'রমেশ ও কমলা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কোন উপন্যাসের চরিত্র?
A
যোগাযোগ
B
চার অধ্যায়
C
নৌকাডুবি
D
চতুরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
‘নৌকাডুবি’ উপন্যাস
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
ধরণ: সামাজিক উপন্যাস
-
প্রকাশ: ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
-
মূল বিষয়: জটিল পারিবারিক সমস্যা
-
প্রধান চরিত্র: রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, নলিনাক্ষ, অন্নদাবাবু
অন্য উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও চরিত্র:
-
যোগাযোগ: কেন্দ্রীয় চরিত্র – নায়িকা কুমুদিনী, নায়ক মধুসূদন
-
চার অধ্যায়: উল্লেখযোগ্য চরিত্র – অতীন, এলা, ইন্দ্রনাথ
-
চতুরঙ্গ: উল্লেখযোগ্য চরিত্র – শচীশ, দামিনী, শ্রীবিলাস
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটক-
Created: 2 weeks ago
A
ডাকঘর
B
বাল্মীকি প্রতিভা
C
অচলায়তন
D
রক্তকরবী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ-সংস্কারক।
-
জন্ম: ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
নোবেল পুরস্কার: ১৯১৩ সালে Song Offerings (গীতাঞ্জলি অবলম্বনে) গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
-
ডক্টরেট: ১৯৪০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
-
প্রথম প্রকাশিত কবিতা: হিন্দুমেলার উপহার
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: কবি-কাহিনী
-
প্রথম প্রকাশিত নাটক: বাল্মীকি প্রতিভা
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বৌ ঠাকুরাণীর হাট
-
প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প: ভিখারিণী
-
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ: বিবিধ প্রসঙ্গ

0
Updated: 2 weeks ago
'বিষাদ-সিন্ধু' কার রচনা?
Created: 3 months ago
A
কায়কোবাদ
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোজাম্মেল হক
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫–১৮৯১) হলো বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আশ্রিত এক অনন্য উপন্যাস, যা লেখক মীর মশাররফ হোসেনকে অসামান্য খ্যাতির আসনে অধিষ্ঠিত করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে হাসান ও হোসেনের শাহাদাতের করুণ কাহিনি, দামেস্ক শাসক মাবিয়ার পুত্র এজিদের রক্তপিপাসু চরিত্র এবং জয়নাবের রূপে মোহিত হয়ে বহু মানুষের ধ্বংসযজ্ঞ—সবকিছু মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবিক আবেগের এক বিস্ময়কর মহাগাঁথা।
তবে ইতিহাসের প্রতি অন্ধ আনুগত্য নয়, বরং তা থেকে শিল্পসাহিত্যের উপযোগী বেছে নেওয়া কৌশল এই উপন্যাসকে করেছে স্বকীয়। গ্রন্থটি তিনটি পর্বে বিভক্ত:
-
মহরম পর্ব্ব (১৮৮৫)
-
উদ্ধার পর্ব্ব (১৮৮৭)
-
এজিদ-বধ পর্ব্ব (১৮৯১)
এই তিনটি পর্বে রয়েছে মোট ৬৩টি 'প্রবাহ' বা অধ্যায়—যার মধ্যে মহরম পর্বে ২৬টি প্রবাহসহ উপক্রমণিকা, উদ্ধার পর্বে ৩০টি প্রবাহ, এবং এজিদ-বধ পর্বে ৫টি প্রবাহ ও উপসংহার অংশ রয়েছে।
এই উপন্যাসের জনপ্রিয়তার পেছনে মূলত দুটি প্রধান কারণ:
-
ইসলাম ধর্মঘটিত স্পর্শকাতর কাহিনি, যা মুসলিম পাঠকের হৃদয়ে গভীর আবেদন সৃষ্টি করে।
-
সাহিত্যিক গুণ ও শৈলী, যা জ্ঞানপিপাসু ও রসিক পাঠকের কাছে এটিকে একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মে পরিণত করেছে।
এখানে মাইকেল মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে অনুপ্রাণিত অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট চেতনার প্রতিফলনও লক্ষণীয়।
মীর মশাররফ হোসেন: পথিকৃৎ মুসলিম সাহিত্যিক
মীর মশাররফ হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭ সালে, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক—বাংলা গদ্যসাহিত্যের বঙ্কিমযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক এবং মুসলিম সমাজে সাহিত্যজাগরণের অন্যতম অগ্রদূত।
ছাত্রজীবনেই ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’য় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে তিনি লেখালেখির সূচনা করেন। তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
তিনি ‘গাজী মিয়াঁ’ ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন। সম্পাদনা করেছেন দুটি পত্রিকা—‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’।
প্রথম রচনা:
-
‘রত্নবতী’ (১৮৬৯): এটি বাংলা ভাষায় কোনো মুসলিম লেখকের প্রথম গদ্যগ্রন্থ।
🎭 নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
গো-জীবন
এইভাবে মীর মশাররফ হোসেন তাঁর সাহিত্যসাধনায় যেমন ধর্ম ও ইতিহাসকে সৃজনশীল রূপে প্রকাশ করেছেন, তেমনি বাংলা গদ্যসাহিত্যের উন্নয়নে রেখেছেন অমোচনীয় অবদান।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান সাহিত্যধারার কবি নয় কে?
Created: 3 weeks ago
A
আবদুল হাকিম
B
কোরেশী মাগন ঠাকুর
C
আলাওল
D
দ্বিজ মাধব
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান হলো একটি সাহিত্যধারা, যা মূলত মুসলিম চরিত্রনির্ভর ও প্রেমসংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে রচিত। এটি অনুবাদ সাহিত্যের মধ্যযুগীয় একটি ধারা, যেখানে মুসলিম সাহিত্যিকরা বিদেশি কাব্য বা কাহিনীর অনুবাদ রচনা করেন।
-
দ্বিজ মাধব এই ধারার কবি নন; তিনি ছিলেন চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের একজন শ্রেষ্ঠ কবি।
-
এই ধারার কিছু প্রধান কবি হলেন:
-
শাহ মুহম্মদ সগীর
-
সৈয়দ সুলতান
-
আবদুল হাকিম
-
আলাওল
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর প্রমুখ
-
-
'রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান' অনুবাদ সাহিত্যসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাব্য:
-
ইউসুফ-জোলেখা
-
লায়লী মজনু
-
মধুমালতী
-
গুলে বকাওলী
-
চন্দ্রাবতী
-
পদ্মাবতী
-
সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী ইত্যাদি
-

0
Updated: 3 weeks ago