উত্তর: খ) সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ
‘তরঙ্গভঙ্গ’ নাটকটি বাংলাদেশের নাট্যসাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এই নাটকের রচয়িতা ছিলেন সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ, যিনি বাংলার আধুনিক নাট্যরচনায় একজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। নাটকটি সমাজ ও মানুষের মানসিক জটিলতা, আবেগ ও মানবীয় সম্পর্কের সূক্ষ্ম দিকগুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিচিত। তাই ইতিহাস ও সাহিত্যভিত্তিক সূত্র অনুযায়ী উত্তরের সঠিকতা খ) সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ।
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ ছিলেন একজন সৃজনশীল নাট্যকার, যিনি জীবনের বাস্তবতা ও সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে দক্ষ ছিলেন। তার রচনায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক পরিস্থিতি বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়। ‘তরঙ্গভঙ্গ’ নাটকেও এই দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। নাটকটির নামের অর্থ বোঝায় মানসিক, সামাজিক বা আবেগীয় উথ্থান-পতন, যা চরিত্রগুলোর জীবনে নানা পর্যায়ে প্রকাশ পায়।
নাটকটি প্রাথমিকভাবে মঞ্চে উপস্থাপিত হওয়ার পরই সমালোচক ও দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে। এতে চরিত্রের গভীরতা, সংলাপের সরলতা এবং নাটকের কাঠামোগত উৎকর্ষ দর্শকদের আকৃষ্ট করে। সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর এই রচনা বাংলার নাট্যসাহিত্যে আধুনিক নাট্যচিন্তার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সারসংক্ষেপে, নাটক ‘তরঙ্গভঙ্গ’-এর মাধ্যমে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ মানবীয় অনুভূতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নাট্যরূপে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা তাকে বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় করে রেখেছে।