কবিতার শুরুতে বক্তার মূল শোক হলো সেই “celestial light” বা আধ্যাত্মিক দৃষ্টির হারিয়ে যাওয়া, যা একসময় পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রেখেছিল। শৈশবে প্রকৃতির সাথে যে গভীর আত্মিক সংযোগ তিনি অনুভব করতেন, প্রাপ্তবয়সে এসে তা ম্লান হয়ে গেছে। কবিতার প্রারম্ভিক স্তবকগুলো এই বেদনার সবচেয়ে স্পষ্ট প্রকাশ ঘটায়—
"There was a time when meadow, grove, and stream,
The earth, and every common sight,
To me did seem
Apparelled in celestial light."
"It is not now as it hath been of yore;—
Turn wheresoe'er I may,
By night or day,
The things which I have seen I now can see no more."
এরপর তিনি বলেন—
"But yet I know, where'er I go,
That there hath past away a glory from the earth."
কবি স্বীকার করেন, তিনি এখনও প্রকৃতির সৌন্দর্য—রংধনু, গোলাপ, চাঁদ—দেখতে পান, কিন্তু এগুলো আর সেই শৈশবের মতো “glory and the freshness of a dream” ধারণ করে না। তাই তাঁর শোক কেবল সৌন্দর্যের হারানোর জন্য নয়, বরং সেই বিশেষ ক্ষমতার অভাবের জন্য, যা প্রকৃতির ভেতরে এক ঐশ্বরিক, অতিপার্থিব সত্তার আভাস দেখতে পারত।
-
শৈশবের অভিজ্ঞতায় প্রকৃতিকে এক আধ্যাত্মিক আভায় আচ্ছন্ন মনে হতো।
-
প্রাপ্তবয়সে এসে সেই আভা মিলিয়ে গিয়ে কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য দৃশ্যমান থাকে।
-
কবির শোক প্রকৃতির সৌন্দর্য হারানোর নয়, বরং সেই দৃষ্টি হারানোর, যা সৌন্দর্যের ভেতরে ঈশ্বরীয় আভাস অনুভব করত।
-
কবিতার শুরুতেই "glory from the earth" চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা আধ্যাত্মিক সংযোগ হারানোর প্রতীক।
-
শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কের দৃষ্টিভঙ্গির এই পার্থক্য কবিতার মূল বার্তা তুলে ধরে, যেখানে সময়ের প্রবাহে নিষ্পাপ আধ্যাত্মিকতা হারানোর বেদনাকে কেন্দ্রীয় বিষয় করা হয়েছে।