A
১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
B
১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর
C
১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি
D
১৯৬৭ সালের ৩০ জানুয়ারি
উত্তরের বিবরণ
তাসখন্দ চুক্তি (১৯৬৬)
-
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সমাপ্তির পথ তৈরি করে তাসখন্দ চুক্তি।
-
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১০ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে।
-
এই চুক্তির পক্ষ ছিল ভারত ও পাকিস্তান।
-
ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, এবং পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান।
-
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী নিকলাই কোসিগিন।
-
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীর সমস্যার কারণে উদ্ভূত যুদ্ধ বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 months ago
ভারতের সাথে বাংলাদেশের পানি চুক্তি কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
দার্জিলিং
B
কোলকাতা
C
নয়াদিল্লি
D
ঢাকা
গঙ্গা নদী ভারতের উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাজ্য—উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ—পেরিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর এই নদী পদ্মা নামে পরিচিত। শেষমেশ, এটি গোয়ালন্দের কাছাকাছি এসে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
গঙ্গার পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ভারত ১৯৫১ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর বাস্তব নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬১ সালে এবং প্রাথমিক কাঠামো ১৯৭০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে কার্যকর ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে এর সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হয় ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।
অবশেষে, ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। মূলত কলকাতা বন্দরের সচলতা নিশ্চিত করতে এবং হুগলী নদীতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ বজায় রাখতে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল।
কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর বাংলাদেশে গঙ্গার পানি প্রবাহ কমে যেতে শুরু করে, যা পরিবেশ ও কৃষি ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র—বাংলাদেশ ও ভারত—
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গঙ্গার পানি ভাগাভাগি করার নীতিতে একমত হয়। চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা

0
Updated: 3 weeks ago
'ডেটন শান্তিচুক্তি' স্বাক্ষরিত হয় -
Created: 2 weeks ago
A
১৯৯৫ সালে
B
১৯৯১ সালে
C
১৯৯২ সালে
D
১৯৯৩ সালে
'ডেটন শান্তিচুক্তি' স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৫ সালে।
ডেটন চুক্তি (Dayton Agreement):
- এই চুক্তির পূর্ণরূপ: The General Framework Agreement for Peace in Bosnia and Herzegovina.
- এটি একটি শান্তিচুক্তি।
- প্রক্রিয়াটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান মার্কিন শান্তি আলোচনাকারী রিচার্ড হলব্রুক।
- চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫।
- চুক্তি স্বাক্ষরের স্থান: প্যারিস, ফ্রান্স।
- পক্ষসমূহ: বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া।
- স্বাক্ষরকারী: ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ (যাঁকে পরে হেগে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল) এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেবগোভিচ।
- মধ্যস্থতাকারী: তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
- উদ্দেশ্য: সার্বিয়া ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা সমস্যার সমাধান।
উৎস: i) OSCE.org.
ii) Britannica.

0
Updated: 2 weeks ago
কোন চুক্তি অনুসারে বসনিয়া সংকট সমাধানের পথ সুগম হয়েছিল?
Created: 4 weeks ago
A
জেনেভা চুক্তি
B
মাদ্রিদ চুক্তি
C
ডেটন চুক্তি
D
প্যারিস চুক্তি
ডেটন চুক্তি: বসনিয়া সংকট সমাধানের এক ঐতিহাসিক বাঁক
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির পথ সুগম করেছিল একটি ঐতিহাসিক চুক্তি—ডেটন চুক্তি (Dayton Agreement)। এর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল The General Framework Agreement for Peace in Bosnia and Herzegovina। এটি ছিল একটি আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত বসনিয়াকে একটি স্থায়ী গঠনমূলক কাঠামো প্রদান করেছিল।
এই চুক্তির রূপদানে মূল ভূমিকা পালন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শান্তি দূত রিচার্ড হলব্রুক, যিনি কঠিন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে প্রতিপক্ষ পক্ষগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ফ্রান্সের প্যারিস শহরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে সই করেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেবগোভিচ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান এবং সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ—যিনি পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
চুক্তির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সক্রিয় মধ্যস্থতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ডেটন চুক্তির মাধ্যমে বসনিয়া সংকটের একটি কাঠামোগত ও রাজনৈতিক সমাধান নির্ধারিত হয়, যা দেশটির সার্বভৌমত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এতে বসনিয়াকে দুটি প্রধান প্রশাসনিক এককে বিভক্ত করা হয়—ফেডারেশন অব বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা এবং রিপাবলিকা স্রপস্কা।
চুক্তিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে OSCE (Organization for Security and Co-operation in Europe) ও জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি আজও আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: i) OSCE.org ii) Britannica.

0
Updated: 4 weeks ago