উপসর্গ
উপসর্গ হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের শুরুর দিকে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে। নিজের কোনো স্বাধীন অর্থ না থাকলেও, উপসর্গ নতুন শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
-
অ + জানা = অজানা
-
অভি + যোগ = অভিযোগ
-
বে + তার = বেতার
এখানে “অ”, “অভি”, “বে” – এগুলো উপসর্গ।
বৈশিষ্ট্য:
-
উপসর্গ শব্দের আগে বসে।
-
এগুলোর নিজস্ব অর্থ নেই, তবে এগুলো অর্থ সৃষ্টি করে এমন শব্দ গঠনে সাহায্য করে।
-
বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০টির মতো উপসর্গ ব্যবহার হয়।
ধরন:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলো তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
-
বিদেশি উপসর্গ
প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
বৈশিষ্ট্য:
প্রকারভেদ:
প্রত্যয় প্রধানত দুই প্রকার:
১. কৃৎ প্রত্যয়
-
যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
উদাহরণ:
-
চল (ধাতু) + অন্ত = চলন্ত
-
কৃ (ধাতু) + তব্য = কর্তব্য
👉 কৃৎ প্রত্যয় হতে পারে:
-
বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
-
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
২. তদ্ধিত প্রত্যয়
তথ্যসূত্র:
"বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি" – নবম-দশম শ্রেণি, ২০২২ সংস্করণ।