,
- সোজন বাদিয়ার ঘাট,
- মাটির কান্না,
- মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago