'কৈ' শব্দেটি কোন দ্বিস্বরধ্বনি যোগে গঠিত?
A
ওই্
B
অঐ
C
এই্
D
উই্
উত্তরের বিবরণ
দ্বিস্বরধ্বনি
-
সংজ্ঞা:
যখন পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়, তখন তাকে দ্বিস্বরধ্বনি বলা হয়। -
উদাহরণ – কৈ:
-
‘কৈ’ শব্দে [ও] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [ই্] অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়ে [ওই্] তৈরি হয়েছে।
-
-
দ্বিস্বরধ্বনির আরও উদাহরণ:
দ্বিস্বরধ্বনি | উদাহরণ |
---|---|
[আই্] | তাই, নাই |
[এই্] | সেই, নেই |
[আও্] | যাও, দাও |
[আএ্] | খায়, যায় |
[উই্] | দুই, রুই |
[অএ্] | নয়, হয় |
[ওউ্] | মৌ, বউ |
[ওই্] | কৈ, দই |
[এউ্] | কেউ, ঘেউ |
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
’অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯২১ সালে
B
১৯১৯ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯২২ সালে
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত প্রধান কবিতাগুলো হলো প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বর, ধারিণী মা, আগমণী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, আনোয়ার, রণভেরী, শাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী এবং মোহররম।
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
অগ্নি-বীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
নতুন চাঁদ

0
Updated: 3 weeks ago
ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯২১ সালে
B
১৯২৬ সালে
C
১৯২৭ সালে
D
১৯২৯ সালে
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ
-
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও ছাত্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মুসলিম সাহিত্য-সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল:
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন,
-
মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক,
-
ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির।
তারা ছিলেন প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।
-
-
নেপথ্যে দায়িত্ব পালন করতেন:
-
ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ,
-
যুক্তিবিদ্যা অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
-
বার্ষিক মুখপত্র শিখা:
-
প্রথম প্রকাশিত: ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে
-
মোট সংখ্যা: ৫টি
-
সম্পাদকগণ:
-
প্রথম সংখ্যা – আবুল হুসেন
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা – কাজী মোতাহার হোসেন
-
চতুর্থ সংখ্যা – মোহাম্মদ আবদুর রশিদ
-
পঞ্চম সংখ্যা – আবুল ফজল
-
-
মুখবাণী: “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব”
প্রধান লেখকরা:
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
আনোয়ারুল কাদির

0
Updated: 3 weeks ago
'অষ্টধাতু' — কোন ধরনের সমাস?
Created: 3 weeks ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
-
সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)
অন্যান্য উদাহরণ:
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।

0
Updated: 3 weeks ago