আলালি বা হুতোমি ভাষা বলা হয় কোন ভাষাকে?
A
সাধু
B
চলিত
C
ইংরেজি
D
সংস্কৃত
উত্তরের বিবরণ
আলালি বা হুতোমি ভাষা বলা হয় – চলিত ভাষাকে।
প্যারীচাঁদের অনুসরণে বাংলা ভাষাকে আরও গণমুখী করেন কালীপ্রসন্ন সিংহ। কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন এলাকার মৌখিক ভাষাকে তিনি সার্থকভাবে তাঁর রচনায় প্রয়োগ করেন। তাঁর ‘হুতোম প্যাচার নকশা’ (১৮৬২) উপন্যাসে ব্যবহৃত ভাষারীতি প্যারীচাঁদের ভাষার চেয়ে মার্জিততর। এ গ্রন্থে চলিত ভাষায় সরস ব্যঙ্গবিদ্রূপের মাধ্যমে কলকাতার সমাজজীবন চিত্রিত হয়েছে। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে তাঁর ভাষা ‘হুতোমি ভাষা’ নামে পরিচিত, যা পরবর্তী শতকের গদ্যরচনায় বিশেষ প্রভাব ফেলে। প্যারীচাঁদ মিত্রের কথ্যরীতিতে গদ্য-পদ্য রচনা, প্রচুর তদ্ভব এবং চলিত ফারসী শব্দের ব্যবহার এবং ক্রিয়া পদে সাধু ও কথ্য ভাষার মিশ্রণ তার গদ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল। তাঁর লেখা বই আলালের ঘরে দুলাল এই গদ্যের ব্যবহার করা হয়েছিল যার জন্য এর নাম হয়ে যায় ‘আলালী ভাষা’।

0
Updated: 1 month ago
সৈয়দ ওয়লীউল্লাহর লেখা নাটক কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
কবর
B
বহিপীর
C
ওরা কদম আলী
D
লাল সালু
সঠিক উত্তর: বহিপীর → সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর রচিত একটি নাটক
'বহিপীর' নাটক সম্পর্কে তথ্য:
-
লেখক: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার
-
রচনার বছর: ১৯৫৫
-
প্রকাশিত: ১৯৬৫ সালে গ্রন্থাকারে
-
বিষয়বস্তু: নাটকটি গড়ে উঠেছে বহিপীরের সর্বগ্রাসী স্বার্থ ও নতুন দিনের প্রতীক এক বালিকার বিদ্রোহের কাহিনীকে কেন্দ্র করে।
-
নাটকের নামকরণ করা হয়েছে মুখ্য চরিত্র বহিপীরের নামে, যেখানে ধর্মকে ভণ্ডবহিপীর ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
বহিপীর
-
তাহেরা
-
হাতেম
-
আমেনা
-
হাশেম
অন্যান্য অপশন:
-
ক) কবর → মুনীর চৌধুরীর ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটক
-
গ) ওরা কদম আলী → মামুনুর রশীদের নাটক
-
ঘ) লাল সালু → সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস (নাটক নয়)

0
Updated: 3 weeks ago
'জ্বর' শব্দের দ্বিরুক্তিতে কোন অর্থ প্রকাশ পায়?
Created: 1 month ago
A
সামান্য
B
আধিক্য
C
আতিশয্য
D
অনুরূপ
দ্বিরুক্ত শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, তা দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। এইভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত শব্দকে দ্বিরুক্ত বলা হয়।
উদাহরণ:
-
'জ্বর' → জ্বর জ্বর (সামান্য অর্থ প্রকাশ পায়)
বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তির অর্থ:
-
আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধান, থোকা থোকা জাম
-
সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর অনুভব করছি
-
পরম্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে: তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ
-
ক্রিয়া বিশেষণ বোঝাতে: সে ধীরে ধীরে যায়
-
অনুরূপ বোঝাতে: তার সঙ্গী-সাথী কেউ নেই
-
আগ্রহ বোঝাতে: সে মা মা বলে কাঁদছে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ); মাধ্যমিক বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago