'মজলুম আদিব' ছদ্মনামে লিখতেন কোন সাহিত্যিক?
A
শামসুদ্দীন আবুল কালাম
B
শওকত আলী
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
শামসুর রাহমান
উত্তরের বিবরণ
শামসুর রাহমান
-
জন্ম: ১৯২৯, পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলী। পৈত্রিক বাড়ি – ঢাকা জেলার রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে।
-
পিতৃনাম ও ডাকনাম: ডাক নাম ‘বাচ্চু’। মুক্তিযুদ্ধকালে লিখতেন ‘মজলুম আদিব’ ছদ্মনামে।
-
প্রারম্ভিক সাহিত্য জীবন:
-
আঠারো বছর বয়সে প্রথম কবিতা লেখা শুরু।
-
প্রথম কবিতা: উনিশ শ’উনপঞ্চাশ, প্রকাশিত নলিনীকিশোরগুহ সম্পাদিত সোনার বাংলা পত্রিকায়।
-
-
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:
-
১৯৬০: প্রথম কাব্য প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে।
-
কলকাতা থেকে বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় রূপালি স্নান প্রকাশিত, যা শামসুর রাহমানের আগমনী কবিতা হিসেবে বিবেচিত।
-
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ: রৌদ্র করোটিতে; এ জন্য আদমজী পুরস্কার পান, যা প্রদান করেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান।
-
-
সাংবাদিকতা জীবন:
-
১৯৫৭ সালে ইংরেজী দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ সহসম্পাদক হিসেবে শুরু।
-
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিফলন:
-
১৯৭০ সালে প্রকাশিত কাব্য নিজ বাসভূমে, শহীদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ।
-
উল্লেখযোগ্য কবিতা: বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা, ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯, পুলিশ রিপোর্ট, হরতাল, এ লাশ আমরা রাখব কোথায়।
-
কবিতাগুলোর ছত্রে ছত্রে প্রতিফলিত আছে এক বিক্ষুব্ধ সময়ের ছাপ।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বৈষ্ণব পদাবলির আদি নিদর্শন 'গীতগোবিন্দম্' কাব্যটি কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
জয়দেব
B
বিদ্যাপতি
C
চণ্ডীদাস
D
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য
-
রচয়িতা: জয়দেব
-
ধরণ: সংস্কৃত গীতিকাব্য, আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন
-
মূল বিষয়: রাধা–কৃষ্ণের প্রেমলীলা, যা জীবাত্মা–পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর–নারীর চিরন্তন প্রেমের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
গঠন: ২৮৬টি শ্লোক এবং ২৪টি গীতের সমন্বয়ে ১২ সর্গে রচিত।
-
সর্গের নামকরণ: বর্ণিত বিষয় অনুযায়ী ১২টি ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য:
-
রাগমূলক গীতসমূহ কাব্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
-
চরণশেষে অন্তমিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা সংস্কৃত সাহিত্যে বিরল।
-
-
প্রভাব: পরবর্তীকালের বাংলা পদাবলি সাহিত্যে এর গভীর প্রভাব রয়েছে।
-
গুরুত্ব: বৈষ্ণব সম্প্রদায় ও সাহিত্য-রসিকদের কাছে গীতগোবিন্দম্ এক সময় পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'মহেন্দ্র এবং আশালতা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
নৌকাডুবি
B
শেষের কবিতা
C
ঘরে-বাইরে
D
চোখের বালি
‘হিতকরী’ পত্রিকা
-
‘হিতকরী’ পত্রিকা ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
-
পরবর্তীকালে এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোসলেম উদ্দীন খান।
-
এই পত্রিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হতো—
-
বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলাচর্চা, এবং
-
হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
-
অন্য উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ও সম্পাদকগণ
-
হিতবাদী → কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
-
সুধাকর → শেখ আবদুর রহিম
-
স্বদেশ → আহমদ ছফা
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
কোনটি পূর্ববঙ্গ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
কমলা
B
মলুয়া
C
দেওয়ানা ভাবনা
D
কাঞ্চনমালা
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা হলো পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যের একটি সংকলন, যা মুখে মুখে রচিত এবং লোকসমাজে প্রচলিত পালাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই গীতিকাগুলো বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
-
পালাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুর, সিলেট (শ্রীহট্ট), ত্রিপুরা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে।
-
প্রধান সংগ্রাহকরা হলেন: চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
-
সংগৃহীত পালাগুলির সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক।
-
১৯১৩ সালে চন্দ্রকুমার দে প্রথম এই ধরণের লোকগাথা প্রকাশ শুরু করেন।
-
দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রকুমারের গাথা পড়ে আকৃষ্ট হন এবং তাঁর সহযোগিতায় পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে আরও অনেক গাথা সংগ্রহ করেন।
-
১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসাহায্যে দীনেশচন্দ্র সেগুলি ‘পূর্ববঙ্গ-গীতিকা’ নামে প্রকাশ করেন।
পূর্ববঙ্গ-গীতিকার উল্লেখযোগ্য পালা:
-
নিজাম ডাকাতের পালা
-
কাফন চোরা
-
কমল সওদাগর
-
চৌধুরীর লড়াই
-
কাঞ্চনমালা
-
আয়না বিবি
-
ভেলুয়া
-
কমলা রানির গান
অন্যদিকে, মলুয়া, দেওয়ানা ভাবনা ও কমলা মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 3 weeks ago