বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হলেন-
A
রাষ্ট্রপতি
B
সেনাপ্রধান
C
প্রধান বিচারপতি
D
প্রধানমন্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা
-
রাষ্ট্রপতি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন।
-
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সরকারপ্রধান এবং সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
-
তিনি সংসদ নেতা ও মন্ত্রিসভার প্রধান, একইসাথে মন্ত্রিসভা গঠন করার দায়িত্বও তাঁর ওপর বর্তায়।
-
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন ঘটে।
-
দেশের সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে থাকে।
-
সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পদ মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ।
-
যদিও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন, তবুও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার মূল স্তম্ভ এবং তিনি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত।
-
সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী তাঁর শাসন পরিচালনার জন্য সংসদের কাছে দায়বদ্ধ।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম ও দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন কে
Created: 1 month ago
A
হাজী শরীয়তুল্লাহ
B
দুদু মিয়া
C
তিতুমীর
D
মজনু শাহ
ফরায়েজি আন্দোলন:
- ফরায়েজি আন্দোলন ছিল একটি ধর্মীয়-সামাজিক সংস্কার আন্দোলন।
- উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।
- তিনি বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলায় ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
- ফরায়েজি শব্দটি আরবি ‘ফরজ’ (অবশ্য কর্তব্য) শব্দ থেকে এসেছে। যাঁরা ফরজ পালন করে তারাই ফরায়েজি।
- হাজী শরীয়তুল্লাহ যে ফরজের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন, তা ছিল পবিত্র কুরআনে বর্ণিত পাঁচটি অবশ্যপালনীয় (ফরজ) মৌলনীতি।
- তিনি ভারতবর্ষকে ‘দারুল হারব' অর্থাৎ বিধর্মীর রাজ্য বলে ঘোষণা করেন।
- জমিদার শ্রেণি নানা অজুহাতে ফরায়েজি প্রজাদের উপর অত্যাচার শুরু করলে হাজী শরীয়তুল্লাহ প্রজাদের রক্ষার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
- ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে তার উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
- ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
- হাজী শরীয়তুল্লাহর মৃত্যুর পরে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর যোগ্যপুত্র মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ ওরফে দুদু মিয়া।
- তিনি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।
- দুদু মিয়া ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন।
- ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
- তাঁর মৃত্যুর পর যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ফরায়েজি আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচিত হয় কতবার?
Created: 1 month ago
A
৩বার
B
২বার
C
৪বার
D
৫বার
বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে দুইবার, যা দেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও দায়িত্বশীল অবস্থানের পরিচায়ক।
জাতিসংঘ সম্পর্কিত তথ্য:
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর
-
সদর দপ্তর: নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
-
দাপ্তরিক ভাষা: ৬টি
-
বর্তমান মহাসচিব: আন্তোনিও গুতেরেস [আগস্ট, ২০২৫]
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য: ৫১টি
-
বর্তমান সদস্য: ১৯৩টি [আগস্ট, ২০২৫]
-
স্থায়ী পর্যবেক্ষক: ২টি (ভ্যাটিকান ও ফিলিস্তিন)
বাংলাদেশ কর্তৃক পালনকৃত দায়িত্ব:
-
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত দুইবার।
-
প্রথম মেয়াদ: ১৯৭৯-১৯৮০, যেখানে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
-
দ্বিতীয় মেয়াদ: ২০০০-২০০১।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশে কতটি ব্যাংক নোট প্রচলিত রয়েছে? [ আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৫টি
B
৭টি
C
৮টি
D
১০টি
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বের করা নোটগুলোকে ব্যাংক নোট বলা হয়, যা দেশের সরকারি লেনদেনের জন্য বৈধ চালান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
এসব নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।
-
বর্তমানে দেশে সাতটি ব্যাংক নোট প্রচলিত রয়েছে।
-
প্রচলিত ব্যাংক নোটগুলো হলো: ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০, এবং ১০০০ টাকার নোট।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাংলাদেশের প্রচলিত ১, ২ ও ৫ টাকার নোট হলো সরকারি নোট, যা অর্থ মন্ত্রণালয় বের করে এবং এতে অর্থসচিবের স্বাক্ষর থাকে।
-
নতুন ১০০ টাকার নোটে সামনের অংশে বামপাশে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের ছবি এবং মাঝখানে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি থাকবে।
-
নোটের পিছনের অংশে থাকবে সুন্দরবনের দৃশ্য।
-
জলছাপ হিসেবে দেখা যাবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, নীচে ‘১০০’ সংখ্যা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago